ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ! Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডিপিডিসির প্রকৌশলী রাজ্জাক ধরাছোঁয়ার বাইরে পর্ব -১ Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র




পৃথিবী ভ্রমনের টার্গেটঃ শতাধিক দেশ ঘুরেছেন খুলনার মেয়ে আসমা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০৪ বার পড়া হয়েছে

কালাম হসাইন সাব্বিরঃ
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ২০০৯ সালে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশনের পর বিশ্ব দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ ঘুরেছেন।

শুরুতে ভারতীয় উপমহাদেশের পর্যটকদের মতো দেশ ভ্রমণ করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় তার। কিন্তু পরে তিনি হস্টেলে থেকে কম খরচে ঘোরার বিষয়টি জানতে পারেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক অর্থ ব্যয় করি কিন্তু এসব দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় কম খরচে ব্যাকপ্যাকিং করে চলে যায়। বিভিন্ন দেশের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানকার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মঙ্গোলিয়ায় ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টেক এবং নিউজিল্যান্ডের ল্যাম্ব খুব ভালো লেগেছে। অবশ্য আমি কম খরচে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পারি না।

কম খরচে ঘোরার টিপস জানার জন্য লোনলি প্ল্যানেট বইয়ের অন্ধ ভক্ত আসমা। কারণ বইটি পড়ায় বছরে পাঁচশো ডলার অর্থ বেঁচে যায় তার।তিনি বইটি থেকে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘কত দাম’ বলতে শিখে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

আসমার বর্তমান ঠিকানা নিউজিল্যান্ড। তিনি ঘোরার অর্থ যোগাড় করতে দেড় বছর চাকরি করেন। সপ্তাহের শেষে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।কিছু অর্থ জমিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ছয় মাসের জন্য। ২০১৮ সালে মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান, বৈকাল হ্রদ, রাশিয়া ঘুরতে ঘুরতে ট্রেনে তিনি পাড়ি দেন তেইশ হাজার কিলোমিটার।

তিনি রাশিয়ায় খুঁজে পান এমন কিছু মানুষ যাদের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ জানতে চাইলে, তারা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বছরে একবার কিছু দিনের জন্য বাড়ি যান আসমা। দেশে ফিরেই তিনি একটা ভালো গামছা কেনেন।

তার সবসময়ের সঙ্গী গামছা, ছাতা, তিন জোড়া জুতো, মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, পানির বোতল এবং এয়ার প্লাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পৃথিবী ভ্রমনের টার্গেটঃ শতাধিক দেশ ঘুরেছেন খুলনার মেয়ে আসমা

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

কালাম হসাইন সাব্বিরঃ
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ২০০৯ সালে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশনের পর বিশ্ব দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ ঘুরেছেন।

শুরুতে ভারতীয় উপমহাদেশের পর্যটকদের মতো দেশ ভ্রমণ করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় তার। কিন্তু পরে তিনি হস্টেলে থেকে কম খরচে ঘোরার বিষয়টি জানতে পারেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক অর্থ ব্যয় করি কিন্তু এসব দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় কম খরচে ব্যাকপ্যাকিং করে চলে যায়। বিভিন্ন দেশের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানকার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মঙ্গোলিয়ায় ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টেক এবং নিউজিল্যান্ডের ল্যাম্ব খুব ভালো লেগেছে। অবশ্য আমি কম খরচে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পারি না।

কম খরচে ঘোরার টিপস জানার জন্য লোনলি প্ল্যানেট বইয়ের অন্ধ ভক্ত আসমা। কারণ বইটি পড়ায় বছরে পাঁচশো ডলার অর্থ বেঁচে যায় তার।তিনি বইটি থেকে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘কত দাম’ বলতে শিখে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

আসমার বর্তমান ঠিকানা নিউজিল্যান্ড। তিনি ঘোরার অর্থ যোগাড় করতে দেড় বছর চাকরি করেন। সপ্তাহের শেষে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।কিছু অর্থ জমিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ছয় মাসের জন্য। ২০১৮ সালে মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান, বৈকাল হ্রদ, রাশিয়া ঘুরতে ঘুরতে ট্রেনে তিনি পাড়ি দেন তেইশ হাজার কিলোমিটার।

তিনি রাশিয়ায় খুঁজে পান এমন কিছু মানুষ যাদের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ জানতে চাইলে, তারা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বছরে একবার কিছু দিনের জন্য বাড়ি যান আসমা। দেশে ফিরেই তিনি একটা ভালো গামছা কেনেন।

তার সবসময়ের সঙ্গী গামছা, ছাতা, তিন জোড়া জুতো, মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, পানির বোতল এবং এয়ার প্লাগ।