ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




পৃথিবী ভ্রমনের টার্গেটঃ শতাধিক দেশ ঘুরেছেন খুলনার মেয়ে আসমা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬০ বার পড়া হয়েছে

কালাম হসাইন সাব্বিরঃ
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ২০০৯ সালে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশনের পর বিশ্ব দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ ঘুরেছেন।

শুরুতে ভারতীয় উপমহাদেশের পর্যটকদের মতো দেশ ভ্রমণ করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় তার। কিন্তু পরে তিনি হস্টেলে থেকে কম খরচে ঘোরার বিষয়টি জানতে পারেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক অর্থ ব্যয় করি কিন্তু এসব দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় কম খরচে ব্যাকপ্যাকিং করে চলে যায়। বিভিন্ন দেশের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানকার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মঙ্গোলিয়ায় ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টেক এবং নিউজিল্যান্ডের ল্যাম্ব খুব ভালো লেগেছে। অবশ্য আমি কম খরচে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পারি না।

কম খরচে ঘোরার টিপস জানার জন্য লোনলি প্ল্যানেট বইয়ের অন্ধ ভক্ত আসমা। কারণ বইটি পড়ায় বছরে পাঁচশো ডলার অর্থ বেঁচে যায় তার।তিনি বইটি থেকে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘কত দাম’ বলতে শিখে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

আসমার বর্তমান ঠিকানা নিউজিল্যান্ড। তিনি ঘোরার অর্থ যোগাড় করতে দেড় বছর চাকরি করেন। সপ্তাহের শেষে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।কিছু অর্থ জমিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ছয় মাসের জন্য। ২০১৮ সালে মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান, বৈকাল হ্রদ, রাশিয়া ঘুরতে ঘুরতে ট্রেনে তিনি পাড়ি দেন তেইশ হাজার কিলোমিটার।

তিনি রাশিয়ায় খুঁজে পান এমন কিছু মানুষ যাদের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ জানতে চাইলে, তারা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বছরে একবার কিছু দিনের জন্য বাড়ি যান আসমা। দেশে ফিরেই তিনি একটা ভালো গামছা কেনেন।

তার সবসময়ের সঙ্গী গামছা, ছাতা, তিন জোড়া জুতো, মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, পানির বোতল এবং এয়ার প্লাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পৃথিবী ভ্রমনের টার্গেটঃ শতাধিক দেশ ঘুরেছেন খুলনার মেয়ে আসমা

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

কালাম হসাইন সাব্বিরঃ
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ২০০৯ সালে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশনের পর বিশ্ব দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ ঘুরেছেন।

শুরুতে ভারতীয় উপমহাদেশের পর্যটকদের মতো দেশ ভ্রমণ করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় তার। কিন্তু পরে তিনি হস্টেলে থেকে কম খরচে ঘোরার বিষয়টি জানতে পারেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক অর্থ ব্যয় করি কিন্তু এসব দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় কম খরচে ব্যাকপ্যাকিং করে চলে যায়। বিভিন্ন দেশের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানকার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মঙ্গোলিয়ায় ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টেক এবং নিউজিল্যান্ডের ল্যাম্ব খুব ভালো লেগেছে। অবশ্য আমি কম খরচে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পারি না।

কম খরচে ঘোরার টিপস জানার জন্য লোনলি প্ল্যানেট বইয়ের অন্ধ ভক্ত আসমা। কারণ বইটি পড়ায় বছরে পাঁচশো ডলার অর্থ বেঁচে যায় তার।তিনি বইটি থেকে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘কত দাম’ বলতে শিখে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

আসমার বর্তমান ঠিকানা নিউজিল্যান্ড। তিনি ঘোরার অর্থ যোগাড় করতে দেড় বছর চাকরি করেন। সপ্তাহের শেষে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।কিছু অর্থ জমিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ছয় মাসের জন্য। ২০১৮ সালে মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান, বৈকাল হ্রদ, রাশিয়া ঘুরতে ঘুরতে ট্রেনে তিনি পাড়ি দেন তেইশ হাজার কিলোমিটার।

তিনি রাশিয়ায় খুঁজে পান এমন কিছু মানুষ যাদের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ জানতে চাইলে, তারা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বছরে একবার কিছু দিনের জন্য বাড়ি যান আসমা। দেশে ফিরেই তিনি একটা ভালো গামছা কেনেন।

তার সবসময়ের সঙ্গী গামছা, ছাতা, তিন জোড়া জুতো, মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, পানির বোতল এবং এয়ার প্লাগ।