ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ!




বিদায় ম্যাচে আগুন ঝরিয়ে গেলেন ওয়াহাব, বড় জয় ঢাকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮০ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক

দেশে ফিরে যাবেন। ঢাকা প্লাটুনকে এবারের আসরের মতো বলবেন বিদায়। সব কিছু ঠিক। এমন সময়ে এসে শেষবেলায় ঢাকার সমর্থকদের যেন আফসোস বাড়িয়ে গেলেন ওয়াহাব রিয়াজ। মিরপুরে আজ (সোমবার) বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরালেন পাকিস্তানি এই পেসার।

নামের পাশে তখন ৪ উইকেট, অথচ খরচ করেননি এক রানও! ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম ৯টি বল যেন আগুনের গোলা দেখছিলেন রাজশাহী রয়্যালসের ব্যাটসম্যানরা। কার্যত পাকিস্তানি পেসারের ওই ৯ বলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আন্দ্রে রাসেলের দল।

পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, হেরেছে বড় ব্যবধানে। মিরপুরে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭৪ রানে হারিয়ে শেষ চারের দৌড়ে ভালোভাবেই শামিল হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার ঢাকা প্লাটুন।

অথচ ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল রাজশাহী। প্রথম ৩ ওভারে ৩৯ রান তুলেন এই যুগল। কে জানতো, পরে এমন দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে!

চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়েই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ওয়াহাব। ওই ওভারে তিনি তুলে নেন লিটন দাস (১০), অলক কাপালি (০) আর শোয়েব মালিককে (০)। সেই ধাক্কা পরে আর কাটিয়ে ওঠতে পারেনি রাজশাহী। ওপেনিংয়ে নেমে আফিফের করা ২৩ বলে ৩১ রানই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। ১৬.৪ ওভারে রাজশাহী অলআউট হয়েছে ১০০ রানে।

দুর্দান্ত বোলিং করা ওয়াহাব রিয়াজ ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৫টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, লুইস রিজ আর শাদাব খান।

এর আগে তামিম ইকবাল আর আসিফ আলির ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা প্লাটুন। অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না তাদের। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মোটে ৩৬ রান তুলতে পারে মাশরাফির দল। এনামুল হক বিজয় ১০ আর লুইস রিস আউট হন ৯ রান করে।

চার নম্বরে নেমে ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান। ১১ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২১ রান করে তিনি শিকার হন রবি বোপারার। এরপর ফরহাদ রেজার করা ১৩তম ওভারে ফিরে যান আরিফুল হক (৭) আর মাশরাফি (০)। ঢাকা তখন বিপদে।

সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন তামিম আর আসিফ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৯০ রানে। তামিম শুরুতে একটু ধীরগতিতে খেললেও শেষদিকে ঝড় তুলেছেন। ৫২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় তামিম খেলেন হার না মানা ৬৮ রানের ইনিংস। ২৮ বলে ৪টি করে চার ছক্কায় ৫৫ করেন আসিফ।

রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ফরহাদ রেজা। তবে প্রথম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে পরে বেদম মার খেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিদায় ম্যাচে আগুন ঝরিয়ে গেলেন ওয়াহাব, বড় জয় ঢাকার

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক

দেশে ফিরে যাবেন। ঢাকা প্লাটুনকে এবারের আসরের মতো বলবেন বিদায়। সব কিছু ঠিক। এমন সময়ে এসে শেষবেলায় ঢাকার সমর্থকদের যেন আফসোস বাড়িয়ে গেলেন ওয়াহাব রিয়াজ। মিরপুরে আজ (সোমবার) বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরালেন পাকিস্তানি এই পেসার।

নামের পাশে তখন ৪ উইকেট, অথচ খরচ করেননি এক রানও! ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম ৯টি বল যেন আগুনের গোলা দেখছিলেন রাজশাহী রয়্যালসের ব্যাটসম্যানরা। কার্যত পাকিস্তানি পেসারের ওই ৯ বলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আন্দ্রে রাসেলের দল।

পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, হেরেছে বড় ব্যবধানে। মিরপুরে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭৪ রানে হারিয়ে শেষ চারের দৌড়ে ভালোভাবেই শামিল হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার ঢাকা প্লাটুন।

অথচ ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল রাজশাহী। প্রথম ৩ ওভারে ৩৯ রান তুলেন এই যুগল। কে জানতো, পরে এমন দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে!

চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়েই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ওয়াহাব। ওই ওভারে তিনি তুলে নেন লিটন দাস (১০), অলক কাপালি (০) আর শোয়েব মালিককে (০)। সেই ধাক্কা পরে আর কাটিয়ে ওঠতে পারেনি রাজশাহী। ওপেনিংয়ে নেমে আফিফের করা ২৩ বলে ৩১ রানই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। ১৬.৪ ওভারে রাজশাহী অলআউট হয়েছে ১০০ রানে।

দুর্দান্ত বোলিং করা ওয়াহাব রিয়াজ ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৫টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, লুইস রিজ আর শাদাব খান।

এর আগে তামিম ইকবাল আর আসিফ আলির ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা প্লাটুন। অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না তাদের। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মোটে ৩৬ রান তুলতে পারে মাশরাফির দল। এনামুল হক বিজয় ১০ আর লুইস রিস আউট হন ৯ রান করে।

চার নম্বরে নেমে ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান। ১১ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২১ রান করে তিনি শিকার হন রবি বোপারার। এরপর ফরহাদ রেজার করা ১৩তম ওভারে ফিরে যান আরিফুল হক (৭) আর মাশরাফি (০)। ঢাকা তখন বিপদে।

সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন তামিম আর আসিফ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৯০ রানে। তামিম শুরুতে একটু ধীরগতিতে খেললেও শেষদিকে ঝড় তুলেছেন। ৫২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় তামিম খেলেন হার না মানা ৬৮ রানের ইনিংস। ২৮ বলে ৪টি করে চার ছক্কায় ৫৫ করেন আসিফ।

রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ফরহাদ রেজা। তবে প্রথম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে পরে বেদম মার খেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান।