নিউজ ডেস্ক;
আজ ২৯ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ চিত্রকলার পথিকৃৎ বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিনের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১৪ সালের এ দিনে কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এই শিল্পী। বাবা তমিজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন পুলিশের দারোগা। মা জয়নাবুন্নেছা গৃহিণী। নয় ভাই-বোনের মধ্যে জয়নুল ছিলেন সবার বড়।
জয়নুল আবেদিনের কর্ম ও স্মৃতির উদ্দেশ্যে রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। দিনটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নিজের হাতে গড়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগও বর্ণিল আয়োজনে স্মরণ করবে আজ শিল্পাচার্যকে। তাকে স্মরণ করে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের হোমপেজে ডুডল করা হয়েছে।
শিল্পীর শৈশব এবং তারুণ্যের প্রধানতম অর্জন ছিল বলতে গেলে এই প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের অভিজ্ঞতা। তার শৈল্পিক মানসিকতা নির্মাণে প্রকৃতির প্রভাব ছিল অসামান্য ও সুদূরপ্রসারী। তিনি বলতে ভালোবাসতেন, ‘নদীই আমার শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক’। তিনি শুধুমাত্র এদেশের একজন স্বনামধন্য শিল্পীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন এদেশের আধুনিক শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ১৯৫৭-এ নৌকা, ১৯৫৯-এ সংগ্রাম, ১৯৬৯-এ নবান্ন, ১৯৭০-এ মনপুরা-৭০, ১৯৭১-এ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রভৃতি। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষ চিত্রমালার জন্য সারা বিশ্বে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন জয়নুল।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে জয়নুল আবেদিনই চিত্রকলার উপর বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ৬২ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটে এই শিল্পীর।