ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বাংলাদেশ নয়, সব দেশকেই পাকিস্তান এসে খেলতে হবে: পিসিবি প্রধান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক|

দীর্ঘ দশ বছরের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে টুকটাক সিরিজ আয়োজনও করছে সফলভাবে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ আর টেস্ট সিরিজও সম্পন্ন করেছে সফলভাবে।
শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে এসে খেলে গেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেস্ট নয়, শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজটাই খেলবে পাকিস্তানে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। দফায় দফায় সভা, সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছে পিসিবি।
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তে নাখোশ পিসিবির কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত সাবেক, বর্তমান ক্রিকেটাররা। কারণ এফটিপি অনুযায়ী জানুয়ারির শেষে পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সিরিজ আয়োজন করেছে তারা। তবু দেশটা যেহেতু পাকিস্তান তাই নিরাপত্তা নিয়ে একটা শঙ্কা থেকেই যায়।
টেস্ট সিরিজ খেলতে না দেয়ার কারণ হিসেবে বিসিবি জানিয়েছে তারা বাংলাদেশ দলের লম্বা সময় পাকিস্তানে অবস্থানের বিপক্ষে। কারণ এর আগে কোনো দলই লম্বা সময় সেখানে অবস্থান করেনি। শ্রীলঙ্কা সেখানে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলছে কিন্তু টি টোয়েন্টি সিরিজে লঙ্কানরা তাদের সেরা দল পাঠায়নি।
আজই বিসিবির এমন সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রতি অবিচার বলেছিলেন পাকিস্তানের হেড কোচ ও নির্বাচক মিসবা উল হক। কারণ তিনি বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। বরং বিসিবির টেস্ট না খেলতে চাওয়ার কারণকে আখ্যা দিয়েছেন খোঁড়া যুক্তি হিসেবে।
মিসবার এমন ক্ষোভ প্রকাশের দিনে পিসিবি সভাপতি এহসান মানি জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ম্যাচগুলো কেবল পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আর কোনও খেলা নয়।
‘বাংলাদেশ কিংবা অন্য যেকোনো দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো এখন থেকে পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হবে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, বিসিবি এই ব্যাপারটি ভেবে দেখবে এবং বুঝতে পারবে পাকিস্তানের সফর না করার মতো কোনো কারণ নেই।’
কদিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, কিছুদিন আগেই আমদের দুটো টিম ( বাংলাদেশ মহিলা দল এবং অনূর্ধ্ব-১৬ দল) সেখানে ভালোভাবে সফর করে এসেছে। আশাকরি জাতীয় দলের ব্যাপারেও পজিটিভ ফলাফল আসবে। কারণ অনূর্ধ্ব ১২ হোক কিংবা জাতীয় দল নিরাপত্তা একই হওয়ার কথা।
আজ যেন পাপনের সেই কথার সাথেই সুর মিলিয়ে এহসান মানি বললেন, বাংলাদেশ নারী দল এবং অনূর্ধ্ব ১৬ দল পাকিস্তান সফর করে ভালোভাবেই ফিরে গেছে। তাই আমরা চাই না তাদের মনে পাকিস্তানে খেলার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকুক।
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ দুই দলই এখন বিপরীত মেরুতে। বিসিবি যদি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তবে এই সিরিজ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে এই সিরিজ বাতিল বড় ক্ষতির মুখোমুখি হবে পাকিস্তানও। কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নামা না হলে ২০২০ সালের গ্রীষ্মের আগে আর টেস্ট ম্যাচ পাবে না পাকিস্তান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বাংলাদেশ নয়, সব দেশকেই পাকিস্তান এসে খেলতে হবে: পিসিবি প্রধান

আপডেট সময় : ০৯:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক|

দীর্ঘ দশ বছরের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে টুকটাক সিরিজ আয়োজনও করছে সফলভাবে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ আর টেস্ট সিরিজও সম্পন্ন করেছে সফলভাবে।
শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে এসে খেলে গেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেস্ট নয়, শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজটাই খেলবে পাকিস্তানে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। দফায় দফায় সভা, সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছে পিসিবি।
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তে নাখোশ পিসিবির কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত সাবেক, বর্তমান ক্রিকেটাররা। কারণ এফটিপি অনুযায়ী জানুয়ারির শেষে পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সিরিজ আয়োজন করেছে তারা। তবু দেশটা যেহেতু পাকিস্তান তাই নিরাপত্তা নিয়ে একটা শঙ্কা থেকেই যায়।
টেস্ট সিরিজ খেলতে না দেয়ার কারণ হিসেবে বিসিবি জানিয়েছে তারা বাংলাদেশ দলের লম্বা সময় পাকিস্তানে অবস্থানের বিপক্ষে। কারণ এর আগে কোনো দলই লম্বা সময় সেখানে অবস্থান করেনি। শ্রীলঙ্কা সেখানে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলছে কিন্তু টি টোয়েন্টি সিরিজে লঙ্কানরা তাদের সেরা দল পাঠায়নি।
আজই বিসিবির এমন সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রতি অবিচার বলেছিলেন পাকিস্তানের হেড কোচ ও নির্বাচক মিসবা উল হক। কারণ তিনি বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। বরং বিসিবির টেস্ট না খেলতে চাওয়ার কারণকে আখ্যা দিয়েছেন খোঁড়া যুক্তি হিসেবে।
মিসবার এমন ক্ষোভ প্রকাশের দিনে পিসিবি সভাপতি এহসান মানি জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ম্যাচগুলো কেবল পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আর কোনও খেলা নয়।
‘বাংলাদেশ কিংবা অন্য যেকোনো দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো এখন থেকে পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হবে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, বিসিবি এই ব্যাপারটি ভেবে দেখবে এবং বুঝতে পারবে পাকিস্তানের সফর না করার মতো কোনো কারণ নেই।’
কদিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, কিছুদিন আগেই আমদের দুটো টিম ( বাংলাদেশ মহিলা দল এবং অনূর্ধ্ব-১৬ দল) সেখানে ভালোভাবে সফর করে এসেছে। আশাকরি জাতীয় দলের ব্যাপারেও পজিটিভ ফলাফল আসবে। কারণ অনূর্ধ্ব ১২ হোক কিংবা জাতীয় দল নিরাপত্তা একই হওয়ার কথা।
আজ যেন পাপনের সেই কথার সাথেই সুর মিলিয়ে এহসান মানি বললেন, বাংলাদেশ নারী দল এবং অনূর্ধ্ব ১৬ দল পাকিস্তান সফর করে ভালোভাবেই ফিরে গেছে। তাই আমরা চাই না তাদের মনে পাকিস্তানে খেলার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকুক।
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ দুই দলই এখন বিপরীত মেরুতে। বিসিবি যদি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তবে এই সিরিজ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে এই সিরিজ বাতিল বড় ক্ষতির মুখোমুখি হবে পাকিস্তানও। কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নামা না হলে ২০২০ সালের গ্রীষ্মের আগে আর টেস্ট ম্যাচ পাবে না পাকিস্তান।