ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ঝাড়খণ্ডে নিজের আসনেও হারলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ৯০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ফের হোঁচট খেলো ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিজেপিকে হারিয়ে ৮১ আসনের বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করে জোট সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল। এদিকে বিজেপির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস নিজ আসনেও হেরে গেছেন।

সোমবার ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও বেলা গড়াতেই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিজেপির হার স্পষ্ট হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাও খুঁইয়ে পাখির চোখ করেছিল ঝাড়খণ্ডকে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গঠন করতে হলে ৪১ আসন প্রয়োজন। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না করা হলেও দেশটির বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল বলছে, গতবারের চেয়ে ২২ আসন বেশি পেয়ে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ৪৭ আসনে জয়ী হয়েছে।

অপরদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার ১২টি আসন খুঁইয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকি আসনগুলোতে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলো জয়ী হয়েছে। এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে তখন এই রাজ্যের ১৪ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল দলটি।

ঝাড়খণ্ডে এবারের নির্বাচনে অন্তত ৭৫টি আসনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু খোদ দলটির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস তার নির্বাচনী এলাকা জামশেদপুর পূর্ব আসনে হেরে গেছেন। আসনটিতে জিতেছেন রাজ্যের সাবেক এক মন্ত্রী, যিনি একসময় বিজেপিতে ছিলেন। এছাড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতিও নিজ আসনে হেরেছেন।

২০১৪ সালে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (এজেএসইউ) সঙ্গে জোট বেঁধে ৪২ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার এজেএসইউ ২টি আসনে পেয়েছে। এদিকে সরকার গড়তে যাওয়া জোটের মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ (জেএমএম) ৩০, কংগ্রেস ১৬ এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ১ আসনে জয় পেয়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ঝাড়খন্ড বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়। সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয় ফল ঘোষণা। অবশ্য আগেই বুথফেরত জরিপে জেএমএম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরও ইঙ্গিত ছিল বুথফেরত জরিপে।

২০০০ সালে গঠিত হওয়ার পর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন এটি। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে অনেক নাটকের পর শিবসেনা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস জোটের কাছে হেরে রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। তাই আয়তনে ছোট হলেও পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়ো ঝাড়খণ্ডে শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয় সে দিকে নজর ছিল গোটা ভারতের।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোটা ভারতের বিক্ষোভ অন্তত ২৪ জন নিহত হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ মহরাষ্ট্রের আগে গত বছর দলটি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে। অনেকে অবশ্য এই ফলকে বিক্ষোভের খেসারতও বলছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঝাড়খণ্ডে নিজের আসনেও হারলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:১৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ফের হোঁচট খেলো ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিজেপিকে হারিয়ে ৮১ আসনের বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করে জোট সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল। এদিকে বিজেপির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস নিজ আসনেও হেরে গেছেন।

সোমবার ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও বেলা গড়াতেই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিজেপির হার স্পষ্ট হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাও খুঁইয়ে পাখির চোখ করেছিল ঝাড়খণ্ডকে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গঠন করতে হলে ৪১ আসন প্রয়োজন। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না করা হলেও দেশটির বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল বলছে, গতবারের চেয়ে ২২ আসন বেশি পেয়ে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ৪৭ আসনে জয়ী হয়েছে।

অপরদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার ১২টি আসন খুঁইয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকি আসনগুলোতে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলো জয়ী হয়েছে। এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে তখন এই রাজ্যের ১৪ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল দলটি।

ঝাড়খণ্ডে এবারের নির্বাচনে অন্তত ৭৫টি আসনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু খোদ দলটির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস তার নির্বাচনী এলাকা জামশেদপুর পূর্ব আসনে হেরে গেছেন। আসনটিতে জিতেছেন রাজ্যের সাবেক এক মন্ত্রী, যিনি একসময় বিজেপিতে ছিলেন। এছাড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতিও নিজ আসনে হেরেছেন।

২০১৪ সালে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (এজেএসইউ) সঙ্গে জোট বেঁধে ৪২ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার এজেএসইউ ২টি আসনে পেয়েছে। এদিকে সরকার গড়তে যাওয়া জোটের মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ (জেএমএম) ৩০, কংগ্রেস ১৬ এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ১ আসনে জয় পেয়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ঝাড়খন্ড বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়। সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয় ফল ঘোষণা। অবশ্য আগেই বুথফেরত জরিপে জেএমএম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরও ইঙ্গিত ছিল বুথফেরত জরিপে।

২০০০ সালে গঠিত হওয়ার পর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন এটি। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে অনেক নাটকের পর শিবসেনা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস জোটের কাছে হেরে রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। তাই আয়তনে ছোট হলেও পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়ো ঝাড়খণ্ডে শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয় সে দিকে নজর ছিল গোটা ভারতের।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোটা ভারতের বিক্ষোভ অন্তত ২৪ জন নিহত হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ মহরাষ্ট্রের আগে গত বছর দলটি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে। অনেকে অবশ্য এই ফলকে বিক্ষোভের খেসারতও বলছেন।