আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
ভারতের কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ চলার সময় পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে দুইজন নিহত হয়েছে। আর উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়েও গুলিতে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
বৃহস্পতিরার অন্তত ১০টি রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে নাগরিক সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর আসামে বিক্ষোভের সময় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ম্যাঙ্গালুরুতে চার পুলিশ সদস্যকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একটি দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্মকর্তারা আহত দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
স্থানীয় একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, এদিন বিকেল থেকেই শহরটিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভে নামা বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌয়ে বৃহস্পতিবার একজনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে বিক্ষোভকারীরা বলেছে, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন পুলিশের গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে।
এর আগে সহিংসতার আশঙ্কায় বুধবার রাত থেকেই গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। চারজনের বেশি লোকের জমায়েতের ওপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। একই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল ব্যাঙ্গালুরুসহ কর্ণাটকের বিভিন্ন স্থানেও।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যাঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাস্তায় নামে জনতা।