ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




হাসছে টোরি, ভাঙছে লেবার, নেতাদের পদত্যাগের ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণী সাধারণ নির্বাচনে শেষে হাসিটা ফুটল টোরির মুখেই। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির আরেক দফা জয়ে মনোবল ভেঙে গেছে বিরোধীদের। ব্রেক্সিটপন্থী দলটির ভূমিধস হয়ে রীতিমতো নড়ে উঠেছে বিরোধী নেতাদের চেয়ার।
ছবি: এএফপি
ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণী সাধারণ নির্বাচনে শেষে হাসিটা ফুটল টোরির মুখেই। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির আরেক দফা জয়ে মনোবল ভেঙে গেছে বিরোধীদের। ব্রেক্সিটপন্থী দলটির ভূমিধস হয়ে রীতিমতো নড়ে উঠেছে বিরোধী নেতাদের চেয়ার।

ব্রেক্সিট নায়ক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নিরঙ্কুশ জয়ের পর প্রাথমিক ফলাফল কানে যেতেই দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। দলের শোচনীয় পরাজয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে তিনি পার্টির নেতৃত্বে থাকবেন না।’

লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান জো সুইনসনও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের আসন স্কটল্যান্ডের ইস্ট ডানবার্টনশায়ারেই হেরেছেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

নর্থ লন্ডনে নিজের আসনে জয় পেলেও বুথ ফেরত জরিপে লেবার পার্টির আসন কমার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।

এরপরই করবিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ফলাফল আমরা পেয়েছি, তাতে লেবার পার্টির জন্য এটা অত্যন্ত হতাশার রাত।’ হারের ইঙ্গিত আসার পর লেবার পার্টির অভ্যন্তরেও কোন্দল দেখা দেয়। দলের অনেকেই করবিনের পদত্যাগ চাইছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটের পর পর্যন্ত ঘোষিত ৬৪৯টি আসনের ফলাফলে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩৬৪টি আসন। অন্যদিকে করবিনের লেবার পার্টি তখন পর্যন্ত ২০৩টি আসন। ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৬৫০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে জয়ের জন্য একটি দলকে অন্তত ৩২৬টি আসন পেতে হবে।

২০১৫ সালে দুঃসময়ে দলের হাল ধরা প্রবীণ লেবার নেতা করবিন ভোটার, পরিবার ও বন্ধুদের নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘লেবারের নীতি’ এখনও জনপ্রিয়। তবু ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থনের বিশাল ঢেউয়ের কাছে সেই নীতির হার হয়েছে। আগামীতে আর কোনো নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে ‘থাকবেন না’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

করবিন বলেছেন, দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য আলোচনার সময়টায় তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। ব্রিটেনের চতুর্থ বৃহত্তম দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটের নেত্রী জো সুইনসনও পদত্যাগ করেছেন। তার দল ১১টি আসনে জয়ী হয়েছে।

সুইনসনের জায়গায় যৌথভাবে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন উপনেতা স্যার এড ড্যাভি ও প্রেসিডেন্ট ব্যারোনেস স্যাল ব্রিন্টন।

ড্যাভি ও ব্রিন্টন জানিয়েছেন, নতুন বছরে দলের নেতৃত্ব নিয়ে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে সুইনসন নিজের পরাজয় নিয়ে বলেন, আজকের পরাজয় নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক হতাশার। আমি গর্বিত যে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নির্বাচনী প্রচারণায় উন্মুক্ততা, উদারতা ও আশার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। আমরা নিজেদের বিশ্বাসের ব্যাপারে স্পষ্ট ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, এটা স্পষ্টতই একটি পিছিয়ে পড়া। কিন্তু দেশজুড়ে লাখো মানুষ দলের বিশ্বাসে বিশ্বাস করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হাসছে টোরি, ভাঙছে লেবার, নেতাদের পদত্যাগের ঘোষণা

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণী সাধারণ নির্বাচনে শেষে হাসিটা ফুটল টোরির মুখেই। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির আরেক দফা জয়ে মনোবল ভেঙে গেছে বিরোধীদের। ব্রেক্সিটপন্থী দলটির ভূমিধস হয়ে রীতিমতো নড়ে উঠেছে বিরোধী নেতাদের চেয়ার।
ছবি: এএফপি
ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণী সাধারণ নির্বাচনে শেষে হাসিটা ফুটল টোরির মুখেই। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির আরেক দফা জয়ে মনোবল ভেঙে গেছে বিরোধীদের। ব্রেক্সিটপন্থী দলটির ভূমিধস হয়ে রীতিমতো নড়ে উঠেছে বিরোধী নেতাদের চেয়ার।

ব্রেক্সিট নায়ক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নিরঙ্কুশ জয়ের পর প্রাথমিক ফলাফল কানে যেতেই দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। দলের শোচনীয় পরাজয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে তিনি পার্টির নেতৃত্বে থাকবেন না।’

লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান জো সুইনসনও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের আসন স্কটল্যান্ডের ইস্ট ডানবার্টনশায়ারেই হেরেছেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

নর্থ লন্ডনে নিজের আসনে জয় পেলেও বুথ ফেরত জরিপে লেবার পার্টির আসন কমার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।

এরপরই করবিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ফলাফল আমরা পেয়েছি, তাতে লেবার পার্টির জন্য এটা অত্যন্ত হতাশার রাত।’ হারের ইঙ্গিত আসার পর লেবার পার্টির অভ্যন্তরেও কোন্দল দেখা দেয়। দলের অনেকেই করবিনের পদত্যাগ চাইছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটের পর পর্যন্ত ঘোষিত ৬৪৯টি আসনের ফলাফলে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩৬৪টি আসন। অন্যদিকে করবিনের লেবার পার্টি তখন পর্যন্ত ২০৩টি আসন। ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৬৫০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে জয়ের জন্য একটি দলকে অন্তত ৩২৬টি আসন পেতে হবে।

২০১৫ সালে দুঃসময়ে দলের হাল ধরা প্রবীণ লেবার নেতা করবিন ভোটার, পরিবার ও বন্ধুদের নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘লেবারের নীতি’ এখনও জনপ্রিয়। তবু ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থনের বিশাল ঢেউয়ের কাছে সেই নীতির হার হয়েছে। আগামীতে আর কোনো নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে ‘থাকবেন না’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

করবিন বলেছেন, দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য আলোচনার সময়টায় তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। ব্রিটেনের চতুর্থ বৃহত্তম দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটের নেত্রী জো সুইনসনও পদত্যাগ করেছেন। তার দল ১১টি আসনে জয়ী হয়েছে।

সুইনসনের জায়গায় যৌথভাবে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন উপনেতা স্যার এড ড্যাভি ও প্রেসিডেন্ট ব্যারোনেস স্যাল ব্রিন্টন।

ড্যাভি ও ব্রিন্টন জানিয়েছেন, নতুন বছরে দলের নেতৃত্ব নিয়ে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে সুইনসন নিজের পরাজয় নিয়ে বলেন, আজকের পরাজয় নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক হতাশার। আমি গর্বিত যে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নির্বাচনী প্রচারণায় উন্মুক্ততা, উদারতা ও আশার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। আমরা নিজেদের বিশ্বাসের ব্যাপারে স্পষ্ট ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, এটা স্পষ্টতই একটি পিছিয়ে পড়া। কিন্তু দেশজুড়ে লাখো মানুষ দলের বিশ্বাসে বিশ্বাস করে।