ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী ঘুরে বেড়াচ্ছে থানা পুলিশের চোখের সামনে!
- আপডেট সময় : ১১:০১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আইন প্রয়োগকারী থানা পুলিশের সামনেই ঘুরছে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। রীতিমতো এই আসামী থানার ওসি’র রুমে গিয়ে আড্ডা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। মামলার বাদীনি ভুক্তভোগী নারী একাধিকবার থানা পুলিশের কাছে গিয়েও আসামী গ্রেফতার করতে পারেন নি। ব্যর্থ হয়ে পুলিশের পিছনে ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে। অবিশ্বাস্য এ ঘটনাটি ডিএমপি উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের। তবে এ মামলার আসামী কেন গ্রেফতার হচ্ছেন জানতে চাইলে এই থানার ওসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, আসামীকে না পাওয়া গেলে পুলিশের কি করার আছে? আদালতের ওয়ারেন্ট থাকা আসামী গ্রেফতার করতে আমরা সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অভিযোগ রয়েছে, বাসার কাজের নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার দায়ে মঞ্জু আরা মেরি নামের এক নারী ইট ব্যবসায়ী শামসুল হাসনাইন খান আবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি দায়ের করার পর থেকেই মামলার আসামী তার লোকজন দিয়ে বাদীনিকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি বাদীনি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দেওয়ার পাঁয়তারাও করছেন ধর্ষণ চেষ্টার আসামী শামসুল হাসনাইন আবির। এ নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন কুমারের সাথে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন। অনেকেই শামসুল হাসনাইন আবিরকে একাধিকবার থানায় যেতেও দেখেছেন। এমন খবর মঞ্জু আরা মেরি জানতে পেরে ওসিকে ফোন করলে ওসি শামসুল হাসনাইন আবিরকে রুম থেকে বের করে দেন।
জানা গেছে, ঢাকার উত্তরার ১১নং সেক্টরের ৯নং রোডের, ৩৫নং বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন ইট ব্যবসায়ী শামসুল হাসনাইন খান আবির (৩৫)। এর একই রোডের ৪০নং বাড়ির ভাড়াটিয়া মঞ্জু আরা মেরি (৪৮) বসবাস করেন। সংসারে অস্বচ্ছতার কারনে এই নারীই শামসুল হাসনাইন আবিরের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতেন। তাঁর এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শামসুল হাসনাইন আবির প্রতিদিন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দিতেন। তাঁর এমন প্রস্তাব বার বার না বললেও একদিন জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় শামসুল হাসনাইন আবির। এই নারী তাঁর কথা না শোনার কারনে নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। প্রতিদিন তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মঞ্জু আরা মেরি।
আরো জানা গেছে, শামসুল হাসনাইন আবিরের বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আরো একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার খড়গ মাথায় নিয়েই বীরের বেশে রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শামসুল হাসনাইন আবির। তাঁর ভাষ্য হচ্ছে, টাকা দিলেই পুলিশ ম্যানেজ করা কোন ব্যাপার না। টাকা দিলেই থানা পুলিশ হাত করা যায়। মঞ্জু আরা মেরির মামলার ওয়ারেন্টও ক্ষেত্রেও শামসুল হাসনাইন আবির একই কাজ করেছেন এমন টা-ই ধারনা করছেন মামলার বাদীনি মঞ্জু আরা মেরি।
উল্লেখ্য, ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ গত ১৩-১১-১৯ ইং তাং মামলা করেন মঞ্জু আরা মেরি। যার মামলা নং ৩২৪/১৯। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে আসামী আবির, বাদীনিকে মামলা তোলার জন্য বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন বলে বাদীনি জানান।