ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




চাঁদা না পেয়ে বিকাশের দোকানে যুবলীগ নেতার হামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর; 

লক্ষ্মীপুরে চাঁদার দাবিতে বিকাশ এজেন্টের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা অনুপম হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অনুপম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলুর ভাই।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পুরাতন তেওয়ারীগঞ্জ বাজারের ইকরা এন্টারপ্রাইজের ওই বিকাশ এজেন্টের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু নোমান খোকন জানান, তিনি স্থানীয় হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। যুবলীগ নেতা অনুপম ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য হতে চেয়েছেন। কিন্তু সদস্য হতে না পারায় প্রধান শিক্ষক আবদুল হাইয়ের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।

গত ৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষককে মারধর করতে অনুপম বিদ্যালয়ে আসেন। শিক্ষক ছুটিতে থাকায় খোকনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অনুপম। একপর্যায়ে অনুপম তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। কিছুদিন পরই যুবলীগ নেতা তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেন। এই ভয়ে কয়েকদিন খোকন পলাতক ছিলেন। সোমবার রাতে চাঁদা না দেয়ায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুপম তার অনুসারী জামাল ও দিদারকে নিয়ে এসে খোকনের দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় একটি কম্পিউটার ও বিকাশের প্রায় ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা।

নোমানের বাবা আবু ছিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে আমি দোকানে আসি। এ সময় অনুপম আমাকে দোকান বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু দোকান বন্ধ না করায় আমাকে মারধর করতে আসেন তিনি। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে টাকা ও কম্পিউটার নিয়ে চলে যান তারা।

এ ব্যাপারে জানতে যুবলীগ নেতা অনুপম হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চাঁদা না পেয়ে বিকাশের দোকানে যুবলীগ নেতার হামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর; 

লক্ষ্মীপুরে চাঁদার দাবিতে বিকাশ এজেন্টের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা অনুপম হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অনুপম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলুর ভাই।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পুরাতন তেওয়ারীগঞ্জ বাজারের ইকরা এন্টারপ্রাইজের ওই বিকাশ এজেন্টের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু নোমান খোকন জানান, তিনি স্থানীয় হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। যুবলীগ নেতা অনুপম ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য হতে চেয়েছেন। কিন্তু সদস্য হতে না পারায় প্রধান শিক্ষক আবদুল হাইয়ের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।

গত ৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষককে মারধর করতে অনুপম বিদ্যালয়ে আসেন। শিক্ষক ছুটিতে থাকায় খোকনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অনুপম। একপর্যায়ে অনুপম তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। কিছুদিন পরই যুবলীগ নেতা তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেন। এই ভয়ে কয়েকদিন খোকন পলাতক ছিলেন। সোমবার রাতে চাঁদা না দেয়ায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুপম তার অনুসারী জামাল ও দিদারকে নিয়ে এসে খোকনের দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় একটি কম্পিউটার ও বিকাশের প্রায় ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা।

নোমানের বাবা আবু ছিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে আমি দোকানে আসি। এ সময় অনুপম আমাকে দোকান বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু দোকান বন্ধ না করায় আমাকে মারধর করতে আসেন তিনি। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে টাকা ও কম্পিউটার নিয়ে চলে যান তারা।

এ ব্যাপারে জানতে যুবলীগ নেতা অনুপম হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।