এমপির গাড়িতে তেল না দেওয়ায় পাম্প বন্ধ

- আপডেট সময় : ১২:৪২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কর্মবিরতির সময় রবিবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের গাড়িতে পেট্রল না দেওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে একটি পাম্প।
সোমবার ঠাকুরগাঁও টার্মিনাল এলাকার চৌধুরী ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করে দেন আওয়ামী লীগপন্থী মোটর শ্রমিকরা। সোমবার বিকেল থেকে ওই পেট্রল পাম্পের চার পাশে ট্রাক দিয়ে ঘিরে রাখেন তারা।
এতে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন জ্বালানি নিতে প্রবেশ করতে পারছে না বলে জানায় চৌধুরী ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
চৌধুরী ফিলিং স্টেশনে ক্যাশিয়ার কানন জানান, রবিবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি যখন তার গাড়িতে তেল নিতে আসেন তখন ১৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি চলছিল। ওই সময় বেশ কিছু মোটরসাইকেল আরোহী পেট্রল নিতে এসে চাপ দেয়। তাদের পেট্রল দিতে অস্বীকার করায় মোটরসাইকেল আরোহীরা এমপির গাড়ি দেখিয়ে বলতে থাকেন, দেখব তাকে (এমপিকে) পেট্রল দিচ্ছেন কি না। এ কথা শুনে জনরোষের ভয়ে এমপি স্যারের গাড়িতে পেট্রল দিতে রাজি হইনি।
ঠাকুরগাঁও ট্রাক, ট্যাংক, লরি, কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জয়েনুদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের গাড়িতে জ্বালানি তেল না দেওয়ায় তিনি অসম্মানিতও হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্রমিকরা ওই পাম্পের তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পাম্পের মালিক কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইবেন ততক্ষণ পর্যন্ত ওই পাম্পকে তেল বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি এনামুল হক বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর এমপি সাহেবকে অন্য একটি পাম্প থেকে পেট্রল নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন শুনছি, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদল শ্রমিক বিক্ষুব্ধ হয়ে পাম্পের কেনাবেচা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, এমপি স্যারকে তেল না দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। এটা তারা বড় অন্যায় করেছে। তবে ওই পাম্পে তেল বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে এটা তিনি শোনেননি।
এ বিষয়ে সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমাকে পেট্রল না দেওয়ার ঘটনায় আমার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হতেই পারে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সফর শেষে রবিবার বিকেলে ঢাকা যাওয়ার জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পথে রওনা দেন রমেশ চন্দ্র সেন। পথে তাকে বহনকারী দুটি গাড়ি শহরের চৌধুরী ফিলিং স্টেশনে পেট্রল নিতে যায়। কিন্তু ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা ধর্মঘটের কথা বলে গাড়ি দুটিতে পেট্রল দিতে অস্বীকৃতি জানান।