ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ Logo আওয়ামী দোসর মিডিয়া পুনর্বাসনকারী নেতাদের অবাঞ্ছিত করার দাবি বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকদের Logo ফায়ার সার্ভিসের মহানুভবতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের কৃতজ্ঞতা Logo সোনা চোরাকারবারি দিলীপের সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পাদক সহ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দোসর ফায়ার সার্ভিস আনোয়ারের দুর্নীতি: ডিজিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! Logo আশা ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও মিলাদ Logo বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মাফিয়া অর্থ পাচারকারী শিহাব কোথায়?




বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা : ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১ জানুয়ারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা ও দক্ষিণ প্রতিনিধি; 

বরগুনায় আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ২০ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়, কিন্তু সেদিনও অভিযোগ গঠন হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার যুগান্তরকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ যাতে না হয় সেজন্য আদালতে প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় আদালত আমাকে আরও নথি পর্যালোচনা করতে বলেছেন। আমি সময়ের আবেদন করেছি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

এদিন এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে আট আসামিকে বরগুনা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা হল- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইয়ূম রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল সিফাত, রেজোয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে উপস্থিত হন। এছাড়া আসামি মুছা পলাতক রয়েছে। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা চার্জ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন আদালতে। অন্যদিকে আসামি মোহাইমিনুল সিফাত ও সাগরের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম ও কমল কান্তি দাস যুগান্তরকে বলেন, মিন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফকে সেদিন বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। মিন্নি ছিল প্রথমে সাক্ষী। সাক্ষী থাকলেই মিন্নি আদালতে সব ঘটনার বর্ণনা করতে পারত। এই হত্যার সঙ্গে মিন্নি আদৌ জড়িত নয়। এদিন আদালত প্রাঙ্গণে রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ যুগান্তরকে বলেন, একমাত্র ছেলে খুন হওয়ার পর কোনো কিছু ভালো লাগে না। সারাদিন রিফাতের মা কান্নাকাটি করে। সকালে রিফাতের মা আমাকে বলে, বেশি দিন বাঁচব না। ছেলের বিচার দেখে মরতে চাই। তিনি আরও বলেন, মনে করেছিলাম আজ অভিযোগ গঠন হবে। তাও হল না। এ বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে প্রথমে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাক বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পর সেখানেই মারা যান।

এ ঘটনায় ২৭ জুন রিফাতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। গ্রেফতার ১৫ আসামির সবাই এ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ১ সেপ্টেম্বর দুই খণ্ডে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শিশু আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচারের জন্য এবং প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারের জন্য দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগ গঠনের তারিখ আগামী ৮ জানুয়ারি নির্ধারিত রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা : ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১ জানুয়ারি

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

বরগুনা ও দক্ষিণ প্রতিনিধি; 

বরগুনায় আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ২০ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়, কিন্তু সেদিনও অভিযোগ গঠন হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার যুগান্তরকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ যাতে না হয় সেজন্য আদালতে প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় আদালত আমাকে আরও নথি পর্যালোচনা করতে বলেছেন। আমি সময়ের আবেদন করেছি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

এদিন এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে আট আসামিকে বরগুনা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা হল- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইয়ূম রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল সিফাত, রেজোয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে উপস্থিত হন। এছাড়া আসামি মুছা পলাতক রয়েছে। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা চার্জ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন আদালতে। অন্যদিকে আসামি মোহাইমিনুল সিফাত ও সাগরের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম ও কমল কান্তি দাস যুগান্তরকে বলেন, মিন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফকে সেদিন বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। মিন্নি ছিল প্রথমে সাক্ষী। সাক্ষী থাকলেই মিন্নি আদালতে সব ঘটনার বর্ণনা করতে পারত। এই হত্যার সঙ্গে মিন্নি আদৌ জড়িত নয়। এদিন আদালত প্রাঙ্গণে রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ যুগান্তরকে বলেন, একমাত্র ছেলে খুন হওয়ার পর কোনো কিছু ভালো লাগে না। সারাদিন রিফাতের মা কান্নাকাটি করে। সকালে রিফাতের মা আমাকে বলে, বেশি দিন বাঁচব না। ছেলের বিচার দেখে মরতে চাই। তিনি আরও বলেন, মনে করেছিলাম আজ অভিযোগ গঠন হবে। তাও হল না। এ বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে প্রথমে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাক বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পর সেখানেই মারা যান।

এ ঘটনায় ২৭ জুন রিফাতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। গ্রেফতার ১৫ আসামির সবাই এ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ১ সেপ্টেম্বর দুই খণ্ডে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শিশু আদালতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচারের জন্য এবং প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারের জন্য দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগ গঠনের তারিখ আগামী ৮ জানুয়ারি নির্ধারিত রয়েছে।