ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কঠোর অবস্থান থেকে সরলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের (আইসিসি) ওপর আরোপিত কড়াকড়ি শর্ত প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডে বিদেশ থেকে কোনো ধরনের পণ্য ও সেবা কিনতে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণের বাধ্যবাধকতা আর রইল না।

এর আগে অর্থপাচার রোধ, অনলাইনে জুয়াখেলাসহ বিভিন্ন অবৈধ খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ গ্রাহকরা। ফলে বিভিন্ন মহলের চাপে ১০ দিনের মাথায় সেই শর্ত প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেন অবৈধ লেনদেন সংঘটিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থা।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে বিদেশ থেকে পণ্য বা সেবা কেনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে গত ১৪ নভেম্বর সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে হলে গ্রাহককে অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফরম (ওটিএএফ) পূরণ করে মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বা হার্ডকপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি না পেলে ক্রেডিট কার্ডকে শুধু সেই লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেবে। ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া ওই কার্ড কাজ করবে না। মূলত অবৈধ লেনদেন বন্ধ ও অর্থপাচার রোধের যুক্তি দেখিয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়।

কিন্তু বাস্তবে দ্বৈতমুদ্রার কার্ডের মাধ্যমে অর্থপাচারের কোনো তথ্য বা ঝুঁকি দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিবেদন বা প্যানেল আলোচনায় উঠে আসেনি। তাই এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান নিয়মে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন।

নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য ও সেবার মূল্য বিদেশে পাঠানো যাবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে জুয়াখেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লেনদেন ঠেকাতে বাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য গ্রাহকের কেওয়াইসি, মানিলন্ডারিং গাইডলাইন্স পরিপালন এবং কর ও শুল্ক পরিশোধ নিশ্চিত করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এই সার্কুলারের ফলে গ্রাহককে কোনো অনুমোদন নিতে হবে না।

২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলারে আন্তর্জাতিক পণ্য কেনাকাটায় আইসিসি ব্যবহারকারী গ্রাহকদের এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বছরে তা কোনো অবস্থাতেই এক হাজার ডলারের বেশি হবে না। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশে অবস্থিত খ্যাতিমান ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে বৈধ পণ্য ও সেবা (যেমন : সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি) কিনতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কঠোর অবস্থান থেকে সরলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের (আইসিসি) ওপর আরোপিত কড়াকড়ি শর্ত প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডে বিদেশ থেকে কোনো ধরনের পণ্য ও সেবা কিনতে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণের বাধ্যবাধকতা আর রইল না।

এর আগে অর্থপাচার রোধ, অনলাইনে জুয়াখেলাসহ বিভিন্ন অবৈধ খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ গ্রাহকরা। ফলে বিভিন্ন মহলের চাপে ১০ দিনের মাথায় সেই শর্ত প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেন অবৈধ লেনদেন সংঘটিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থা।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে বিদেশ থেকে পণ্য বা সেবা কেনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে গত ১৪ নভেম্বর সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে হলে গ্রাহককে অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফরম (ওটিএএফ) পূরণ করে মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বা হার্ডকপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি না পেলে ক্রেডিট কার্ডকে শুধু সেই লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেবে। ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া ওই কার্ড কাজ করবে না। মূলত অবৈধ লেনদেন বন্ধ ও অর্থপাচার রোধের যুক্তি দেখিয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়।

কিন্তু বাস্তবে দ্বৈতমুদ্রার কার্ডের মাধ্যমে অর্থপাচারের কোনো তথ্য বা ঝুঁকি দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিবেদন বা প্যানেল আলোচনায় উঠে আসেনি। তাই এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান নিয়মে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন।

নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য ও সেবার মূল্য বিদেশে পাঠানো যাবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে জুয়াখেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লেনদেন ঠেকাতে বাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য গ্রাহকের কেওয়াইসি, মানিলন্ডারিং গাইডলাইন্স পরিপালন এবং কর ও শুল্ক পরিশোধ নিশ্চিত করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এই সার্কুলারের ফলে গ্রাহককে কোনো অনুমোদন নিতে হবে না।

২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলারে আন্তর্জাতিক পণ্য কেনাকাটায় আইসিসি ব্যবহারকারী গ্রাহকদের এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বছরে তা কোনো অবস্থাতেই এক হাজার ডলারের বেশি হবে না। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশে অবস্থিত খ্যাতিমান ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে বৈধ পণ্য ও সেবা (যেমন : সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি) কিনতে পারেন।