ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন Logo রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলার নিহত ৬০, দায় স্বীকার আইএসের




বিএনপিতে মতবিরোধ, অস্থিরতা, পদত্যাগের গুঞ্জন! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ৯০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
বিএনপি নেতাদের মতবিরোধ আগে সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। গুঞ্জন উঠেছে, দলটির সিনিয়র নেতাদের অনেকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন। তবে যাদের ঘিরে এ গুঞ্জন তারা বলছেন, দল ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

সম্প্রতি বিএনপি ছেড়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপি করে আসা এই জ্যেষ্ঠ নেতার পদত্যাগের পরদিনই দল ছাড়ার খবর আসে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের।

এ খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল। গয়েশ্বর-রিজভী ‘বিএনপিকে বড় দল’ উল্লেখ করে ‘এখান থেকে দু-চারজন গেলে কিছুই হয় না’ বললেও হাবিব-উন নবী খান সোহেলের মন্তব্য, ‘দলত্যাগীদের ভবিষ্যতে বিএনপি নিরাপত্তা দেবে না।’ প্রকাশ্য সভায় এসব কথা বলেন তারা।

এরই মধ্যে অন্তত পাঁচ-সাতজন সিনিয়র নেতার বিএনপি ছাড়ার গুঞ্জন ওঠে। যাদের পাঁচজনই ভাইস চেয়ারম্যান। তাদের মধ্যে আছেন- শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। এছাড়া অপর ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান দলে স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ না পেয়ে হাইকমান্ডের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ। বিক্ষুব্ধ নেতারা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসায় একত্রিত হয়ে বৈঠক করেন বলেও প্রচার পায়।

সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দল পরিচালনায় স্থায়ী কমিটির নেতা ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে ডেকে কথা বলেন। যার কোনো সিদ্ধান্ত এসব নেতা জানতে পারেন না। এসব কারণে তারা দলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

অন্য একটি সূত্রের দাবি, নেতাদের পদত্যাগ এবং পদত্যাগের খবর ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্রের একটা অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এটাও তার অংশ হতে পারে।

যেসব নেতাকে ঘিরে গুঞ্জন তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা একটা ভিত্তিহীন খবর, দল ছাড়ার জন্য আমি কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করিনি।’

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি নিজে থেকে অনেক নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই বলেছেন, এটা ভুয়া খবর।’

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যে দলে আছি, সে দল ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিএনপিতে মতবিরোধ, অস্থিরতা, পদত্যাগের গুঞ্জন! 

আপডেট সময় : ১০:১৫:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক; 
বিএনপি নেতাদের মতবিরোধ আগে সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। গুঞ্জন উঠেছে, দলটির সিনিয়র নেতাদের অনেকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন। তবে যাদের ঘিরে এ গুঞ্জন তারা বলছেন, দল ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

সম্প্রতি বিএনপি ছেড়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপি করে আসা এই জ্যেষ্ঠ নেতার পদত্যাগের পরদিনই দল ছাড়ার খবর আসে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের।

এ খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল। গয়েশ্বর-রিজভী ‘বিএনপিকে বড় দল’ উল্লেখ করে ‘এখান থেকে দু-চারজন গেলে কিছুই হয় না’ বললেও হাবিব-উন নবী খান সোহেলের মন্তব্য, ‘দলত্যাগীদের ভবিষ্যতে বিএনপি নিরাপত্তা দেবে না।’ প্রকাশ্য সভায় এসব কথা বলেন তারা।

এরই মধ্যে অন্তত পাঁচ-সাতজন সিনিয়র নেতার বিএনপি ছাড়ার গুঞ্জন ওঠে। যাদের পাঁচজনই ভাইস চেয়ারম্যান। তাদের মধ্যে আছেন- শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। এছাড়া অপর ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান দলে স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ না পেয়ে হাইকমান্ডের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ। বিক্ষুব্ধ নেতারা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসায় একত্রিত হয়ে বৈঠক করেন বলেও প্রচার পায়।

সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দল পরিচালনায় স্থায়ী কমিটির নেতা ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে ডেকে কথা বলেন। যার কোনো সিদ্ধান্ত এসব নেতা জানতে পারেন না। এসব কারণে তারা দলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

অন্য একটি সূত্রের দাবি, নেতাদের পদত্যাগ এবং পদত্যাগের খবর ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্রের একটা অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এটাও তার অংশ হতে পারে।

যেসব নেতাকে ঘিরে গুঞ্জন তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা একটা ভিত্তিহীন খবর, দল ছাড়ার জন্য আমি কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করিনি।’

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি নিজে থেকে অনেক নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই বলেছেন, এটা ভুয়া খবর।’

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যে দলে আছি, সে দল ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই।’