ক্ষমতা দেখাবে জামায়াত

- আপডেট সময় : ০৬:০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ২০২ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় সব রাজনৈতিক পক্ষ সক্রিয় হলেও জামায়াত ইসলামির ভূমিকা এখনো পরিষ্কার নয়। ক্ষমতাসীন জোটের বিরুদ্ধে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’ বিএনপির অগ্রণী ভূমিকা থাকলেও জামাতের অংশগ্রহণ নেই। তবে ঐক্যফ্রন্টকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে দলটি।
বিগত ১০ বছর আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে দলটি রাজনীতিতে একেবারেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তাদের নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধের বিচারে দলটি বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে হারিয়েছে।
এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আসলে কোন দিকে বা কোন কৌশলে এগোচ্ছে? এ বিষয়ে বিবিসি বাংলা একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের পরিকল্পনা কী এ বিষয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুর রহমান বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলেই জামায়াতের ভূমিকা দৃশ্যমান হবে – তখন আর কোনো ‘অদৃশ্য ভূমিকা’ জামায়াতের থাকবে না
তিনি বলেন, নির্বাচন কতদূর হচ্ছে সেটা নিয়েই তো কথা। যদি বিগত সিটি কর্পোরেশন মার্কা ইলেকশন হয়, সেটাতো কোনো ইলেকশন হবে না। যদি ১৪ সাল মার্কা ইলেকশন হয়, এটাতো কোনো ইলেকশন হবে না। যদি সুষ্ঠু ইলেকশন হয়, জামায়াতের ভূমিকা আপনারা দৃশ্যমান দেখতে পারবেন। কোনো অদৃশ্য ভূমিকা জামায়াতের থাকবে না
দল বছরে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও জামায়াত হারিয়ে যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, আমরা হারিয়ে যাইনি। সময়ের ক্যালকুলেশন করেই আমরা আগাচ্ছি। যখন যেটা দরকার। আপনি দেখবেন প্রকাশ্য বিভিন্ন কর্মসূচীতে আমাদের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করছেন। আমাদের নিয়মিত দলীয় কার্যক্রম আমরা চালাচ্ছি। আমাদের বক্তব্য বিবৃতি নিয়মিত আছে।
দলটি নিবন্ধন ফিরে না পেলেও সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিবন্ধন ফিরে পেতে তারা আপিল করা হয়েছে। ন্যায়বিচার যদি আমরা পাই, আশা করি অবশ্যই আমরা নিবন্ধন ফিরে পাব। নিবন্ধন যদি পাই প্রতীকও আমরা ফিরে পাব। যদি প্রতীক এবং নিবন্ধন কোনোটাই ফিরে না পাই। তারপরেও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে এবং প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকবে ইনশাআল্লাহ।