ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ




মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুললেন শাহাদাত রাজিব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা;
এই তো বছর দেড়েক আগে বাড়ির শিশুকর্মীর গায়ে হাত তুলে দারুণভাবে সমালোচিত, নিন্দিত হবার পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়ে পার পেয়েছিলে শাহাদাত হোসেন রাজিব। এবার আবার বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন জাতীয় দলের এই সাবেক পেসার।

খুলনায় জাতীয় লিগের খেলা চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুলেছেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। ফলে তাকে পড়তে হতে পারে নিষেধাজ্ঞায়।

জাতীয় লিগের এ পর্বে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে গতকাল (রোববার) ফিল্ডিংয়ের সময় সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানির (সিনিয়র আরাফাত সানি নন, এ আরাফাত সানির বাড়ী ফরিদপুর। তিনি অফস্পিনার। ব্যাট করেন বাঁ হাতে) গায়ে হাত তুলে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছেন রাজিব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিল্ডিংয়ের সময় প্রথমে রাজিব ও আরাফাত সানির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ছুটে গিয়ে আরাফাত সানিকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন রাজি। এমনকি লাথিও নাকি মারেন।

এ ম্যাচের ম্যাচ রেফারি সাবেক ক্রিকেটার শিপার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন নিজ চোখে। তিনি একটি রিপোর্টও দিয়েছেন। তার সে রিপোর্ট বোর্ডে চলেও গেছে। বোর্ডই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

আজ (রোববার) সকালে এ বিষয়ে সাথে কথা বলেন শিপার। যেহেতু তিনি ম্যাচ রেফারি। মাঠে ঘটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তার বোর্ডে পেশ করতেই হয়। তাই খেলা শেষে সাধারণত ম্যাচ রেফারি হিসেবে তার বোর্ডে রিপোর্ট জমা দেবার কথা।

বাের্ডের কিছু নিয়মনীতি থাকায় পুরো ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন শিপার। তবে রাজিব যে একই দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির গায়ে হাত তুলেছেন, তা স্বীকার করেছেন এই ম্যাচ রেফারি।

তার কথা, ‘অস্বীকার করার কিছুই নেই। প্রকাশ্য দিনের আলোয়, খেলা চলাকালীন সময়ে নিজ দলের ফিল্ডারকে থাপ্পর ও লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে। ঘটিয়েছেন শাহাদাত রাজিব। সেটা না দেখার কিছুই নেই। শুধু আমি কেন? মাঠে উপস্থিত সবাই দেখেছেন।’

এদিকে শাহাদাত রাজিব যে দলের হয়ে জাতীয় লিগ খেলছেন, সেই ঢাকা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম সাথে মুঠোফোন আলাপে অবশ্য বললেন অন্যরকম কথা। তার দাবি, গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেনি।

তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা ড্রেসিং রুম থেকে দেখেছি রাজিব আর আরাফাত সানির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। রাজিব তেড়ে গিয়ে শাসাচ্ছিল। তবে গায়ে হাত তুলেছে, তা দেখিনি আমি। আমার মনে হয় এটা নিছক ভুল বোঝাবুঝি। আমরা ড্রেসিং রুমে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেছি। এখন আর সমস্যা নেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুললেন শাহাদাত রাজিব

আপডেট সময় : ০১:২৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

বিশেষ সংবাদদাতা;
এই তো বছর দেড়েক আগে বাড়ির শিশুকর্মীর গায়ে হাত তুলে দারুণভাবে সমালোচিত, নিন্দিত হবার পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়ে পার পেয়েছিলে শাহাদাত হোসেন রাজিব। এবার আবার বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন জাতীয় দলের এই সাবেক পেসার।

খুলনায় জাতীয় লিগের খেলা চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুলেছেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। ফলে তাকে পড়তে হতে পারে নিষেধাজ্ঞায়।

জাতীয় লিগের এ পর্বে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে গতকাল (রোববার) ফিল্ডিংয়ের সময় সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানির (সিনিয়র আরাফাত সানি নন, এ আরাফাত সানির বাড়ী ফরিদপুর। তিনি অফস্পিনার। ব্যাট করেন বাঁ হাতে) গায়ে হাত তুলে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছেন রাজিব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিল্ডিংয়ের সময় প্রথমে রাজিব ও আরাফাত সানির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ছুটে গিয়ে আরাফাত সানিকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন রাজি। এমনকি লাথিও নাকি মারেন।

এ ম্যাচের ম্যাচ রেফারি সাবেক ক্রিকেটার শিপার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন নিজ চোখে। তিনি একটি রিপোর্টও দিয়েছেন। তার সে রিপোর্ট বোর্ডে চলেও গেছে। বোর্ডই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

আজ (রোববার) সকালে এ বিষয়ে সাথে কথা বলেন শিপার। যেহেতু তিনি ম্যাচ রেফারি। মাঠে ঘটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তার বোর্ডে পেশ করতেই হয়। তাই খেলা শেষে সাধারণত ম্যাচ রেফারি হিসেবে তার বোর্ডে রিপোর্ট জমা দেবার কথা।

বাের্ডের কিছু নিয়মনীতি থাকায় পুরো ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন শিপার। তবে রাজিব যে একই দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির গায়ে হাত তুলেছেন, তা স্বীকার করেছেন এই ম্যাচ রেফারি।

তার কথা, ‘অস্বীকার করার কিছুই নেই। প্রকাশ্য দিনের আলোয়, খেলা চলাকালীন সময়ে নিজ দলের ফিল্ডারকে থাপ্পর ও লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে। ঘটিয়েছেন শাহাদাত রাজিব। সেটা না দেখার কিছুই নেই। শুধু আমি কেন? মাঠে উপস্থিত সবাই দেখেছেন।’

এদিকে শাহাদাত রাজিব যে দলের হয়ে জাতীয় লিগ খেলছেন, সেই ঢাকা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম সাথে মুঠোফোন আলাপে অবশ্য বললেন অন্যরকম কথা। তার দাবি, গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেনি।

তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা ড্রেসিং রুম থেকে দেখেছি রাজিব আর আরাফাত সানির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। রাজিব তেড়ে গিয়ে শাসাচ্ছিল। তবে গায়ে হাত তুলেছে, তা দেখিনি আমি। আমার মনে হয় এটা নিছক ভুল বোঝাবুঝি। আমরা ড্রেসিং রুমে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেছি। এখন আর সমস্যা নেই।’