ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আচরণে প্রাক্তন প্রেমিকা ‘অপমানিত’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দিকে আবারও অভিযোগের তীর। সম্পর্ক থাকাকালীন বরিস তার কথিত প্রাক্তন প্রেমিকা জেনিফার আরকিউরির প্রতি পক্ষপাত আচরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটেনের এক চ্যানেলে জেনিফার আরকিউরি এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বরিসের এখনকার আচরণে তার খুব ‘অপমানিত’ লাগছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের মেয়রের পদে থাকাকালীন বরিসের সুবাদে বিদেশে অসংখ্য বাণিজ্য-সফর এবং অনুদান পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ জেনিফার আরকিউরির। এখন জেনিফার বলছেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘এক রাতের সঙ্গী’ হিসেবে যেভাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন তাতে তিনি ব্যথিত।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত। আসছে ডিসেম্বরে ভোটের জন্য এখন প্রচারে ব্যস্ত বরিস। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগপতি জেনিফার দাবি করেছেন, বিতর্ক শুরু হতেই বরিসের কাছে পরামর্শ চেয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাতে অবশ্য সাড়া দেননি বরিস জনসন।

চ্যানেলটিতে জনসনের উদ্দেশ্যে জেনিফার বলেছেন, ‘আমাকে ‘নিষ্কর্মা’ মনে করে যেভাবে সরিয়ে দিয়েছ তুমি, তাতে আমার খুব খারাপ লাগছে। জানি না কেন এভাবে আমার সঙ্গে কথা বলার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছ। মনে হচ্ছে, আমি যেন ‘কোনো বার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া এক রাতের সঙ্গী’ ছিলাম তোমার! আসলে তো সেটা ছিলাম না, তুমি অন্তত জানো। কী ভীষণ অপমানিত লাগছে।’

২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনের মেয়র ছিলেন বরিস জনসন। জেনিফারের দাবি, তার সঙ্গে বরিসের চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল। যদিও জেনিফার নিজেই তা মানতে চাননি। ৩৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন জেনিফার।

সাক্ষাৎকার দিতে লন্ডনে এসে জেনিফার বলেন, ‘খবরটা যখন প্রথম ছড়াল, অর্ধেকের বেশি লোকজন বলেছিল, গোটা বিষয়টা অস্বীকার করো। বাকিরা বলেছিল, সম্পর্ক ছিল, সেটা বলো।’

জেনিফারের সঙ্গে বরিসের যে সময়ে সম্পর্ক ছিল বলে দাবি, তখন তিনি বিবাহিত। পরে কনজারভেটিভ পার্টির কেরি সাইমন্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে যান জনসন। কেরির সঙ্গেই এখন ডাউনিং স্ট্রিটে থাকেন তিনি।

জেনিফারকে নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোর পরে বরিস প্রাথমিকভাবে জানান, তার ওই কাজের মাধ্যমে স্বার্থের কোনো সংঘাত হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে ব্যাপারে কিছু জানানোর প্রয়োজন ছিল বলে তার মনে হয়নি।

মেয়র থাকাকালীন জেনিফারকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ডলার দেয়া হয়েছিল বলে দাবি বরিসের। তিনটি বিদেশি বাণিজ্য সংস্থায় তাকে সুবিধা দেয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে জেনিফার আরকিউরি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা, সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং প্রডিউসার বলে বর্ণনা করেন। তিনি প্রথম কাজ শুরু করেন রেডিও ডিজনির ডিজে হিসেবে। এরপর তিনি ফিল্ম প্রযোজনা এবং পরিচালনার কাজেও যুক্ত ছিলেন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আচরণে প্রাক্তন প্রেমিকা ‘অপমানিত’

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দিকে আবারও অভিযোগের তীর। সম্পর্ক থাকাকালীন বরিস তার কথিত প্রাক্তন প্রেমিকা জেনিফার আরকিউরির প্রতি পক্ষপাত আচরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটেনের এক চ্যানেলে জেনিফার আরকিউরি এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বরিসের এখনকার আচরণে তার খুব ‘অপমানিত’ লাগছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের মেয়রের পদে থাকাকালীন বরিসের সুবাদে বিদেশে অসংখ্য বাণিজ্য-সফর এবং অনুদান পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ জেনিফার আরকিউরির। এখন জেনিফার বলছেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘এক রাতের সঙ্গী’ হিসেবে যেভাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন তাতে তিনি ব্যথিত।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত। আসছে ডিসেম্বরে ভোটের জন্য এখন প্রচারে ব্যস্ত বরিস। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগপতি জেনিফার দাবি করেছেন, বিতর্ক শুরু হতেই বরিসের কাছে পরামর্শ চেয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাতে অবশ্য সাড়া দেননি বরিস জনসন।

চ্যানেলটিতে জনসনের উদ্দেশ্যে জেনিফার বলেছেন, ‘আমাকে ‘নিষ্কর্মা’ মনে করে যেভাবে সরিয়ে দিয়েছ তুমি, তাতে আমার খুব খারাপ লাগছে। জানি না কেন এভাবে আমার সঙ্গে কথা বলার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছ। মনে হচ্ছে, আমি যেন ‘কোনো বার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া এক রাতের সঙ্গী’ ছিলাম তোমার! আসলে তো সেটা ছিলাম না, তুমি অন্তত জানো। কী ভীষণ অপমানিত লাগছে।’

২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনের মেয়র ছিলেন বরিস জনসন। জেনিফারের দাবি, তার সঙ্গে বরিসের চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল। যদিও জেনিফার নিজেই তা মানতে চাননি। ৩৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন জেনিফার।

সাক্ষাৎকার দিতে লন্ডনে এসে জেনিফার বলেন, ‘খবরটা যখন প্রথম ছড়াল, অর্ধেকের বেশি লোকজন বলেছিল, গোটা বিষয়টা অস্বীকার করো। বাকিরা বলেছিল, সম্পর্ক ছিল, সেটা বলো।’

জেনিফারের সঙ্গে বরিসের যে সময়ে সম্পর্ক ছিল বলে দাবি, তখন তিনি বিবাহিত। পরে কনজারভেটিভ পার্টির কেরি সাইমন্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে যান জনসন। কেরির সঙ্গেই এখন ডাউনিং স্ট্রিটে থাকেন তিনি।

জেনিফারকে নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোর পরে বরিস প্রাথমিকভাবে জানান, তার ওই কাজের মাধ্যমে স্বার্থের কোনো সংঘাত হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে ব্যাপারে কিছু জানানোর প্রয়োজন ছিল বলে তার মনে হয়নি।

মেয়র থাকাকালীন জেনিফারকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ডলার দেয়া হয়েছিল বলে দাবি বরিসের। তিনটি বিদেশি বাণিজ্য সংস্থায় তাকে সুবিধা দেয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে জেনিফার আরকিউরি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা, সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং প্রডিউসার বলে বর্ণনা করেন। তিনি প্রথম কাজ শুরু করেন রেডিও ডিজনির ডিজে হিসেবে। এরপর তিনি ফিল্ম প্রযোজনা এবং পরিচালনার কাজেও যুক্ত ছিলেন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা