ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রশ্নফাঁসে ১০ জনের সাজা, খালাস ১১৪ Logo জাতীয় লেখক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত Logo আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সামার-২০২৪ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo ঘুমের ঘোরে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর: পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা Logo রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান সাবেক ডিআইজি হাবিব? Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’




মিউজিক ভিডিওর নামে সামাদের রমমরা দেহ ব্যবসা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ হাসান রেহানঃ  

রাজধানী ঢাকায় মিউজিক ভিডিও মডেলিংয়ে সুযোগ দেওয়ার নামে চলছে কথিত পরিচালক সামাদের রমমরা দেহ ব্যবসা। উঠতি মডেলরাও তার সহায়তায় সুযোগ লুফে নিচ্ছেন। কারন একবার পর্দায় চেহারাটা দেখাতে পারলেই উঠতি বয়সের মডেলরা বাড়তি রোজগারের আশায় ধনীর দুলালদের শয্যা সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। আর এমন সুযোগ দেওয়ার নামে একটা দেহ ব্যাবসার দোকান খুলে বসেছে সামাদ।

আর এসব দালালী করে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এই অখ্যাত মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা। জানা গেছে, মিউজিক ভিডিও তৈরির কথা বলে উঠতি মডেল কন্যাদের ধনীদের কাছে যাওয়া হয় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও পর্যটন এলাকা সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্নস্থানে সময় কাটানোর জন্য ভাড়ায় দেওয়ার রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এই সামাদ। সেখানে আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেল মোটেলে যায় দালাল নির্মাতাদের ঠিক করে রাখা ব্যবসায়ী ও বড়লোকদের ছেলেরা। যারা টাকার বিনিময়ে মডেলদের সঙ্গে সময় কাটান।

রাজধানীতে এসব কাজের মূল হোতা কাজলা এলাকার সামাদ, সে নাকি তার প্রতিষ্টানের মেয়েদের মডেল বানানো ও চাকুরি দেয়ার নাম করে সে সকল মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করেন তিনি। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে তার প্রস্তাবে কোনো মডেল রাজি না হলে সে মেয়েদের ব্ল্যাক মেইল করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন সামাদ। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে , বিবাড়ীয়া জেলার এই সামাদ মাত্র ৮ পাশ করেই ঢাকা আসে বিভন্ন অফিসে পিয়নের কাজ করলেও সে নাকি এখন একটি কথিত অনলাইন টিভি চ্যানেলের মালিক। সেই চ্যানেলের পোষ্টার ব্যনার দিয়ে মৌচাক দেশ টেলিভিশনের নিচে রয়েছে একটি ফিটফাট অফিস। ব্যাক্তি জীবনে ২ টি বিয়ে সহ রয়েছে অসংখ্য কথিত বউ । এসব ভিডিও বাজারে ছেড়ে ব্যবসার উদ্যেশ্যে তৈরি হয়না তাদের আসল উদ্যেশ্য থাকে উঠতি বয়সের সুন্দরী মেয়েদের মডেল বানিয়ে তাদের টাকা পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নামানো এবং এসব থেকে মোটা অংকের টাকা কামানো। আর এতে করে বাজার হারাচ্ছে আসল ও মান সম্পন্ন মিউজিক ভিডিও। আর দুর্নাম কুড়াচ্ছে মিডিয়া পাড়া। অপরদিকে নোংড়া মডেলদের এসব কর্মকান্ডে কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে স্বনামধন্য মডেলরা। তাদের দাবি, এসব কেলেংকারীর খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় আসার পর থেকে পারিবারিকভাবে এই পথ ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। দুর্নামের ভয়ে অনেক ভাল মডেল চলে যাচ্ছেন অন্তরালে।

মডেলিংয়ের আড়ালে সামাদের পতিতা ব্যবসার বিস্তারিত আসছে পরের পর্বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মিউজিক ভিডিওর নামে সামাদের রমমরা দেহ ব্যবসা!

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

জাহিদ হাসান রেহানঃ  

রাজধানী ঢাকায় মিউজিক ভিডিও মডেলিংয়ে সুযোগ দেওয়ার নামে চলছে কথিত পরিচালক সামাদের রমমরা দেহ ব্যবসা। উঠতি মডেলরাও তার সহায়তায় সুযোগ লুফে নিচ্ছেন। কারন একবার পর্দায় চেহারাটা দেখাতে পারলেই উঠতি বয়সের মডেলরা বাড়তি রোজগারের আশায় ধনীর দুলালদের শয্যা সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। আর এমন সুযোগ দেওয়ার নামে একটা দেহ ব্যাবসার দোকান খুলে বসেছে সামাদ।

আর এসব দালালী করে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এই অখ্যাত মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা। জানা গেছে, মিউজিক ভিডিও তৈরির কথা বলে উঠতি মডেল কন্যাদের ধনীদের কাছে যাওয়া হয় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও পর্যটন এলাকা সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্নস্থানে সময় কাটানোর জন্য ভাড়ায় দেওয়ার রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এই সামাদ। সেখানে আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেল মোটেলে যায় দালাল নির্মাতাদের ঠিক করে রাখা ব্যবসায়ী ও বড়লোকদের ছেলেরা। যারা টাকার বিনিময়ে মডেলদের সঙ্গে সময় কাটান।

রাজধানীতে এসব কাজের মূল হোতা কাজলা এলাকার সামাদ, সে নাকি তার প্রতিষ্টানের মেয়েদের মডেল বানানো ও চাকুরি দেয়ার নাম করে সে সকল মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করেন তিনি। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে তার প্রস্তাবে কোনো মডেল রাজি না হলে সে মেয়েদের ব্ল্যাক মেইল করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন সামাদ। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে , বিবাড়ীয়া জেলার এই সামাদ মাত্র ৮ পাশ করেই ঢাকা আসে বিভন্ন অফিসে পিয়নের কাজ করলেও সে নাকি এখন একটি কথিত অনলাইন টিভি চ্যানেলের মালিক। সেই চ্যানেলের পোষ্টার ব্যনার দিয়ে মৌচাক দেশ টেলিভিশনের নিচে রয়েছে একটি ফিটফাট অফিস। ব্যাক্তি জীবনে ২ টি বিয়ে সহ রয়েছে অসংখ্য কথিত বউ । এসব ভিডিও বাজারে ছেড়ে ব্যবসার উদ্যেশ্যে তৈরি হয়না তাদের আসল উদ্যেশ্য থাকে উঠতি বয়সের সুন্দরী মেয়েদের মডেল বানিয়ে তাদের টাকা পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নামানো এবং এসব থেকে মোটা অংকের টাকা কামানো। আর এতে করে বাজার হারাচ্ছে আসল ও মান সম্পন্ন মিউজিক ভিডিও। আর দুর্নাম কুড়াচ্ছে মিডিয়া পাড়া। অপরদিকে নোংড়া মডেলদের এসব কর্মকান্ডে কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে স্বনামধন্য মডেলরা। তাদের দাবি, এসব কেলেংকারীর খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় আসার পর থেকে পারিবারিকভাবে এই পথ ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। দুর্নামের ভয়ে অনেক ভাল মডেল চলে যাচ্ছেন অন্তরালে।

মডেলিংয়ের আড়ালে সামাদের পতিতা ব্যবসার বিস্তারিত আসছে পরের পর্বে।