অনলাইন ডেস্ক |
টেস্ট ক্রিকেটে ভালো ফল পেতে হলে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির বদলের কথা বলেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। এবার সেই অপ্রিয় সত্যগুলো বেরিয়ে এল বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠ থেকে। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন। সেখানেই বলে গেলেন, যেভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোচ্ছে, সেভাবে চললে হবে না।
ডমিঙ্গো বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন খুব বেশি দিন হয়নি। তবে টেস্ট যুগে বাংলাদেশ ১৯ পেরেয়ে ২০-এ পা দিয়েছে। কিন্তু প্রায় ২০ বছর সময়ে মাত্র ১৩টি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ।
ডমিঙ্গো সেই রেকর্ড তুলে ধরে বলছেন, ‘১১৫ ম্যাচে ১৩টি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। এটা অনেক দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ঘটেছে। আমি নির্বাচকদের সঙ্গে আলাপ করতে চাই, কীভাবে এগোনো যায়। অবশ্যই কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে হবে। না হলে ফল একই রকম হতে থাকবে।’
ইন্দোরে প্রথম দুই দিন চূড়ান্ত হতাশায় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সাতজন ব্যাটসম্যান ও চার বোলার নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে টাইগারদের গেমপ্ল্যান। মাত্র ৪ বোলার নিয়ে যে টেস্ট জেতা যায় না, সেটি এদিন স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ কোচ।
কিন্তু কেন বাংলাদেশ চার বোলার নিয়ে খেলছে সেটির ব্যাখ্যায় এসেছে কোচের অসহায়ত্ব। ডমিঙ্গো বলেন, ‘দুই পেসার নিয়ে খেলা সত্যিই কঠিন। আমাদের তৃতীয় একজন পেসার খুঁজে বের করতে হবে যে ব্যাটিংও করতে পারে। সাইফউদ্দিন আছে, কিন্তু সে চোটে পড়েছে। দলের যে কাঠামো, এটা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।’
টেস্ট ক্রিকেটে এত বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে খেলার সাহস করতে পারে না। সেটি না পারার যুক্তিসংগত কারণও আছে। দেশে খেলা হলে স্পিনবান্ধব উইকেট তৈরি করা হয়। কোনো পেসার ছাড়াই খেলার সংস্কৃতিও গড়ে উঠেছিল কিছুদিন।
ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটগুলোও এমন, খুব বেশি বল করার সুযোগ পান না পেসাররা। বিদেশের মাটিতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশি পেসারদের সংগ্রাম করতে হয়। অথচ দল তখন তাকিয়ে থাকে তাদের দিকেই।
ডমিঙ্গো বলছেন, ‘বাংলাদেশের অবশ্যই পেস বোলারদের উন্নতির ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। ফাস্ট বোলারদের জন্য ভালো উইকেট তৈরি করতে হবে।’
ভারত যে বিষয়টা অনেক আগেই অনুধাবন করতে পেরেছে। আর এ কারণেই এখন ঘরের মাঠে ভারতীয় দল পেসারদের ওপরও নির্ভর করছে। এমনকি স্পিনারদের চেয়ে কখনো পেসাররাই উজ্জ্বল থাকছেন।
ডমিঙ্গো তাই ভারতের উদাহরণ টানলেন, ‘ভারত আর স্পিনের ওপর নির্ভর করে না। তারা ভালো উইকেট তৈরি করছে এবং ফাস্ট বোলারদের দারুণ ভাবে প্রস্তুত করছে।’