ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




আইনজীবীকে মেরে, হাতকড়া পরিয়ে লকআপে পাঠালেন এসআই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ৮১ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি |

দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে জমিজমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে দায়ের মামলায় আপস না করায় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে প্রকাশ্যে মারধর ও হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের লকআপে আটক রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জেলা সদরের শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালন্দ মোড় কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাসুদুর রহমান শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাজমুল হককে তার ভাইয়ের জমি বিক্রির বিষয়ে দায়ের পিএমশান (অগ্রক্রয়) মামলা তুলে নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে বলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই এসআই ফোনে তার অবস্থান জেনে নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করতে বলেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এসআই মাসুদ পুলিশ কনস্টেবল রবিউলসহ একটি মোটরসাইকেলে গোয়ালন্দ মোড় কাঁচা বাজারে পৌঁছে নাজমুলকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে এসআই মাসুদুর রহমান তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে ওই ভয় দেখান এবং প্রকাশ্যে হাতকড়া পড়িয়ে মোটরসাইকেলে নাজমুলকে তুলে নিয়ে যান।

নাজমুলের পরিবারের অভিযোগ, খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়েও দারোগা মাসুদ ও পুলিশ কনস্টেবল রবিউল তাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে তদন্ত কেন্দ্রের লকআপে রেখে দেয়।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. ফজলুর রহমানকে জানালে তার নির্দেশে প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয় জামিনদারের মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল হক।

অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার গোয়ালন্দ মোড় কাঁচাবাজারে তার শ্বশুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আ. সামাদ বেপারী দোকান ঘর মেরামতের সময় এসআই মাসুদ সেখানে হানা দিয়ে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং তার দোকানের নির্মাণ সামগ্রী ফাঁড়িতে নিয়ে যান। পরদিন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. ফজলুর রহমান এ বিষয়ে উক্ত দারোগাকে মোবাইল ফোনে শাসিয়ে দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই মাসুদ নাজমুলকে মারধর ও হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আটক রাখে।

অভিযোগের বিষয়ে এসআই মাসুদ শুক্রবার বলেন, দুপক্ষের বিরোধের কারণে নাজমুলকে আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। এর চেয়ে বেশি কোনো কথা বলতে তিনি অপারগতা জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি দুজনের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা। এটি মিটে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আইনজীবীকে মেরে, হাতকড়া পরিয়ে লকআপে পাঠালেন এসআই

আপডেট সময় : ১১:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

রাজবাড়ী প্রতিনিধি |

দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে জমিজমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে দায়ের মামলায় আপস না করায় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে প্রকাশ্যে মারধর ও হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের লকআপে আটক রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জেলা সদরের শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালন্দ মোড় কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাসুদুর রহমান শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাজমুল হককে তার ভাইয়ের জমি বিক্রির বিষয়ে দায়ের পিএমশান (অগ্রক্রয়) মামলা তুলে নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে বলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই এসআই ফোনে তার অবস্থান জেনে নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করতে বলেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এসআই মাসুদ পুলিশ কনস্টেবল রবিউলসহ একটি মোটরসাইকেলে গোয়ালন্দ মোড় কাঁচা বাজারে পৌঁছে নাজমুলকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে এসআই মাসুদুর রহমান তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে ওই ভয় দেখান এবং প্রকাশ্যে হাতকড়া পড়িয়ে মোটরসাইকেলে নাজমুলকে তুলে নিয়ে যান।

নাজমুলের পরিবারের অভিযোগ, খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়েও দারোগা মাসুদ ও পুলিশ কনস্টেবল রবিউল তাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে তদন্ত কেন্দ্রের লকআপে রেখে দেয়।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. ফজলুর রহমানকে জানালে তার নির্দেশে প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয় জামিনদারের মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল হক।

অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার গোয়ালন্দ মোড় কাঁচাবাজারে তার শ্বশুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আ. সামাদ বেপারী দোকান ঘর মেরামতের সময় এসআই মাসুদ সেখানে হানা দিয়ে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং তার দোকানের নির্মাণ সামগ্রী ফাঁড়িতে নিয়ে যান। পরদিন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. ফজলুর রহমান এ বিষয়ে উক্ত দারোগাকে মোবাইল ফোনে শাসিয়ে দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই মাসুদ নাজমুলকে মারধর ও হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আটক রাখে।

অভিযোগের বিষয়ে এসআই মাসুদ শুক্রবার বলেন, দুপক্ষের বিরোধের কারণে নাজমুলকে আটক করে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। এর চেয়ে বেশি কোনো কথা বলতে তিনি অপারগতা জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি দুজনের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা। এটি মিটে গেছে।