ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সিনিয়র ছাত্রীর দাঁত ভেঙে দিল বখাটে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

কলেজের সিনিয়র ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে ইটের আঘাতে তার পাঁচটি দাঁত ভেঙে দিয়েছে আজমির উল্লাহ (১৮) নামে এক বখাটে ছাত্র।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তারকে (১৯) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খাদিজা ওই কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি সদর উপজেলার চর কোয়ারপুর গ্রামে। বাবার নাম আবুল কালাম ঢালী।

অপরদিকে আজমিরও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি শরীয়তপুর পৌরসভার তুলাসার গ্রামে। বাবার নাম শাহ আলম খান। এ ঘটনায় খাদিজার বাবা থানায় মামলা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, আজমির দুই মাস ধরে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথম দিকে ওই ছাত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিতেন না। এক পর্যায়ে সহপাঠীদের মাধ্যমে আজমিরকে সতর্ক করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বুধবার ক্লাস শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় তার পথরোধ করে আজমির। খাদিজা এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আজমির ইট দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। এতে খাদিজার ওপরের মাড়ির তিনটি ও নিচের মাড়ির দুটি দাঁত ভেঙে যায়। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার জানান, খাদিজার পাঁচটি দাঁত ভেঙে গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মুখে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু সদর হাসপাতালের দন্ত বিভাগে এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদিজার এক সহপাঠি বলেন, ছেলেটি আমাদের জুনিয়র। তাকে অনেকবার বারণ করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি সে যা চাইছে তা ঠিক নয়। কিন্তু সে বেপরোয়া ছিল। কারও কোনো কথা শোনেনি। আমরা বিষয়টি নিজেরা মোকাবিলা করতে চেয়েছিলাম। এ কারণে কলেজের শিক্ষকদের জানাইনি।

খাদিজার বাবা আবুল কালাম বলেন, কলেজে একটি ছেলে উত্ত্যক্ত করত তা মেয়ে বাড়িতে দুই-একবার বলেছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি কখনো গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু এর মূল্য এমনভাবে দিতে হবে বুঝতে পারিনি।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামী শনিবার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক পরিষদের সভা ডেকেছি।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় আজমিরের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি।

পালং মডেল থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বখাটে আজমির বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার হওয়ার পর আজমির পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সিনিয়র ছাত্রীর দাঁত ভেঙে দিল বখাটে

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি

কলেজের সিনিয়র ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে ইটের আঘাতে তার পাঁচটি দাঁত ভেঙে দিয়েছে আজমির উল্লাহ (১৮) নামে এক বখাটে ছাত্র।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তারকে (১৯) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খাদিজা ওই কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি সদর উপজেলার চর কোয়ারপুর গ্রামে। বাবার নাম আবুল কালাম ঢালী।

অপরদিকে আজমিরও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি শরীয়তপুর পৌরসভার তুলাসার গ্রামে। বাবার নাম শাহ আলম খান। এ ঘটনায় খাদিজার বাবা থানায় মামলা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, আজমির দুই মাস ধরে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথম দিকে ওই ছাত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিতেন না। এক পর্যায়ে সহপাঠীদের মাধ্যমে আজমিরকে সতর্ক করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বুধবার ক্লাস শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় তার পথরোধ করে আজমির। খাদিজা এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আজমির ইট দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। এতে খাদিজার ওপরের মাড়ির তিনটি ও নিচের মাড়ির দুটি দাঁত ভেঙে যায়। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার জানান, খাদিজার পাঁচটি দাঁত ভেঙে গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মুখে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু সদর হাসপাতালের দন্ত বিভাগে এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদিজার এক সহপাঠি বলেন, ছেলেটি আমাদের জুনিয়র। তাকে অনেকবার বারণ করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি সে যা চাইছে তা ঠিক নয়। কিন্তু সে বেপরোয়া ছিল। কারও কোনো কথা শোনেনি। আমরা বিষয়টি নিজেরা মোকাবিলা করতে চেয়েছিলাম। এ কারণে কলেজের শিক্ষকদের জানাইনি।

খাদিজার বাবা আবুল কালাম বলেন, কলেজে একটি ছেলে উত্ত্যক্ত করত তা মেয়ে বাড়িতে দুই-একবার বলেছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি কখনো গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু এর মূল্য এমনভাবে দিতে হবে বুঝতে পারিনি।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামী শনিবার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক পরিষদের সভা ডেকেছি।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় আজমিরের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি।

পালং মডেল থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বখাটে আজমির বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার হওয়ার পর আজমির পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।