ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

হোটেল বয় থেকে কোটিপতি যুবলীগ নেতা জাকির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ২০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৯৩৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গণপূর্তসহ বিভিন্ন বিভাগে ঠিকাদারি করেন জাকির। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জাকির এন্টারপ্রাইজ। কাকরাইলে বিপাশা নামে একটি রেস্টুরেন্টও আছে তার। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ আছে। তবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া জাকির এক সময় কাকরাইলের পায়েল হোটেল ও ম্যাডোনা হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সে চাকরি ছেড়ে তিনি একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় সম্রাটের সঙ্গে। আস্থা অর্জন করায় জাকিরকে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর দায়িত্ব দেন সম্রাট। এরপর থেকে জাকিরের টাকা-পয়সা হুহু করে বাড়তে থাকে।

তার কাছে সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে বলেও ধারণা যুবলীগের অনেকের। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জাকিরের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে দুদক। সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে জাকিরের রয়েছে তিনটি বাড়ি। শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় রয়েছে ২৮টি ফ্ল্যাট। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আছে ১০০ কাঠা জমি। কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের যে ভবনটিকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই ভবনের চতুর্থ তলাও জাকিরের কেনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে ভোলা জেলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

হোটেল বয় থেকে কোটিপতি যুবলীগ নেতা জাকির

আপডেট সময় : ১০:৪১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৯৩৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গণপূর্তসহ বিভিন্ন বিভাগে ঠিকাদারি করেন জাকির। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জাকির এন্টারপ্রাইজ। কাকরাইলে বিপাশা নামে একটি রেস্টুরেন্টও আছে তার। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ আছে। তবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া জাকির এক সময় কাকরাইলের পায়েল হোটেল ও ম্যাডোনা হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সে চাকরি ছেড়ে তিনি একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় সম্রাটের সঙ্গে। আস্থা অর্জন করায় জাকিরকে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর দায়িত্ব দেন সম্রাট। এরপর থেকে জাকিরের টাকা-পয়সা হুহু করে বাড়তে থাকে।

তার কাছে সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে বলেও ধারণা যুবলীগের অনেকের। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জাকিরের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে দুদক। সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে জাকিরের রয়েছে তিনটি বাড়ি। শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় রয়েছে ২৮টি ফ্ল্যাট। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আছে ১০০ কাঠা জমি। কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের যে ভবনটিকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই ভবনের চতুর্থ তলাও জাকিরের কেনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে ভোলা জেলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।