ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




হোটেল বয় থেকে কোটিপতি যুবলীগ নেতা জাকির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৯৩৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গণপূর্তসহ বিভিন্ন বিভাগে ঠিকাদারি করেন জাকির। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জাকির এন্টারপ্রাইজ। কাকরাইলে বিপাশা নামে একটি রেস্টুরেন্টও আছে তার। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ আছে। তবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া জাকির এক সময় কাকরাইলের পায়েল হোটেল ও ম্যাডোনা হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সে চাকরি ছেড়ে তিনি একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় সম্রাটের সঙ্গে। আস্থা অর্জন করায় জাকিরকে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর দায়িত্ব দেন সম্রাট। এরপর থেকে জাকিরের টাকা-পয়সা হুহু করে বাড়তে থাকে।

তার কাছে সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে বলেও ধারণা যুবলীগের অনেকের। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জাকিরের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে দুদক। সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে জাকিরের রয়েছে তিনটি বাড়ি। শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় রয়েছে ২৮টি ফ্ল্যাট। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আছে ১০০ কাঠা জমি। কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের যে ভবনটিকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই ভবনের চতুর্থ তলাও জাকিরের কেনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে ভোলা জেলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হোটেল বয় থেকে কোটিপতি যুবলীগ নেতা জাকির

আপডেট সময় : ১০:৪১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৯৩৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গণপূর্তসহ বিভিন্ন বিভাগে ঠিকাদারি করেন জাকির। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জাকির এন্টারপ্রাইজ। কাকরাইলে বিপাশা নামে একটি রেস্টুরেন্টও আছে তার। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ আছে। তবে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া জাকির এক সময় কাকরাইলের পায়েল হোটেল ও ম্যাডোনা হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সে চাকরি ছেড়ে তিনি একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় সম্রাটের সঙ্গে। আস্থা অর্জন করায় জাকিরকে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর দায়িত্ব দেন সম্রাট। এরপর থেকে জাকিরের টাকা-পয়সা হুহু করে বাড়তে থাকে।

তার কাছে সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের অনেক টাকা গচ্ছিত আছে বলেও ধারণা যুবলীগের অনেকের। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জাকিরের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে দুদক। সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টন ও বিজয়নগরে জাকিরের রয়েছে তিনটি বাড়ি। শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় রয়েছে ২৮টি ফ্ল্যাট। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আছে ১০০ কাঠা জমি। কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের যে ভবনটিকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই ভবনের চতুর্থ তলাও জাকিরের কেনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে ভোলা জেলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।