ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ Logo আওয়ামী দোসর মিডিয়া পুনর্বাসনকারী নেতাদের অবাঞ্ছিত করার দাবি বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকদের Logo ফায়ার সার্ভিসের মহানুভবতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের কৃতজ্ঞতা Logo সোনা চোরাকারবারি দিলীপের সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পাদক সহ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দোসর ফায়ার সার্ভিস আনোয়ারের দুর্নীতি: ডিজিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! Logo আশা ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও মিলাদ Logo বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মাফিয়া অর্থ পাচারকারী শিহাব কোথায়?




এক পিস পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন রিপোর্ট

পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে। দুদিন আগে যে পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ এখন ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অনেক স্থানে এক রাতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ৮০ টাকা। কোথাও কোথাও একটি পেঁয়াজ ৪৫ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম মাত্র এক রাতের ব্যবধানে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

বুধবার সন্ধ্যায়ও ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সেই পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৯০ টাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর, রায়পুরসহ জেলার কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত পাইকারি আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে ১৯০ টাকা হয়েছে। সকালে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি আড়তগুলো থেকে এর রাতে মণ প্রতি ৪০০ টাকা বেশি ধরে কিনে নিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।

লক্ষ্মীপুরের একাধিক হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এক পিস পেঁয়াজ কিনছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়।

তেমনই একটি মুদি দোকানে ২০০ টাকা কেজি হারে ভারতীয় একটি পেঁয়াজ ওজন করে দেখা যায় তার মূল্য ৪৫ টাকা। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

এক রাতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। আবার কেউ কেউ মাত্র এক পিস পেঁয়াজ কিনতেও দেখা গেছে।

রায়পুর শহরের রিকশা চালক মনির হোসেন জানান, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের হল রোড থেকে ২০০ টাকা দিয়ে ৪টি পেঁয়াজ কিনেছেন। যার ওজন এক কেজি থেকে একটু কম।

এ সময় আরও একজন শ্রমিক ২২৪ গ্রাম ওজনের এক পিস পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দিয়ে কিনেছেন বলে তিনি জানান।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, পেঁয়াজের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

এছাড়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার এক কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ১৪০ টাকা, বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০টাকায়। বৃহস্পতিবার সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২০০ টাকা। বৃহস্পতিবার চুনারুঘাটের আড়তদাররা পাইকারি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আর খুচরা বাজারে তা ২০০ টাকা।

ভোলার লালমোহনে পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার লালমোহন বাজার ঘুরে এ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে ক্রেতাসাধারণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে দাম।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে। সকাল থেকে বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১৮০ টাকা। অথচ গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাটহাজারীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১১০ টাকা দরে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এক পিস পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা!

আপডেট সময় : ১০:২৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন রিপোর্ট

পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে। দুদিন আগে যে পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ এখন ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অনেক স্থানে এক রাতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ৮০ টাকা। কোথাও কোথাও একটি পেঁয়াজ ৪৫ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম মাত্র এক রাতের ব্যবধানে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

বুধবার সন্ধ্যায়ও ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সেই পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৯০ টাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর, রায়পুরসহ জেলার কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত পাইকারি আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে ১৯০ টাকা হয়েছে। সকালে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি আড়তগুলো থেকে এর রাতে মণ প্রতি ৪০০ টাকা বেশি ধরে কিনে নিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।

লক্ষ্মীপুরের একাধিক হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এক পিস পেঁয়াজ কিনছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়।

তেমনই একটি মুদি দোকানে ২০০ টাকা কেজি হারে ভারতীয় একটি পেঁয়াজ ওজন করে দেখা যায় তার মূল্য ৪৫ টাকা। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

এক রাতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। আবার কেউ কেউ মাত্র এক পিস পেঁয়াজ কিনতেও দেখা গেছে।

রায়পুর শহরের রিকশা চালক মনির হোসেন জানান, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের হল রোড থেকে ২০০ টাকা দিয়ে ৪টি পেঁয়াজ কিনেছেন। যার ওজন এক কেজি থেকে একটু কম।

এ সময় আরও একজন শ্রমিক ২২৪ গ্রাম ওজনের এক পিস পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দিয়ে কিনেছেন বলে তিনি জানান।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, পেঁয়াজের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

এছাড়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার এক কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ১৪০ টাকা, বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০টাকায়। বৃহস্পতিবার সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২০০ টাকা। বৃহস্পতিবার চুনারুঘাটের আড়তদাররা পাইকারি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আর খুচরা বাজারে তা ২০০ টাকা।

ভোলার লালমোহনে পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার লালমোহন বাজার ঘুরে এ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে ক্রেতাসাধারণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে দাম।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে। সকাল থেকে বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১৮০ টাকা। অথচ গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাটহাজারীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১১০ টাকা দরে।