ক্রীড়া প্রতিবেদক
মুমিনুল হক নেতৃত্বের যুগে প্রবেশ করে ফেললো বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দল। সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার কারণে হঠাৎই টেস্ট নেতৃত্ব এসে পড়লো এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘কুল ক্রিকেটার’ হিসেবে পরিচিত মুমিনুল হকের কাঁধে।
তার নেতৃত্বেই ভারতের বিপক্ষে শুরু হলো বাংলাদেশের টেস্ট অভিযান। শুধু তাই নয়, মুমিনুল হকের নেতৃত্বেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হলো বাংলাদেশের। শুরুটা বলা যায় ভালোই হলো বাংলাদেশের নতুন অধিনায়কের জন্য।
কারণ ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে টস করতে নেমে মুমিনুল হক জিতলেন কয়েন নিক্ষেপে। টস জিতেই চোখ বন্ধ করে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মুমিনুল টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনিল গাভাস্কার বলেন, খুবই সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কারণ ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি কিংবা উমেষ যাদবদের সামনে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কোনো সহজ কাজ নয়।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া সম্পর্কে মুমিনুল হক বলেন, ‘উইকেটটা একটু কঠিনই। এ কারণেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা হবে খুবই কঠিন।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নিজের সূচনা। এ সম্পর্কে মুমিনুল বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা সত্যিই সম্মানের একটি বিষয়। কারণ, খুব কম লোকই এই গৌরবময় সুযোগটি পেয়েছে। আমাদের দলে সাতজন ব্যাটসম্যান এবং চারজন বোলার।’
টসের পর বিরাট কোহলি বলেন, ‘এখানে কিছুটা ঘাস রয়েছে। আর ঐতিহাসিকভাবে ইন্দোরে টেস্টের প্রথম দিনটা বোলারদের জন্যই বেশ উপযুক্ত। সুতরাং, টস জিতলেও আমরা বোলিং নিতাম। আমাদের দলে তিন পেসার রয়েছে। এই উইকেটটা তাদের জন্য একেবারেই উপযোগি। একই সঙ্গে তারা রয়েছে খুব ফর্মে। দ্বিতীয় দিন থেকেই এই উইকেটটি আবার ব্যাটিংয়ের জন্য তরতাজা হয়ে উঠবে। এ কারণেই আমরা বোলিংটাই প্রথমে করার চিন্তা করেছিলাম।’
বাংলাদেশ একাদশ
ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাজী এবং এবাদত হোসেন।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি এবং উমেষ যাদব।