ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারলেন যুবদল নেতার সাবেক স্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯ ২০৩ বার পড়া হয়েছে

ফতুল্লা প্রতিনিধি

পরকীয়ার অপরাধে স্বামীর সংসার হারিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে কাছে পাচ্ছে না গুলশান যুবদলের সভাপতি শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদের সাবেক স্ত্রী রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭)।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরকীয়া প্রেমিক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড়সহ মারধর করেছে সাথী।

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি এদিন রাতে পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাথী এসে বেশ কিছুক্ষণ নয়নের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে সে চিৎকার করে বলেন তোর জন্য স্বামীর সুখের সংসার হারিয়েছি। এখন তুইও আমাকে ধোঁকা দিতে এড়িয়ে চলছিস বলেই ওমর ফারুক নয়নকে চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে।

তখন নয়ন কিছুটা দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাথী ফের লাফিয়ে গিয়ে মারধর করে। এ সময় আশপাশ থেকে আইনজীবীরা এসে তাদের দু’জনের মাঝখানে দাঁড়ায় এবং সাথীকে শান্ত করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭) বন্দর উপজেলার বক্তারকান্দি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন মুন্সির মেয়ে। সে গুলশান যুবদলের সভাপতি শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদের সাবেক স্ত্রী। এর আগে ২৪ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থানায় স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়ে জিডি করেন শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ।

অভিযোগে বাদী শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ উল্লেখ করেন, বিবাদী রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭) খারাপ প্রকৃতির ও অর্থলোভী চরিত্রের অধিকারী। সে আমাকে দেখিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তার এই টাকার ঋণ পরিশোধ করি।

এ ছাড়া তার ভাই আমার বাসায় খারাপ মেয়ে নিয়ে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে। একপর্যায়ে তার অনৈতিক কাজ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, তার ফলশ্রুতিতে সে একাধিক পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ একেএম ওমর ফারুক নয়নের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং নয়ন সাথীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিবাদী সাথী তার স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে ২০ জানুয়ারিতে নয়নের প্ররোচনায় আমাকে উকিল নোটিশের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠায়। নিয়ম মোতাবেক আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

অভিযোগে বাদী শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ উল্লেখ করেন, অ্যাডভোকেট নয়নের প্ররোচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক নিয়ে এসে এবং রাস্তাঘাটে খারাপ আচরণ ও ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করছে। অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন সাথীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সাথী পুনরায় আমার সঙ্গে সংসার করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমি তাকে বিয়ে করে নতুন করে ঘর সংসার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে বিবাদী আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে।

গত ১৭ আগস্ট আমার নিজ বাসায় এসে বিবাদী হুমকি দিয়ে বলে, আমাকে নিয়ে যদি পুনরায় সংসার করতে না পারে তাহলে সে আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নকে তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারলেন যুবদল নেতার সাবেক স্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯

ফতুল্লা প্রতিনিধি

পরকীয়ার অপরাধে স্বামীর সংসার হারিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে কাছে পাচ্ছে না গুলশান যুবদলের সভাপতি শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদের সাবেক স্ত্রী রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭)।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরকীয়া প্রেমিক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নকে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড়সহ মারধর করেছে সাথী।

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি এদিন রাতে পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাথী এসে বেশ কিছুক্ষণ নয়নের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে সে চিৎকার করে বলেন তোর জন্য স্বামীর সুখের সংসার হারিয়েছি। এখন তুইও আমাকে ধোঁকা দিতে এড়িয়ে চলছিস বলেই ওমর ফারুক নয়নকে চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে।

তখন নয়ন কিছুটা দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাথী ফের লাফিয়ে গিয়ে মারধর করে। এ সময় আশপাশ থেকে আইনজীবীরা এসে তাদের দু’জনের মাঝখানে দাঁড়ায় এবং সাথীকে শান্ত করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭) বন্দর উপজেলার বক্তারকান্দি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন মুন্সির মেয়ে। সে গুলশান যুবদলের সভাপতি শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদের সাবেক স্ত্রী। এর আগে ২৪ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থানায় স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়ে জিডি করেন শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ।

অভিযোগে বাদী শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ উল্লেখ করেন, বিবাদী রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭) খারাপ প্রকৃতির ও অর্থলোভী চরিত্রের অধিকারী। সে আমাকে দেখিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তার এই টাকার ঋণ পরিশোধ করি।

এ ছাড়া তার ভাই আমার বাসায় খারাপ মেয়ে নিয়ে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে। একপর্যায়ে তার অনৈতিক কাজ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, তার ফলশ্রুতিতে সে একাধিক পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ একেএম ওমর ফারুক নয়নের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং নয়ন সাথীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিবাদী সাথী তার স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে ২০ জানুয়ারিতে নয়নের প্ররোচনায় আমাকে উকিল নোটিশের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠায়। নিয়ম মোতাবেক আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

অভিযোগে বাদী শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ উল্লেখ করেন, অ্যাডভোকেট নয়নের প্ররোচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক নিয়ে এসে এবং রাস্তাঘাটে খারাপ আচরণ ও ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করছে। অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন সাথীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সাথী পুনরায় আমার সঙ্গে সংসার করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমি তাকে বিয়ে করে নতুন করে ঘর সংসার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে বিবাদী আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে।

গত ১৭ আগস্ট আমার নিজ বাসায় এসে বিবাদী হুমকি দিয়ে বলে, আমাকে নিয়ে যদি পুনরায় সংসার করতে না পারে তাহলে সে আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নকে তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।