নিজস্ব প্রতিবেদক;
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহীনসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতার দখল দৌরাত্ম, লাগামহীন দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল,চাঁদাবাজি, কোটি কোটি টাকার পদ বানিজ্য সহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, আওয়ামী লীগ কে পরিবারতন্ত্রিক সম্পদে পরিণত করা সহ অসংখ্য অভিযোগে মানববন্ধন করেছে মুন্সীগঞ্জের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় অনেক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় ভুক্তভোগীরা মহিউদ্দিন ও শাহীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গত বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। এসময় তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধনে দাঁড়ায় তৃনমূল আওয়ামী লীগের ব্যানারে।
মানববন্ধন থেকে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি-বেসরকারি টেন্ডার, সাধারন ও সংখ্যালঘুদের জমি দখল, জল ও বালুমহল দখল, নমিনেশনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে একচেটিয়া চাঁদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, গোটা মুন্সীগঞ্জ জুড়ে দুর্নীতি ও ভয়ের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ। সব মিলিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল শীর্ষ পদে নিজের আত্মীয়স্বজন বসিয়ে, মুন্সীগঞ্জে এক ‘মহিউদ্দিন লীগ’ গড়া হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়, এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিনের ভাই আনিসুজ্জামান আনিস ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান এবং মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফসারুজ্জামান আফসু ও সাধারন সম্পাদক শামসুল কবির মাস্টার। তারা জেলা ও উপজেলাসহ বিভিন্ন কমিটিতে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের স্থান দিয়েছে। এসব কমিটিতে এখন বিএনপি-জামায়াতের লোকদের জয়জয়াকার। এছাড়াও মানববন্ধন থেকে মুন্সিগঞ্জ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।
মানববন্ধনে মুন্সীগঞ্জের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যানারে উপস্থিত ছিলেন- মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আলামীন হোসেন, আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা শ্যামল, রামপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা লিমন হোসেন, পঞ্চাশার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হাসান প্রমুখ।