ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




যুবলীগ মহানগর দক্ষিনে আলোচনায় যারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯ ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র।

আগামী ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের অনেক নেতাও রয়েছেন দৌড়ের ওপর। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো যুবলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবারের যুবলীগের কাউন্সিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে কমিটিতে, এটি নিশ্চিত। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ নেতারা বাদ পড়বেন। নেতৃত্বে আনা হবে ক্লিন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের। ইতিমধ্যে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান শুরু করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ইমেজকে প্রাধান্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই সংগঠনের বর্তমান ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এমন নেতা প্রয়োজন, যারা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও সেটা ধরে রাখবেন।

এর ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন।

শীর্ষ এ পদের দৌড়ে এগিয়ে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে মাইনুদ্দিন রানা : বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

হাজী আহমদ উল্লাহ মধুর ১৯৮৪-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে ওয়ার্ড ও থানার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০০১-২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে বার বার হামলা-মামলার শিকার হন এবং কারাবাস করেন। নাসির উদ্দিন পিন্টুর টর্চার সেলে তাকে বার বার মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। ১/১১ এর সময় তিনি দলের জন্য জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন। ২০০৫-২০০৮ সাল পর্যন্ত তথা ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে যখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের নেতারা পালিয়ে যান তখন তিনি দলকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করেন।

রেজাউল করিম রেজা : বর্তমানে তিনি মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন ।১৯৮৮-১৯৯১ পর্যন্ত কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে কাজ করেন এবং ১৯৮৯-১৯৯১ সালে সাবেক ৫১ ন ওয়ার্ড ছাএলীগের আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সাল থেকে ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে থেকে
সাবেক ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন ২০০২ পর্যন্ত । এবং ২০০৩-২০১২ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০১২-২০১৪ সালে পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত যুবলীগের ১ ন যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।
২০১৪ অক্টোবর থেকে মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে গিয়ে মিছিল থেকে গ্রেফতার হন ১৯৮৯ সালে। ৯০ এর গণআন্দোলনে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে এগারোটি হয়রানিমূলক মামলা করা হয় ওয়ার্ডে সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগের ঘোষিত 72 ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে টিকাতোলি থেকে গ্রেপ্তার ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৭ সালে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৬ই জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার হন তখন ওই গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় রায়সা বাজার মোড় থেকে তিনি আটক হন।

গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী ফজলুর রহমান মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক কারনে বেশ কয়েকবার কারাবন্দী হন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু। তিনি স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করেন। তিনি ঢাকা মহানগরের ৭৯ নং ওয়ার্ড ছত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। হেফাজত ইসলামের আওয়ামী লীগ পাটি অফিস হামলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রেখেছেন। এছাড়া লগী বৌঠা ২৮ অক্টোবর গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ১/১১ সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সরাসরি রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন।

সকালের সংবাদের সাথে আলাপকালে বাবু আরোও বলেন আমি ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপির প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদ করায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে এবং ২ মাস কারাবন্দী থাকি।

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে দুই বছর কারাভোগ করেন । জেল থেকে বাহির হয়ে ২০০৬ সালে ১৬ই মে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিএনপি-জামাত সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১/১১ সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি হয়েছেন।

তার সাহসীকতা ছাত্রলীগের রাজনীতির একাধিকবার প্রশংসনীয় হন। যুবলীগের একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, বাবু সৎ, নম্র, ভদ্র বিনয় শিক্ষিত একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং তারা আরো বলেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই সম্মেলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নানা রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ও অনুপ্রবেশকারীরা দলে ঠাঁই পাবেনা বলে আশা করছেন পদপ্রত্যাশীগন।

সততা স্বচ্ছতা কমিটমেন্ট এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে দলের জন্য সব সময় নিয়োজিত রেখেছি।

তারা জানান, নেতৃত্বে যেই আসুক, তার যেন অবশ্যই সততা, স্বচ্ছতা, কনট্রিবিউশন এবং কমিটমেন্ট থাকে। বাহাউদ্দিন নাছিম সম্প্রতি গণমাধ্যমকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, নতুন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




যুবলীগ মহানগর দক্ষিনে আলোচনায় যারা

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র।

আগামী ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের অনেক নেতাও রয়েছেন দৌড়ের ওপর। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো যুবলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবারের যুবলীগের কাউন্সিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে কমিটিতে, এটি নিশ্চিত। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ নেতারা বাদ পড়বেন। নেতৃত্বে আনা হবে ক্লিন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের। ইতিমধ্যে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান শুরু করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ইমেজকে প্রাধান্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই সংগঠনের বর্তমান ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এমন নেতা প্রয়োজন, যারা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও সেটা ধরে রাখবেন।

এর ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন।

শীর্ষ এ পদের দৌড়ে এগিয়ে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে মাইনুদ্দিন রানা : বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

হাজী আহমদ উল্লাহ মধুর ১৯৮৪-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে ওয়ার্ড ও থানার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০০১-২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে বার বার হামলা-মামলার শিকার হন এবং কারাবাস করেন। নাসির উদ্দিন পিন্টুর টর্চার সেলে তাকে বার বার মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। ১/১১ এর সময় তিনি দলের জন্য জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন। ২০০৫-২০০৮ সাল পর্যন্ত তথা ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে যখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের নেতারা পালিয়ে যান তখন তিনি দলকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করেন।

রেজাউল করিম রেজা : বর্তমানে তিনি মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন ।১৯৮৮-১৯৯১ পর্যন্ত কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে কাজ করেন এবং ১৯৮৯-১৯৯১ সালে সাবেক ৫১ ন ওয়ার্ড ছাএলীগের আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সাল থেকে ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে থেকে
সাবেক ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন ২০০২ পর্যন্ত । এবং ২০০৩-২০১২ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০১২-২০১৪ সালে পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত যুবলীগের ১ ন যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।
২০১৪ অক্টোবর থেকে মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে গিয়ে মিছিল থেকে গ্রেফতার হন ১৯৮৯ সালে। ৯০ এর গণআন্দোলনে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে এগারোটি হয়রানিমূলক মামলা করা হয় ওয়ার্ডে সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগের ঘোষিত 72 ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে টিকাতোলি থেকে গ্রেপ্তার ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৭ সালে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৬ই জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার হন তখন ওই গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় রায়সা বাজার মোড় থেকে তিনি আটক হন।

গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী ফজলুর রহমান মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক কারনে বেশ কয়েকবার কারাবন্দী হন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু। তিনি স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করেন। তিনি ঢাকা মহানগরের ৭৯ নং ওয়ার্ড ছত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। হেফাজত ইসলামের আওয়ামী লীগ পাটি অফিস হামলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রেখেছেন। এছাড়া লগী বৌঠা ২৮ অক্টোবর গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ১/১১ সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সরাসরি রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন।

সকালের সংবাদের সাথে আলাপকালে বাবু আরোও বলেন আমি ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপির প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদ করায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে এবং ২ মাস কারাবন্দী থাকি।

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে দুই বছর কারাভোগ করেন । জেল থেকে বাহির হয়ে ২০০৬ সালে ১৬ই মে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিএনপি-জামাত সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১/১১ সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি হয়েছেন।

তার সাহসীকতা ছাত্রলীগের রাজনীতির একাধিকবার প্রশংসনীয় হন। যুবলীগের একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, বাবু সৎ, নম্র, ভদ্র বিনয় শিক্ষিত একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং তারা আরো বলেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই সম্মেলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নানা রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ও অনুপ্রবেশকারীরা দলে ঠাঁই পাবেনা বলে আশা করছেন পদপ্রত্যাশীগন।

সততা স্বচ্ছতা কমিটমেন্ট এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে দলের জন্য সব সময় নিয়োজিত রেখেছি।

তারা জানান, নেতৃত্বে যেই আসুক, তার যেন অবশ্যই সততা, স্বচ্ছতা, কনট্রিবিউশন এবং কমিটমেন্ট থাকে। বাহাউদ্দিন নাছিম সম্প্রতি গণমাধ্যমকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, নতুন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।