ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরী সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৯ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

 

ময়মনসিংহ  প্রতিনিধিঃ স্থানীয় লম্পট যুবক সোহেল মিয়ার (৩০) ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের কিশোরী এখন ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। ধর্ষিতা পিতৃহারা কিশোরী প্রায় ৮ মাস পূর্বে ওই যুবকের বাড়িতে বাঁশ বেতের কাজ করতে গেলে খালি ঘরে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করা হয় তাকে। ধর্ষক যুবকের হুমকীর মুখে ওই কিশোরী ঘটনাটি কাউকে না জানালেও ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর এ ঘটনা জানাজানি হয়।

এ নিয়ে এলাকায় দেন-দরবার হলেও ধর্ষক যুবক ও তার পরিবার ওই কিশোরীকে ঘরে তুলে নিতে রাজী হয়নি। বর্তমানে ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পরিবার আগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের স্বীকৃতির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার হাটশিরা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।

ধর্ষক যুবক সোহেল উল্লেখিত গ্রামের ইউসূফ আলীর ছেলে। ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ি একই গ্রামে। ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানায়, গত রমজান মাসে পেটের দায়ে প্রতিবেশী সোহেলের বাড়ীতে বাঁশ বেতের কাজ করতে যায়। এসময় বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার সুযোগে সোহেল তার ঘরে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর

এ ঘটনা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সোহেল। মৃত্যুর ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি সে। পরবর্তীতে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। ৩ জানুয়ারী স্থানীয় এক ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় জানা যায় ওই কিশোরী ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা।

কিশোরীর মা জানান, এ ঘটনা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানালে ৪ জানুয়ারী ধর্ষক পরিবারের উপস্থিতিতে একটি দেন-দরবার হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন সোহেলের বাবা ইউসূফ আলীকে কিশোরীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি এতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। ধর্ষকের পিতা ইউসূফ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই কিশোরীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে আনার তাদের বাড়ীতে গিয়েছিলাম।

এসময় ওই কিশোরীর নামে ৩০ শতক জমি লিখে দেয়ার প্রস্তাব ও ৫ লক্ষ টাকার কাবিন দাবি করা হয় তার কাছে। তাই এ ঘটনাটির কোন আপোস-মীমাংসা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরী সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৯

 

ময়মনসিংহ  প্রতিনিধিঃ স্থানীয় লম্পট যুবক সোহেল মিয়ার (৩০) ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের কিশোরী এখন ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। ধর্ষিতা পিতৃহারা কিশোরী প্রায় ৮ মাস পূর্বে ওই যুবকের বাড়িতে বাঁশ বেতের কাজ করতে গেলে খালি ঘরে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করা হয় তাকে। ধর্ষক যুবকের হুমকীর মুখে ওই কিশোরী ঘটনাটি কাউকে না জানালেও ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর এ ঘটনা জানাজানি হয়।

এ নিয়ে এলাকায় দেন-দরবার হলেও ধর্ষক যুবক ও তার পরিবার ওই কিশোরীকে ঘরে তুলে নিতে রাজী হয়নি। বর্তমানে ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পরিবার আগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের স্বীকৃতির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার হাটশিরা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।

ধর্ষক যুবক সোহেল উল্লেখিত গ্রামের ইউসূফ আলীর ছেলে। ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ি একই গ্রামে। ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানায়, গত রমজান মাসে পেটের দায়ে প্রতিবেশী সোহেলের বাড়ীতে বাঁশ বেতের কাজ করতে যায়। এসময় বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার সুযোগে সোহেল তার ঘরে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর

এ ঘটনা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সোহেল। মৃত্যুর ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি সে। পরবর্তীতে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। ৩ জানুয়ারী স্থানীয় এক ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় জানা যায় ওই কিশোরী ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা।

কিশোরীর মা জানান, এ ঘটনা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানালে ৪ জানুয়ারী ধর্ষক পরিবারের উপস্থিতিতে একটি দেন-দরবার হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন সোহেলের বাবা ইউসূফ আলীকে কিশোরীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি এতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। ধর্ষকের পিতা ইউসূফ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই কিশোরীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে আনার তাদের বাড়ীতে গিয়েছিলাম।

এসময় ওই কিশোরীর নামে ৩০ শতক জমি লিখে দেয়ার প্রস্তাব ও ৫ লক্ষ টাকার কাবিন দাবি করা হয় তার কাছে। তাই এ ঘটনাটির কোন আপোস-মীমাংসা হয়নি।