ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসা দিলেন না ডাক্তার!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের চাঁদপুর মাদরাসায় চলমান জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা কেন্দ্রে ফাহিমা খাতুন নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের নিয়োগকৃত (অন-কল) ডাক্তার মশিউর রহমান কল করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা অনারিয়াম দেন না, তাই আপনার কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না বলে জানান। এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ৭ নভেম্বর সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

চাঁদপুর মাদরাসার কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আ.ছ.ম. হুমায়ুন কবীর জাগো নিউজকে জানান, সকাল ১০টা থেকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। বেলা ১১টার দিকে কানিকাটাল দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ছাত্রী ফাহিমা খাতুন মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এসময় পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগকৃত (অন-কল) হাসপাতালের ডাক্তার মশিউর রহমানকে কল দেয়া হয়। তখন ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আপনি অনারিয়াম দেন না, তাই আপনার কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না। অসুস্থ ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার খবর শুনে কেন্দ্র সচিব ও উপস্থিত শিক্ষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা তড়িঘড়ি করে মাদরাসার পাশের এক স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে এনে ছাত্রীর চিকিৎসা করালে কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রী সুস্থ হয়ে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বসে।

তিনি আরও জানান, অসুস্থ ছাত্রী সুস্থ হবার অনেক পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসপাতালের সেই চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান কেন্দ্রে না গিয়ে হাসপাতালের হারবাল অ্যাসিসটেন্ট আতাউর রহমানকে চিকিৎসা দিতে পাঠান।

জানতে চাইলে ডা. মশিউর রহমান বলেন, বিগত পরীক্ষাগুলোতে দায়িত্বে থাকার পরও কেন্দ্র সচিব আমাকে কোন সম্মানি দেন নাই। একারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে না গিয়ে হাসপাতালের হারবাল অ্যাসিস্টেন্ট আতাউর রহমানকে চিকিৎসা দিতে পাঠানো হয়েছে।

ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নূর হোসেন মিয়া জানান, ডাক্তারের এ আচরণে হতাশ হয়েছি। আমার মতে ডাক্তার কাজটি ঠিক করেন নাই।

বিরামপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, সম্মানি না পাওয়ার কারণে অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসা দিতে না যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। আমি এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীকে চিকিৎসা দিতে না যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসা দিলেন না ডাক্তার!

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের চাঁদপুর মাদরাসায় চলমান জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা কেন্দ্রে ফাহিমা খাতুন নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের নিয়োগকৃত (অন-কল) ডাক্তার মশিউর রহমান কল করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা অনারিয়াম দেন না, তাই আপনার কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না বলে জানান। এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ৭ নভেম্বর সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

চাঁদপুর মাদরাসার কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আ.ছ.ম. হুমায়ুন কবীর জাগো নিউজকে জানান, সকাল ১০টা থেকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। বেলা ১১টার দিকে কানিকাটাল দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ছাত্রী ফাহিমা খাতুন মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এসময় পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগকৃত (অন-কল) হাসপাতালের ডাক্তার মশিউর রহমানকে কল দেয়া হয়। তখন ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আপনি অনারিয়াম দেন না, তাই আপনার কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না। অসুস্থ ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার খবর শুনে কেন্দ্র সচিব ও উপস্থিত শিক্ষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা তড়িঘড়ি করে মাদরাসার পাশের এক স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে এনে ছাত্রীর চিকিৎসা করালে কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রী সুস্থ হয়ে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বসে।

তিনি আরও জানান, অসুস্থ ছাত্রী সুস্থ হবার অনেক পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসপাতালের সেই চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান কেন্দ্রে না গিয়ে হাসপাতালের হারবাল অ্যাসিসটেন্ট আতাউর রহমানকে চিকিৎসা দিতে পাঠান।

জানতে চাইলে ডা. মশিউর রহমান বলেন, বিগত পরীক্ষাগুলোতে দায়িত্বে থাকার পরও কেন্দ্র সচিব আমাকে কোন সম্মানি দেন নাই। একারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে না গিয়ে হাসপাতালের হারবাল অ্যাসিস্টেন্ট আতাউর রহমানকে চিকিৎসা দিতে পাঠানো হয়েছে।

ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নূর হোসেন মিয়া জানান, ডাক্তারের এ আচরণে হতাশ হয়েছি। আমার মতে ডাক্তার কাজটি ঠিক করেন নাই।

বিরামপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, সম্মানি না পাওয়ার কারণে অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসা দিতে না যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। আমি এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীকে চিকিৎসা দিতে না যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।