ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ




রোহিঙ্গা ডাকাত ধরতে গহীন পাহাড়ে র‌্যাবের হেলিকপ্টার অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গা ডাকাত ধরতে গহীন পাহাড়ে র‌্যাবের হেলিকপ্টার অভিযান

টেকনাফ প্রতিনিধি,
কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ে অবস্থান করা রোহিঙ্গা ডাকাতদের পাকড়াও এবং তাদের আস্তানা সনাক্ত করতে র‌্যাব হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প (নং- ২৬) এর ঘেঁষা পাহাড়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়। এসময় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন ছিল।
এসময় বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক জায়গা নজর এসেছে। ভবিষ্যতে ওইসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা মাহতাব। হেলিকপ্টার চক্করকালে পাহাড়ের পাদদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট র‌্যাব-পুলিশ অবস্থান করেছিল। সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসসহ ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।
এদের কিছু বেপরোয়া দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গা মাদক, ডাকাতি, চুরি, হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা আবদুল হাকিম ডাকাত ও রোহিঙ্গা সলিম ডাকাত বেশ দুর্ধর্ষ হয়ে উঠে।
টেকনাফের গহীন অরণ্যে আবদুল হাকিম ডাকাতের একাধিক আস্তানা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। টেকনাফের ফকিরামুরাসহ গহীন বনের বিশাল এলাকায় গড়ে তুলেছে তার এই আস্তানাগুলো। এখানে তার বাহিনীর অন্তত অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডারেরও বসতি রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পাহাড়ের কোন স্থানে হাকিম কখন অবস্থান করেন তা এখনও কেউ জানে না। অরণ্য ঘেরা পাহাড়েই হাকিম ডাকাত রাজার বেশে অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছেন তার যতসব অপকর্ম। তার বিরুদ্ধে টেকনাফের আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।
অপরজন মো. সলিম ওরফে সলিম ডাকাত রাতারাতি হিংস্র হয়ে উঠে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ স্থানীয়দের আতঙ্কের নাম সলিম ডাকাত। জাদিমুরা এলাকার যুবলীগ নেতা ওমরকে হত্যা করে দেশ বিদেশে বেশ আলোচনায় আসে এই সলিম ডাকাত। গত কয়েক সপ্তাহ আগে তাদের একটি গ্রুপের হাতে সলিম ডাকাত নিহত হয়েছে বলে প্রচার হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব অপরাধী ডাকাতদের ধরতে র‌্যাব ও পুলিশ কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানা চিহ্নিত করতে গত সপ্তাহে ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকটি আস্তানা চিহ্নিত করে এবং তা আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গহীন পাহাড়েও আস্তানা চিহ্নিত করতে এবং রোহিঙ্গা ডাকাতদের ধরতে হেলিকপ্টার যোগে চক্কর দেয় র‌্যাব-১৫।
র‌্যাব-১৫-এর কোম্পানি কমান্ডার মির্জা মাহতাব বলেন, গহীন পাহাড়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক জায়গা নজর এসেছে। ইতোমধ্যে ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছিল। তাছাড়া দুষ্কৃতিকারীদের পাকড়াও করতে গোয়েন্দা নজর রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রোহিঙ্গা ডাকাত ধরতে গহীন পাহাড়ে র‌্যাবের হেলিকপ্টার অভিযান

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯

টেকনাফ প্রতিনিধি,
কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ে অবস্থান করা রোহিঙ্গা ডাকাতদের পাকড়াও এবং তাদের আস্তানা সনাক্ত করতে র‌্যাব হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প (নং- ২৬) এর ঘেঁষা পাহাড়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়। এসময় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন ছিল।
এসময় বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক জায়গা নজর এসেছে। ভবিষ্যতে ওইসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা মাহতাব। হেলিকপ্টার চক্করকালে পাহাড়ের পাদদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট র‌্যাব-পুলিশ অবস্থান করেছিল। সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসসহ ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।
এদের কিছু বেপরোয়া দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গা মাদক, ডাকাতি, চুরি, হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা আবদুল হাকিম ডাকাত ও রোহিঙ্গা সলিম ডাকাত বেশ দুর্ধর্ষ হয়ে উঠে।
টেকনাফের গহীন অরণ্যে আবদুল হাকিম ডাকাতের একাধিক আস্তানা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। টেকনাফের ফকিরামুরাসহ গহীন বনের বিশাল এলাকায় গড়ে তুলেছে তার এই আস্তানাগুলো। এখানে তার বাহিনীর অন্তত অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডারেরও বসতি রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পাহাড়ের কোন স্থানে হাকিম কখন অবস্থান করেন তা এখনও কেউ জানে না। অরণ্য ঘেরা পাহাড়েই হাকিম ডাকাত রাজার বেশে অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছেন তার যতসব অপকর্ম। তার বিরুদ্ধে টেকনাফের আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলাসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।
অপরজন মো. সলিম ওরফে সলিম ডাকাত রাতারাতি হিংস্র হয়ে উঠে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ স্থানীয়দের আতঙ্কের নাম সলিম ডাকাত। জাদিমুরা এলাকার যুবলীগ নেতা ওমরকে হত্যা করে দেশ বিদেশে বেশ আলোচনায় আসে এই সলিম ডাকাত। গত কয়েক সপ্তাহ আগে তাদের একটি গ্রুপের হাতে সলিম ডাকাত নিহত হয়েছে বলে প্রচার হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব অপরাধী ডাকাতদের ধরতে র‌্যাব ও পুলিশ কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানা চিহ্নিত করতে গত সপ্তাহে ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকটি আস্তানা চিহ্নিত করে এবং তা আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গহীন পাহাড়েও আস্তানা চিহ্নিত করতে এবং রোহিঙ্গা ডাকাতদের ধরতে হেলিকপ্টার যোগে চক্কর দেয় র‌্যাব-১৫।
র‌্যাব-১৫-এর কোম্পানি কমান্ডার মির্জা মাহতাব বলেন, গহীন পাহাড়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক জায়গা নজর এসেছে। ইতোমধ্যে ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছিল। তাছাড়া দুষ্কৃতিকারীদের পাকড়াও করতে গোয়েন্দা নজর রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।