বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে গণরুমে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২২৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই রুমটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়া হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাজহার দুপুরে ক্লাসে যাওয়ার সময় আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী দ্বিতীয় বর্ষের অপূর্বের সিট থেকে একটা বেডশিট নিচে পড়ে গেলে অপূর্ব একটু ভিন্ন সুরে মাজহারকে সেটি উপরে তুলে রাখতে বলে। কিন্তু মাজহার সেটি উপরে তুলে না রাখায় দু’জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অপূর্ব মাজহারকে মারধর করে।
এ ঘটনা শুনে মাজহারের গ্রুপের ছেলেরা এসে অপূর্বকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে অপূর্ব উগ্র আচরণ করলে অপূর্বের গ্রুপ ও তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারির এক পর্যায়ে অপূর্ব ও সিয়াম নামে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা দু’জনই আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে। আহত অপূর্বকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
মারধরকারী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারি আজহারুল ইসলাম মামুন ও আব্দুল্লাহ খান নাসের রানা। এর আগে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের কক্ষ সিলগালা করে হল প্রশাসন। মারধরের শিকার হওয়া অপূর্বের বিরুদ্ধেও নীলক্ষেতে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিয়া রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।