ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ 

ঢাবির হলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৭০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে গণরুমে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২২৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই রুমটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়া হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাজহার দুপুরে ক্লাসে যাওয়ার সময় আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী দ্বিতীয় বর্ষের অপূর্বের সিট থেকে একটা বেডশিট নিচে পড়ে গেলে অপূর্ব একটু ভিন্ন সুরে মাজহারকে সেটি উপরে তুলে রাখতে বলে। কিন্তু মাজহার সেটি উপরে তুলে না রাখায় দু’জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অপূর্ব মাজহারকে মারধর করে।

এ ঘটনা শুনে মাজহারের গ্রুপের ছেলেরা এসে অপূর্বকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে অপূর্ব উগ্র আচরণ করলে অপূর্বের গ্রুপ ও তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারির এক পর্যায়ে অপূর্ব ও সিয়াম নামে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা দু’জনই আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে। আহত অপূর্বকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

মারধরকারী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারি আজহারুল ইসলাম মামুন ও আব্দুল্লাহ খান নাসের রানা। এর আগে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের কক্ষ সিলগালা করে হল প্রশাসন। মারধরের শিকার হওয়া অপূর্বের বিরুদ্ধেও নীলক্ষেতে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিয়া রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাবির হলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে গণরুমে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২২৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই রুমটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়া হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাজহার দুপুরে ক্লাসে যাওয়ার সময় আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী দ্বিতীয় বর্ষের অপূর্বের সিট থেকে একটা বেডশিট নিচে পড়ে গেলে অপূর্ব একটু ভিন্ন সুরে মাজহারকে সেটি উপরে তুলে রাখতে বলে। কিন্তু মাজহার সেটি উপরে তুলে না রাখায় দু’জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অপূর্ব মাজহারকে মারধর করে।

এ ঘটনা শুনে মাজহারের গ্রুপের ছেলেরা এসে অপূর্বকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে অপূর্ব উগ্র আচরণ করলে অপূর্বের গ্রুপ ও তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারির এক পর্যায়ে অপূর্ব ও সিয়াম নামে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা দু’জনই আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে। আহত অপূর্বকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

মারধরকারী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারি আজহারুল ইসলাম মামুন ও আব্দুল্লাহ খান নাসের রানা। এর আগে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের কক্ষ সিলগালা করে হল প্রশাসন। মারধরের শিকার হওয়া অপূর্বের বিরুদ্ধেও নীলক্ষেতে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিয়া রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।