চেহারার মিল থাকায় বিনাবিচারে ২৮ দিন জেল খেটেছে কলেজশিক্ষার্থী
- আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদ;
টাঙ্গাইলে আবারও আলোচিত জাহালমের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। নাম এবং চেহারার মিল থাকায় বিনাবিচারে নারী নির্যাতন মামলায় ২৮ দিন জেল খেটেছে সখিপুরের এক কলেজশিক্ষার্থী। অক্টোবরের ৭ তারিখ প্রকৃত আসামি গ্রেফতারের পরও আইনি জটিলতায় জেলে থাকতে হয় নির্দোষ নয়নকে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
ভুক্তভোগী নয়নের পরিবার জানায়, ২১ আগস্ট টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে মামলার প্রকৃত আসামি নয়ন ও তার বন্ধুরা। পরে তাকে কক্সবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে নয়ন। চারদিন পর নির্যাতিতাকে টাঙ্গাইলের ডিসি লেক এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মেয়েটির মা গত ২৬ আগস্ট নয়নের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় একটি মামলা করেন।
পরবর্তীতে নাম এবং চেহারার মিল থাকায় সখিপুরের শাহজাহান আলীর ছেলে বাবুল হোসেন নয়ন নামের এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপহৃতের সামনে হাজির করলে এই নয়নই অপরাধী বলে শনাক্ত করে নির্যাতিতা। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে কক্সবাজারের ওই হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তদন্ত করে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আমরা দেখেছি তিনি জড়িত নন।
এদিকে ৭ অক্টোবরের প্রকৃত অপরাধী এবং বাসাইলের নুহু মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালতের পিপি নাসিমুল আক্তার বলেন, কেউ মিথ্যা মামলা দায়ের করলে চার্জশিট দাখিলের সময় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আদালতে আবেদন করতে পারবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত ২৩ অক্টোবরের জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পায় নয়ন।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তবে সে সময় তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে আবু সালেকের বদলে তিন বছর কারাভোগ করেন জাহালম। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এ ঘটনা। আদালতের আদেশে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান টাঙ্গাইলের জাহালম।