ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ




অবরুদ্ধ জাবি উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

অবরুদ্ধ জাবি উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম

জাবি সংবাদদাতা |
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরাও ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে মুখোমুখি অবস্থানে আন্দোলনকারী ও ভিসিপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষক বাসার ভেতরে অবস্থান করছেন। এছাড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাসার মূল ফটকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী ও ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর আহ্বায়ক এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত উনি অপসারণ না হবেন ততোক্ষণ পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবেন।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়া উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আতিকুর রহমান আতিকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাবো না। সাংবাদিকদের একটা বক্তব্যে দিলে তারা উল্টোটা লেখে দেয়।

প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা আন্দোলনকারী মূল ফটক ছাড়ার অনুরোধ করেছি। আমি বলেছি আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে বলে তিনি জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বক্তব্যে নেয়ার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য না করা পর্যন্ত বাসা ত্যাগ করবো না। এসময় আন্দোলনকারীদের ‘ছি ছি ফারজানা, লজ্জায় বাঁচি না, ‘যেই হাত দুর্নীতি করে সেই হাত ভেঙে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘যেকোনো সময়’ অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অবরুদ্ধ জাবি উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম

আপডেট সময় : ১১:৩২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯

জাবি সংবাদদাতা |
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরাও ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে মুখোমুখি অবস্থানে আন্দোলনকারী ও ভিসিপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষক বাসার ভেতরে অবস্থান করছেন। এছাড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাসার মূল ফটকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী ও ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর আহ্বায়ক এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত উনি অপসারণ না হবেন ততোক্ষণ পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবেন।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়া উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আতিকুর রহমান আতিকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাবো না। সাংবাদিকদের একটা বক্তব্যে দিলে তারা উল্টোটা লেখে দেয়।

প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা আন্দোলনকারী মূল ফটক ছাড়ার অনুরোধ করেছি। আমি বলেছি আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে বলে তিনি জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বক্তব্যে নেয়ার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য না করা পর্যন্ত বাসা ত্যাগ করবো না। এসময় আন্দোলনকারীদের ‘ছি ছি ফারজানা, লজ্জায় বাঁচি না, ‘যেই হাত দুর্নীতি করে সেই হাত ভেঙে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘যেকোনো সময়’ অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন।