ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রশ্নফাঁসে ১০ জনের সাজা, খালাস ১১৪ Logo জাতীয় লেখক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত Logo আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর সামার-২০২৪ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo ঘুমের ঘোরে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর: পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা Logo রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান সাবেক ডিআইজি হাবিব? Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’




জেডিসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯ ৭২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি; 

গফরগাঁওয়ে এক জেডিসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিপ্লব মেকার, ওয়াশির খাঁ ও শারফুল শেখ এ মাদ্রাসাছাত্রীকে ২৬ দিন পর মাদ্রাসার পাশে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দাইরগাঁও মাদ্রাসার সামনে রাস্তার অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজে আসা মুসল্লিরা উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ বলেছে, গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার কলুরগাঁও গ্রামের এক দিনমজুরের কন্যা ও দাইরগাঁও দাখিল মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতো দাইরগাঁও গ্রামের বিপ্লব মেকার। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে ওই ছাত্রীর বাবা বিপ্লব মেকারকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করে। এতে বিপ্লব ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দেয়।

গত ৬ই অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি সিএনজি করে বিপ্লব, ওয়াশির ও শারফুল ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে অপহরণ করে।

এ ঘটনার পরপরই অপহৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাগলা থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানোর পাশাপাশি থানায় জিডি করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওই ছাত্রীকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি অসহায় মানুষ, টাকা পয়সা কিছুই নাই। আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই। এদের নামে আগেও নারী নির্যাতনের মামলা আছে। এরা প্রভাবশালী, এদের কেউ কিছু করতে পারে না। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জেডিসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি; 

গফরগাঁওয়ে এক জেডিসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিপ্লব মেকার, ওয়াশির খাঁ ও শারফুল শেখ এ মাদ্রাসাছাত্রীকে ২৬ দিন পর মাদ্রাসার পাশে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দাইরগাঁও মাদ্রাসার সামনে রাস্তার অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজে আসা মুসল্লিরা উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ বলেছে, গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার কলুরগাঁও গ্রামের এক দিনমজুরের কন্যা ও দাইরগাঁও দাখিল মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতো দাইরগাঁও গ্রামের বিপ্লব মেকার। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে ওই ছাত্রীর বাবা বিপ্লব মেকারকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করে। এতে বিপ্লব ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দেয়।

গত ৬ই অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি সিএনজি করে বিপ্লব, ওয়াশির ও শারফুল ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে অপহরণ করে।

এ ঘটনার পরপরই অপহৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাগলা থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানোর পাশাপাশি থানায় জিডি করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওই ছাত্রীকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি অসহায় মানুষ, টাকা পয়সা কিছুই নাই। আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই। এদের নামে আগেও নারী নির্যাতনের মামলা আছে। এরা প্রভাবশালী, এদের কেউ কিছু করতে পারে না। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।