কৃষকের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বিক্রি করলে কৃষক লাভবান হবেন: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১১:২৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন রিপোর্ট |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে যাতে বিক্রি করা যায়, সে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলো। এ পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করতে পারলে গ্রামের কৃষক লাভবান হবেন। সমবায়ের মাধ্যমে কাজ করে বাংলাদেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৮তম সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পুরস্কার প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবায়ের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সমবায়ের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ এই সমবায়ের যারা সদস্য তারা এক হয়ে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করবেন। এতে করে আপনারা লাভবান হবেন। বাড়ির আশপাশে একটি ফাঁকা জায়গাও যেন পড়ে না থাকে। খালি জায়গায় তরি-তরকারি, ফলফলাদির গাছ লাগাবেন। হাঁস-মুরগি পালন করবেন। নিজেরা খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবেন আবার বিক্রি করে আপনাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণার মাধ্যমে এখন উন্নত খাদ্য, তরি-তরকারি ও ফলফলাদি আবিষ্কার করা হয়েছে। সমবায়ের ভিত্তিতে এগুলো চাষ করে আপনারা লাভবান হতে পারেন। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সমবায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রসেজিং করে বাজারজাতকরণ করতে পারবে।
কৃষকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদ করেন। আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করছি। খণ্ড খণ্ড জমি না রেখে জমির আল তুলে দিয়ে চাষাবাদ করলে অধিক ফসল ফলাতে পারবেন। এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আশ্রয়ন প্রকল্পে যারা বসবাস করবেন তারাও সমবায়ের সদস্য হবেন। সমবায়ের সদস্য হলে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি খোন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।