সরকারের প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে : আলাল
- আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯ ১১০ বার পড়া হয়েছে
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দেশের মানুষ ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আরও বলেছেন, সরকারের প্রসব বেদনা শুরু হয়ে গেছে। শুধু প্রসব কখন হবে জাতি আজ সেই প্রহর গুনছে। সেই প্রহরের অবসান ঘটবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন সব ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন, বিএনপির মধ্যে আর কাউকে পাওয়া গেল না, এমন কোনো নেতা নেই যে একজন দণ্ডিতকে, অপরাধীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানানো হলো। সেই কথা বলতে না বলতেই এক মাসের মাথায় ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত, যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভারপ্রাপ্ত, কৃষকলীগ ভারপ্রাপ্ত, এ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত এসে ঠেকেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে কবে আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্বে যাবে। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আপনিও নিজে সরে গিয়ে ওখানে ভারপ্রাপ্ত কাউকে দেন।’
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় এসেছে দেখবেন, পাঁচ হাজার অনুপ্রবেশকারীর তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতে। দিয়েছেন কারা? ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, এটা গোয়েন্দা এবং প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সূত্রে পেয়েছেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ এখন গোয়েন্দা সংস্থার দল। এটা সাধারণ মানুষের দল না। কারণ দেখবেন, এই ক্যাসিনো অভিযান যখন শুরু হয়েছে, তখনও ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, গোয়েন্দাদের সূত্রে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সূত্রে সব তথ্য পেয়েছেন। সবই এখন গোয়েন্দারা পরিচালিত করে। এটার নাম বাংলাদেশ গোয়েন্দা লীগ দিলে ভালো হয়। আওয়ামী লীগ তো নিজের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে আলাল বলেন, ‘মাহবুবুল আলম হানিফ এবং হাসানুল হক ইনু মারামারি করতে করতে ক্লান্ত। হানিফ বসে বসে এখন অনুপ্রবেশকারী তালিকা দিচ্ছেন। এই হানিফদের এখন দায়িত্ব দিয়ে দেন। অথবা এইচ টি ইমামকে দায়িত্ব দেন। এইচ টি ইমাম আপনার বাবার লাশ ধানমন্ডিতে ফেলে খন্দকার মোশতাকের অনুসারীদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। তিনি আপনার পাশে আছেন তাকে দায়িত্ব দেন। এইচটির যদি অ্যাব্রিভিয়েশন (ভেঙে ভেঙে বলি) করি এইচ হচ্ছে হার্ট, টি হচ্ছে ট্রাস্টেড, এইচডি হচ্ছে হার্ট ট্রাস্টেড ইমাম। নিজের বাবার হত্যাকারীদের যিনি শপথ পড়ালেন তিনি হলেন আজকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ইমাম।’
আওয়ামী লীগে হানিফরা অনুপ্রেবেশ ঘটিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই হানিফ সাহেব প্রথম, আমি আপনাদের মনে করিয়ে দেই, ২০১৫ সালে লাইন ধরে তার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের লোকজনদের আওয়ামী লীগে ফুলের মালা দিয়ে যোগদান করিয়েছেন। শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের এমপি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ফুল দিয়ে ওখানে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জামায়াতের প্রায় ২১-২২জন নেতাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক নিয়েছেন। আরও অনেক নেতারা নিয়েছেন। (অনুপ্রবেশকারীদের) ঢুকিয়েছেন আপনাদের মন্ত্রীরা, আপনাদের এমপিরা।’
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসিচব বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে নবীন দলের যে সমস্ত নেতাকর্মী এসেছেন, তাদের প্রত্যেককে ২-৩ কেজি পেঁয়াজ কিনে দিয়ে দেন। তাদের মা অন্তত খুশি হবেন। বাংলাদেশের মানুষের কী অবস্থা এই একটা কথা দিয়ে আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় প্রমুখ বক্তৃতা করেন।