ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে ক্রসফায়ারের হুমকি ওসির!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় তাহিরপুর উপজেলার মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ হুমকি দেন।

গতকাল বুধবার ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে বিষয়টি দুদককে জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান এর আগে এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফা দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন।

এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

দুদকে অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন তখন আমিও এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ করেছিলাম।

অভিযোগ দায়েরের ২-৩ দিন পর তাহিরপুর থানার ওসি আমার বাসায় ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্য পাঠান। পুলিশ সদস্যরা আমার বাসায় গিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গত ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসিকে ফোন করি। বলি, ওসি সাহেব দেখেন তাহিরপুর থানা থেকে ফাজিলপুর নদীর শেষ সীমানা পর্যন্ত নদী খনন হচ্ছে। নদী খননের বালু বিদ্যালয়ে বা বসতবাড়িতে দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এবং এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কথা বলার পর ওসি আমাকে বলেন, চাঁদাবাজি পুলিশের আওতায় পড়ে না, আপনি বেশি কথা বললে আপনাকে ধরে নিয়ে এসে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেবো। আমি গ্রামীণফোন কোম্পানির কাছে আবেদন করেছি রেকর্ডটা দেয়ার জন্য। পুলিশের এমন হুমকির পর আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, কাউকে হুমকি দিতে আসিনি। আমি তার বাসায় পুলিশও পাঠাইনি। তাকে কোনো হুমকিও দেইনি।’

তিরি বলেন, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে মিজানুর রহমানের পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে ক্রসফায়ারের হুমকি ওসির!

আপডেট সময় : ০২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় তাহিরপুর উপজেলার মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ হুমকি দেন।

গতকাল বুধবার ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে বিষয়টি দুদককে জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান এর আগে এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফা দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন।

এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

দুদকে অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন তখন আমিও এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ করেছিলাম।

অভিযোগ দায়েরের ২-৩ দিন পর তাহিরপুর থানার ওসি আমার বাসায় ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্য পাঠান। পুলিশ সদস্যরা আমার বাসায় গিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গত ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসিকে ফোন করি। বলি, ওসি সাহেব দেখেন তাহিরপুর থানা থেকে ফাজিলপুর নদীর শেষ সীমানা পর্যন্ত নদী খনন হচ্ছে। নদী খননের বালু বিদ্যালয়ে বা বসতবাড়িতে দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এবং এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কথা বলার পর ওসি আমাকে বলেন, চাঁদাবাজি পুলিশের আওতায় পড়ে না, আপনি বেশি কথা বললে আপনাকে ধরে নিয়ে এসে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেবো। আমি গ্রামীণফোন কোম্পানির কাছে আবেদন করেছি রেকর্ডটা দেয়ার জন্য। পুলিশের এমন হুমকির পর আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, কাউকে হুমকি দিতে আসিনি। আমি তার বাসায় পুলিশও পাঠাইনি। তাকে কোনো হুমকিও দেইনি।’

তিরি বলেন, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে মিজানুর রহমানের পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে।