ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে ক্রসফায়ারের হুমকি ওসির!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় তাহিরপুর উপজেলার মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ হুমকি দেন।

গতকাল বুধবার ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে বিষয়টি দুদককে জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান এর আগে এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফা দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন।

এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

দুদকে অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন তখন আমিও এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ করেছিলাম।

অভিযোগ দায়েরের ২-৩ দিন পর তাহিরপুর থানার ওসি আমার বাসায় ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্য পাঠান। পুলিশ সদস্যরা আমার বাসায় গিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গত ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসিকে ফোন করি। বলি, ওসি সাহেব দেখেন তাহিরপুর থানা থেকে ফাজিলপুর নদীর শেষ সীমানা পর্যন্ত নদী খনন হচ্ছে। নদী খননের বালু বিদ্যালয়ে বা বসতবাড়িতে দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এবং এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কথা বলার পর ওসি আমাকে বলেন, চাঁদাবাজি পুলিশের আওতায় পড়ে না, আপনি বেশি কথা বললে আপনাকে ধরে নিয়ে এসে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেবো। আমি গ্রামীণফোন কোম্পানির কাছে আবেদন করেছি রেকর্ডটা দেয়ার জন্য। পুলিশের এমন হুমকির পর আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, কাউকে হুমকি দিতে আসিনি। আমি তার বাসায় পুলিশও পাঠাইনি। তাকে কোনো হুমকিও দেইনি।’

তিরি বলেন, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে মিজানুর রহমানের পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে ক্রসফায়ারের হুমকি ওসির!

আপডেট সময় : ০২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় তাহিরপুর উপজেলার মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ হুমকি দেন।

গতকাল বুধবার ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে বিষয়টি দুদককে জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান এর আগে এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফা দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন।

এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

দুদকে অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন তখন আমিও এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ করেছিলাম।

অভিযোগ দায়েরের ২-৩ দিন পর তাহিরপুর থানার ওসি আমার বাসায় ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্য পাঠান। পুলিশ সদস্যরা আমার বাসায় গিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গত ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসিকে ফোন করি। বলি, ওসি সাহেব দেখেন তাহিরপুর থানা থেকে ফাজিলপুর নদীর শেষ সীমানা পর্যন্ত নদী খনন হচ্ছে। নদী খননের বালু বিদ্যালয়ে বা বসতবাড়িতে দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এবং এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কথা বলার পর ওসি আমাকে বলেন, চাঁদাবাজি পুলিশের আওতায় পড়ে না, আপনি বেশি কথা বললে আপনাকে ধরে নিয়ে এসে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেবো। আমি গ্রামীণফোন কোম্পানির কাছে আবেদন করেছি রেকর্ডটা দেয়ার জন্য। পুলিশের এমন হুমকির পর আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, কাউকে হুমকি দিতে আসিনি। আমি তার বাসায় পুলিশও পাঠাইনি। তাকে কোনো হুমকিও দেইনি।’

তিরি বলেন, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে মিজানুর রহমানের পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে।