ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




আন্দোলনের মুখে আহসানউল্লাহর ভিসির পদত্যাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার অধ্যাপক মো. আমানউল্লাহ দায়িত্ব পালন করবেন।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধু উপাচার্য পদত্যাগ করলেই হবে না। তাদের বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বসতে হবে। অন্যথায় তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী বিভিন্ন কর্মসূচিও চলবে।

গত সোমবার থেকে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি পূরণ না হলে ২ নভেম্বর (শনিবার) ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না। এছাড়া একাডেমি ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভিসির জন্য যে ১০ জন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। সেমিস্টার ফি বাবদ যে অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা কী খাতে ব্যয় হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ক্লিয়ারেন্সে টাকা দেয়ার নতুন নিয়ম বাতিল ও ক্যারি ক্লিয়ারেন্সে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৩ করতে হবে।

ইউনিভার্সিটিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনে সম্মতি দিতে হবে। সেমিস্টারে এস্টাবলিস্টমেন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট ফি নেয়া হলেও তার সব সুবিধা দেয়া হয় না, এ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ল্যাব সুবিধা, ক্লাসরুম উন্নয়ন, ওয়াশরুম সংস্কার, নিরাপত্তার জোরদার, ক্যান্টিনের খাবার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, যাতায়াত ব্যবস্থা ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন গঠনের অনুমতি দিতে হবে, যেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিত্ব করবে। নতুন করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বর্তমান সেমিস্টার রুটিনের আদলেই তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কর্মকাণ্ড সহজ ও সাবলীল করার লক্ষ্যে র‌্যাগ ফেস্টসহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আন্দোলনের মুখে আহসানউল্লাহর ভিসির পদত্যাগ

আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার অধ্যাপক মো. আমানউল্লাহ দায়িত্ব পালন করবেন।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধু উপাচার্য পদত্যাগ করলেই হবে না। তাদের বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বসতে হবে। অন্যথায় তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী বিভিন্ন কর্মসূচিও চলবে।

গত সোমবার থেকে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি পূরণ না হলে ২ নভেম্বর (শনিবার) ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না। এছাড়া একাডেমি ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভিসির জন্য যে ১০ জন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। সেমিস্টার ফি বাবদ যে অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা কী খাতে ব্যয় হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ক্লিয়ারেন্সে টাকা দেয়ার নতুন নিয়ম বাতিল ও ক্যারি ক্লিয়ারেন্সে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৩ করতে হবে।

ইউনিভার্সিটিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনে সম্মতি দিতে হবে। সেমিস্টারে এস্টাবলিস্টমেন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট ফি নেয়া হলেও তার সব সুবিধা দেয়া হয় না, এ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ল্যাব সুবিধা, ক্লাসরুম উন্নয়ন, ওয়াশরুম সংস্কার, নিরাপত্তার জোরদার, ক্যান্টিনের খাবার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, যাতায়াত ব্যবস্থা ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন গঠনের অনুমতি দিতে হবে, যেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিত্ব করবে। নতুন করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বর্তমান সেমিস্টার রুটিনের আদলেই তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কর্মকাণ্ড সহজ ও সাবলীল করার লক্ষ্যে র‌্যাগ ফেস্টসহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।