জাহিদ হাসান রেহানঃ মিরপুর এলাকাবাসীর নিকট এক আতংকের নাম ডিএসপি বাবু ওরফে আরিফুল ইসলাম বাবু। খুন, গুম, ধর্ষণ, জমি দখল, চাঁদাবাজি সহ অসংখ্য অপরাধের মূলহোতা কিলার আব্বাসের সহযোগী ডিএসপি বাবু।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কিলার আব্বাসের মিরপুর পল্লবী এলাকার নিযুক্ত খলিফা হিসেবে নিযুক্ত ডিএসপি বাবু। সম্প্রতি কিলার আব্বাসের জেলখানায় বন্দি থেকেও চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি তার হয়ে মিরপুর পল্লবী এলাকায় বাবু সকল অপকর্ম করে যাচ্ছেন বলে সূত্র জানায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুর এলাকায় এমন কোনো অপরাধ নেই যার সাথে ডিএসপি বাবু জড়িত নেই। তার মধ্যে জায়গা দখল হচ্ছে তার মুল কাজ কারো সাথে কন্ট্রাক্ট করে জমি দখল করে সেই জমির মূল্যের হিংশভাগ অর্থ হাতিয়ে নেয় বাবু।
তার নেতৃত্ব রয়েছে একদল সন্ত্রাসী। তার সকল অপকর্ম ও সাহস শক্তির অভিজ্ঞতার কারণেই কুখ্যাত সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের সহযোগি হিসেবে সুযোগ পান ডিএমপি বাবু।
জানা গেছে, তার নামে বিভিন্ন থানায় রয়েছে অসংখ্য অপরাধের মামলা। যার অধিকাংশই চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মারপিটের। মামলা ও অভিযোগে অভিযুক্ত মিরপুরের ডিএসপি বাবু এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছে।
ডিএসপি বাবুর নামটা শুনে যে কেউ মনে করেন পুলিশের বড় কর্মকর্তা, আসলে তিনি দুর্ধর্ষ অপরাধী। নামের আগে এটা তার পদাবী। তার হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চায় মিরপুর পল্লবী এলাকার আপামর জনগণ।
অভিযোগ রয়েছে, কোন সাংবাদিক তার নামে সংবাদ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিলেই রাহুল নামের একজন কথিত সাংবাদিক দিয়ে হুমকি দেন বাবু।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, এই রাহুল তার গ্রুপের একজন সন্ত্রাসী। বিভিন্ন টেলিভিশনের বড় সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া তার কৌশল। তিনি আসলে একজন ক্যামেরাম্যান হিসেবে বৈশাখী টেলিভিশনে কিছুদিন কাজ করলেও তার বিভিন্ন দুর্নীতি ও অপকর্মের কারণে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। বর্তমানে তিনি বিজয় টিভির অনেক বড় সাংবাদিক ও কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন মহলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি শাবান মাহমুদ সহ বিভিন্ন সাংবাদিকদের পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকে ফোনে হুমকি দেয়, যাতে ডিএসপি বাবুর সংবাদ না করা হয়।
উল্লেখ্য মিরপুরের কিলার আব্বাসের সহযোগী সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদাবাজি নিয়ে সম্প্রতি বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেন। আব্বাসের নামে মিরপুরের বিআরটিএর চাঁদার টাকা আনেন জাহিদ, বিপুল ও শাহীন। মিরপুরের ঝুট ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন হাবিবুর রহমান রাব্বি ও আব্বাসের শ্যালক ডেভিড।
কিলার আব্বাসের হয়ে জমি-ফ্ল্যাট জবর দখলের কাজ করে ডিএসপি বাবু, জনি দেওয়ান, আব্দুল আজিজ বাবু, আলাউদ্দিন, মারুফ হোসেন, তপু, সুমন, রফিকুল ইসলাম রাজু ও তথাকথিত সাংবাদিক রাহুল।
মিরপুর-১৪ নম্বর মোড়ে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে আব্বাসের শ্যালক ডেভিড গড়ে তুলেছেন ‘ভোজবাড়ি’ নামে একটি রেস্তোরাঁ। সেখানে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস অবৈধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিরপুর-১৪ নম্বরে বাস, লেগুনা থেকে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রণ করে জামাল মোল্লা, টুলু ও উজ্জ্বল।
সম্প্রতি কিলার আব্বাসের হয়ে তার অন্যতম সহযোগী খুন, চাঁদাবাজিসহ আট মামলার আসামি কাফরুলের শাহীন শিকদার কচুক্ষেতে বেসরকারি হাইটেক মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে হুমকি দিয়েছে। এতে কাফরুল থানায় জিডি করেছেন হাসপাতালটির অন্যতম মালিক মো. সাইফুল্লাহ সাদেক। চক্রটি ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে কচুক্ষেতের আল আমিন বেডিং স্টোরের মালিক আবুল কালামকেও। শাহীন শিকদারের সহযোগীরা চাঁদা না পেয়ে ছয়-সাত মাস আগে কচুক্ষেতের বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী আজাদ হোসেনকে গুলি করে বলেও জানা গেছে।
ডিএমপি বাবুর অপকর্মের বিস্তারিত ও মামলা সমুহের সংবাদ আসছে সকালের সংবাদের দ্বিতীয় পর্বে.....