ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ Logo আওয়ামী দোসর মিডিয়া পুনর্বাসনকারী নেতাদের অবাঞ্ছিত করার দাবি বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকদের Logo ফায়ার সার্ভিসের মহানুভবতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের কৃতজ্ঞতা Logo সোনা চোরাকারবারি দিলীপের সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পাদক সহ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দোসর ফায়ার সার্ভিস আনোয়ারের দুর্নীতি: ডিজিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! Logo আশা ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও মিলাদ Logo বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মাফিয়া অর্থ পাচারকারী শিহাব কোথায়?




২০ দিন ধরে অবরুদ্ধ নওগাঁর একটি পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ৭২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে জমি কেনাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারকে ২০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে ওই পরিবারের সাতজন সদস্য বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বাড়ির মালিক রিয়াজ উদ্দিন (৫৫) এলাকার মাতব্বরদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান পাননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা চলাচলের জন্য সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে গত ৬ অক্টোবর ২২ শতক কেনেন। জমি কেনাকে কেন্দ্র করে পরদিন তার বাড়ির পূর্ব-দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বসহ বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করেন প্রতিপক্ষ আশরাফ আলী, বিরাজ হোসেন, আব্দুল খালেক ও বেলাল।

এ অবস্থায় গত ২০ দিন থেকে রিয়াজ উদ্দিনের পরিবারের সাত সদস্য বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে তাদের হুমকি দিয়ে আসছেন। প্রতিপক্ষরা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখায় পাশের আরও তিনটি বাড়ির লোকজন চলাচলে সমস্যায় পড়েছেন।

ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুর রহমান বলেন, চলাচলের জন্য ফুফাতো ভাই সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ২২ শতক জমি কিনি আমরা। বেশি দাম দিয়ে জমি কেনায় আমাদেরকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে অবরুদ্ধ করেছে প্রতিপক্ষরা। বাড়ির বাইরে যেতে চাইলে প্রতিপক্ষরা নানা হুমকি দিচ্ছে। আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। গ্রামের মাতব্বরদের বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।

স্থানীয় গণেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। সমাধান না হওয়ায় থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।

মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২০ দিন ধরে অবরুদ্ধ নওগাঁর একটি পরিবার

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে জমি কেনাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারকে ২০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে ওই পরিবারের সাতজন সদস্য বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বাড়ির মালিক রিয়াজ উদ্দিন (৫৫) এলাকার মাতব্বরদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান পাননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা চলাচলের জন্য সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে গত ৬ অক্টোবর ২২ শতক কেনেন। জমি কেনাকে কেন্দ্র করে পরদিন তার বাড়ির পূর্ব-দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বসহ বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করেন প্রতিপক্ষ আশরাফ আলী, বিরাজ হোসেন, আব্দুল খালেক ও বেলাল।

এ অবস্থায় গত ২০ দিন থেকে রিয়াজ উদ্দিনের পরিবারের সাত সদস্য বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে তাদের হুমকি দিয়ে আসছেন। প্রতিপক্ষরা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখায় পাশের আরও তিনটি বাড়ির লোকজন চলাচলে সমস্যায় পড়েছেন।

ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুর রহমান বলেন, চলাচলের জন্য ফুফাতো ভাই সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ২২ শতক জমি কিনি আমরা। বেশি দাম দিয়ে জমি কেনায় আমাদেরকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে অবরুদ্ধ করেছে প্রতিপক্ষরা। বাড়ির বাইরে যেতে চাইলে প্রতিপক্ষরা নানা হুমকি দিচ্ছে। আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। গ্রামের মাতব্বরদের বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।

স্থানীয় গণেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। সমাধান না হওয়ায় থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।

মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।