ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




ভিকারুননিসার নির্বাচনের ফল ঘোষণা, বাতিলে আদালতে যাবেন প্রার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে ৬ জন অভিভাবক প্রতিনিধিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফারজানা জামান।

তবে ভুয়া ভোট প্রদান, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকাসহ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত একাধিক প্রার্থী। আগামীকাল শনিবার এ অভিযোগে তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বাতিলে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে বিজয়ী আট প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্ধীদের মধ্যে সাধারন অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখায় গোলাম বেনজীর, মাধ্যমিক শাখায় সিদ্দীকি নাসিরুদ্দীন ও ওহেদুজ্জামান, কলেজ শাখা থেকে এবিএম মনিরুজ্জামান ও মুরশীদা আক্তার এবং অভিভাবকদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এড. রিনা পারভিন বিজয়ী হয়েছেন।

শিক্ষকদের মধ্য থেকে তিনজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকে বাদরুল আলম, মাধ্যমিকে ফাতেমা জহুরা হক ও জান্নাতুল ফেরদৌস। এসব পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ও সংরক্ষিত নারী শিক্ষক প্রতিনিধি পদে একজন করে প্রার্থী হওয়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে গভর্নিং বডির নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও তা করা হয়নি। এ কারণে দুই হাজার ১০০ জন অভিভাবক ডাবল ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

তারা জানিয়েছেন, কলেজ থেকে সকল ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় অনেকে ভোটার স্লিপ পাননি। অনেকে আবার ভোটার স্লিপ না আনায় তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়নি। অথচ তাদের নামে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীর কাছে এমন একাধিক ভুয়া স্লিপ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট জবাব চাইলে তারা দিতে পারেনি। অভিযোগকারীরা লিখিতভাবে কলেজ অধ্যক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন।

এসব অভিযোগে আগামীকাল শনিবার ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরা। এসব অনিয়মের কারণে তারা আদালতে মামলা করে নির্বাচন বাতিল করার চেষ্টা চালাবেন বলেও জানান তারা।

তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া। তিনি শুক্রবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয় হলে তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের কথা বলে তা বাতিল করার দাবি জানান। এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। অহেতুক নির্বাচন বির্তকিত করতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী ডাবল ভোট দেননি। যেগুলো ডাবল হয়েছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার চেষ্টা করে তা সফল হয়েছি। সকলকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভিকারুননিসার নির্বাচনের ফল ঘোষণা, বাতিলে আদালতে যাবেন প্রার্থীরা

আপডেট সময় : ১০:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে ৬ জন অভিভাবক প্রতিনিধিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফারজানা জামান।

তবে ভুয়া ভোট প্রদান, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকাসহ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত একাধিক প্রার্থী। আগামীকাল শনিবার এ অভিযোগে তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বাতিলে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে বিজয়ী আট প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্ধীদের মধ্যে সাধারন অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখায় গোলাম বেনজীর, মাধ্যমিক শাখায় সিদ্দীকি নাসিরুদ্দীন ও ওহেদুজ্জামান, কলেজ শাখা থেকে এবিএম মনিরুজ্জামান ও মুরশীদা আক্তার এবং অভিভাবকদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এড. রিনা পারভিন বিজয়ী হয়েছেন।

শিক্ষকদের মধ্য থেকে তিনজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকে বাদরুল আলম, মাধ্যমিকে ফাতেমা জহুরা হক ও জান্নাতুল ফেরদৌস। এসব পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ও সংরক্ষিত নারী শিক্ষক প্রতিনিধি পদে একজন করে প্রার্থী হওয়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে গভর্নিং বডির নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও তা করা হয়নি। এ কারণে দুই হাজার ১০০ জন অভিভাবক ডাবল ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

তারা জানিয়েছেন, কলেজ থেকে সকল ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় অনেকে ভোটার স্লিপ পাননি। অনেকে আবার ভোটার স্লিপ না আনায় তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়নি। অথচ তাদের নামে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীর কাছে এমন একাধিক ভুয়া স্লিপ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট জবাব চাইলে তারা দিতে পারেনি। অভিযোগকারীরা লিখিতভাবে কলেজ অধ্যক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন।

এসব অভিযোগে আগামীকাল শনিবার ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরা। এসব অনিয়মের কারণে তারা আদালতে মামলা করে নির্বাচন বাতিল করার চেষ্টা চালাবেন বলেও জানান তারা।

তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া। তিনি শুক্রবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয় হলে তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের কথা বলে তা বাতিল করার দাবি জানান। এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। অহেতুক নির্বাচন বির্তকিত করতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী ডাবল ভোট দেননি। যেগুলো ডাবল হয়েছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার চেষ্টা করে তা সফল হয়েছি। সকলকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে আহ্বান জানান তিনি।