ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ৭০ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে এক সপ্তাহ আগে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে মোবাইল চার্জার বিষ্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ওই সময় মারা যায় তাদের ছেলে। এদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে থাকল না। গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর ডবলুমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় নিরিবিলি আবাসিক এলাকার আলী ভূঁইয়া বাড়ি নামে একটি দোতলা ভবনের নিচ তলায় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল।

দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর শিকার চারজন হলেন- আমির হোসেন (৩২), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) ও আনিকা (৮) এবং আশরাফুল (৫)। এদের মধ্যে আশরাফুল ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

মৃত আমির হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামে। গত ১৫ অক্টোবর আমির ভাড়া বাসাটিতে পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, আশরাফুলের মৃত্যুর পর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আমির ও সন্ধ্যায় আনিকা মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে মারা যান আমিরের স্ত্রী খালেদা।

পুলিশ পরিদর্শক জহির বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাতে খালেদা মোবাইলের চার্জার লাগানোর সময় শর্টসার্কিট হয়ে চার্জারটি বিষ্ফোরিত হলে তার চুলে আগুন লাগে।এ সময় ছেলে আশরাফুল মাকে বাঁচাতে গেলে সেও দগ্ধ হয়। একইভাবে আমির ও তার মেয়েও বাঁচাতে গিয়ে অগ্নি দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তিনজনের মরদেহ স্বজনেরা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে এক সপ্তাহ আগে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে মোবাইল চার্জার বিষ্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ওই সময় মারা যায় তাদের ছেলে। এদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে থাকল না। গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর ডবলুমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় নিরিবিলি আবাসিক এলাকার আলী ভূঁইয়া বাড়ি নামে একটি দোতলা ভবনের নিচ তলায় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল।

দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর শিকার চারজন হলেন- আমির হোসেন (৩২), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) ও আনিকা (৮) এবং আশরাফুল (৫)। এদের মধ্যে আশরাফুল ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

মৃত আমির হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামে। গত ১৫ অক্টোবর আমির ভাড়া বাসাটিতে পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, আশরাফুলের মৃত্যুর পর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আমির ও সন্ধ্যায় আনিকা মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে মারা যান আমিরের স্ত্রী খালেদা।

পুলিশ পরিদর্শক জহির বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাতে খালেদা মোবাইলের চার্জার লাগানোর সময় শর্টসার্কিট হয়ে চার্জারটি বিষ্ফোরিত হলে তার চুলে আগুন লাগে।এ সময় ছেলে আশরাফুল মাকে বাঁচাতে গেলে সেও দগ্ধ হয়। একইভাবে আমির ও তার মেয়েও বাঁচাতে গিয়ে অগ্নি দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তিনজনের মরদেহ স্বজনেরা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।