ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ!




তবে কি দুই পরিবহন নেতাই চাঁদাবাজ?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯ ২১১ বার পড়া হয়েছে

ইসমাইল হোসেন টিটুঃ  

বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহন খাত, ঢাকা গাজীপুর মতিঝিল মিরপুর সহ রাজধানীর মোট ২৮ টি রুটে প্রায় একই পন্থায় চাঁদাবাজির চিত্র দেখা যায়। পরিবহন খাতের কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজির ঘটনা সকলেরকাছেই ওপেন সিক্রেট, তবে দেশের এই খাতের সর্বোচ্চ দুই নেতার সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন জনমনে একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তা হলো এই দুই নেতাই কি চাঁদাবাজ?

সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগের সদস্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। দু’দিন বাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্যাহর অনুসারীদের অভিযোগ, ইসমাইল পরিবহন খাতের কেউ নন, তিনি সন্ত্রাসী।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত অনুসারীরা এ অভিযোগ করেন। খন্দকার এনায়েত সংগঠনটির আহ্বায়ক। গত মঙ্গলবার ঐক্য লীগের সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ঢাকায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চালাতে দৈনিক এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। খন্দকার এনায়েত ও তার অনুসারীরা এ টাকা নেন। এনায়েত বিদেশে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে পারেনি প্রতিবেদক।

গতকাল তার অনুসারীরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনায়েত উল্যাহ ও অন্যান্য পরিবহন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ‘মিথ্যা, আজগুবি, ভিত্তিহীন’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য লীগ সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবহন নেতাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য। ঐক্য লীগ নিবন্ধিত সংগঠন নয়। নামসর্বস্ব এ সংগঠনের সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা সম্পৃক্ত নন। চাঁদাবাজি করতে মাস কয়েক আগে ওই সংগঠন তৈরি করেছে।

পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঐক্য লীগের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন ওরফে বাচ্চুর সঙ্গে যারা ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন, তারা পরিবহন খাতের নন। সবাই বহিরাগত।

লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, ইসমাইল হোসেন খুনের মামলার আসামি। তিনি এক সময় ফুলবাড়িয়াতে ফুটপাতের হকার ছিলেন। পরে ফুলবাড়িয়া শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেন। এ কারণে তাকে ২০১৭ সালে ফুলবাড়িয়া টার্মিনাল থেকে বিতাড়িত করা হয়। খন্দকার এনায়েত উল্যাহর

বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ইসমাইল হোসেন টার্মিনাল দখল করতে না পেরে তার নামে কুৎসা রটাচ্ছে।

ঐক্য লীগের আহ্বায়ক এসএম শাহ আলমের বিরুদ্ধে আবুল কালাম অভিযোগ করেন, তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজ ফ্রিডম রাসুর সহযোগী। ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন। তিনি গ্রেফতার থেকে বাঁচতে পরিবহন সংগঠন খুলেছেন বলে দাবি করেন আবুল কালাম। এ সময় ইসমাইলকে খুনি আখ্যা দিয়ে তার ফাঁসি দাবি করেন এনায়েত উল্যাহর অনুসারীরা।

ঐক্য লীগের সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি। এর জবাবে আবুল কালাম বলেন, হিরু ৩৫ বছর ধরে পরিবহন রাজনীতি করছেন। তিনি অস্ত্র মামলার আসামি হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে সাদিকুর রহমান হিরুর দাবি, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তিনিই সবচেয়ে সোচ্চার। তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছেন, তারাই চাঁদাবাজ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্য লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাহারুল ইসলাম সোহেল বলেছেন, খন্দকার এনায়েত কত টাকা চাঁদা নেন তার হিসাব তাদের কাছে রয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের জবাব দিতে না পেরে তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

এনায়েত অনুসারীদের অভিযোগ সম্পর্কে ইসমাইল হোসেন বলেন, খন্দকার এনায়েতের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারে না। তিনি মুখ খোলায় তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইসমাইল হোসেনের দাবি, তার সংগঠন ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধিত সংগঠন। মালিক শ্রমিক ঐক্য লীগের অনুমোদনের জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।

ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গোলটেবিল আলোচনায় চাঁদা ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং তার প্রতিকার হিসেবে সামনে নিয়ে আসেন নতুন ফর্মুলা। রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা আদায়ের পরিবর্তে অফিসে বসেই চাঁদা আদায়ে সমাধান দেখেন তিনি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘অনেককেই নানা রকম চাঁদা দিতে হয়। ড্রাইভার ও হেল্পারদের বেতন দিতে হয়। অর্থাৎ একটি বাস চালিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা উপার্জন করতে গিয়ে চালকদের ওপর নানা চাপ থাকে। সারাদিন কাজ করে বেশিরভাগ স্থানে চাঁদা দেওয়ার পর পকেটে যখন মাত্র তিন থেকে চারশ’ টাকা ঢোকে, তখন সে এসব অনিয়ম করতে বাধ্য হয়। এই নানান জায়গায় চাঁদা দেওয়া বন্ধ না হলে এমন বেপরোয়া পরিস্থিতিও চলতেই থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তবে কি দুই পরিবহন নেতাই চাঁদাবাজ?

আপডেট সময় : ০৪:০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

ইসমাইল হোসেন টিটুঃ  

বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহন খাত, ঢাকা গাজীপুর মতিঝিল মিরপুর সহ রাজধানীর মোট ২৮ টি রুটে প্রায় একই পন্থায় চাঁদাবাজির চিত্র দেখা যায়। পরিবহন খাতের কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজির ঘটনা সকলেরকাছেই ওপেন সিক্রেট, তবে দেশের এই খাতের সর্বোচ্চ দুই নেতার সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন জনমনে একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তা হলো এই দুই নেতাই কি চাঁদাবাজ?

সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগের সদস্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। দু’দিন বাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্যাহর অনুসারীদের অভিযোগ, ইসমাইল পরিবহন খাতের কেউ নন, তিনি সন্ত্রাসী।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত অনুসারীরা এ অভিযোগ করেন। খন্দকার এনায়েত সংগঠনটির আহ্বায়ক। গত মঙ্গলবার ঐক্য লীগের সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ঢাকায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চালাতে দৈনিক এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। খন্দকার এনায়েত ও তার অনুসারীরা এ টাকা নেন। এনায়েত বিদেশে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে পারেনি প্রতিবেদক।

গতকাল তার অনুসারীরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনায়েত উল্যাহ ও অন্যান্য পরিবহন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ‘মিথ্যা, আজগুবি, ভিত্তিহীন’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য লীগ সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবহন নেতাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য। ঐক্য লীগ নিবন্ধিত সংগঠন নয়। নামসর্বস্ব এ সংগঠনের সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা সম্পৃক্ত নন। চাঁদাবাজি করতে মাস কয়েক আগে ওই সংগঠন তৈরি করেছে।

পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঐক্য লীগের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন ওরফে বাচ্চুর সঙ্গে যারা ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন, তারা পরিবহন খাতের নন। সবাই বহিরাগত।

লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, ইসমাইল হোসেন খুনের মামলার আসামি। তিনি এক সময় ফুলবাড়িয়াতে ফুটপাতের হকার ছিলেন। পরে ফুলবাড়িয়া শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেন। এ কারণে তাকে ২০১৭ সালে ফুলবাড়িয়া টার্মিনাল থেকে বিতাড়িত করা হয়। খন্দকার এনায়েত উল্যাহর

বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে ইসমাইল হোসেন টার্মিনাল দখল করতে না পেরে তার নামে কুৎসা রটাচ্ছে।

ঐক্য লীগের আহ্বায়ক এসএম শাহ আলমের বিরুদ্ধে আবুল কালাম অভিযোগ করেন, তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজ ফ্রিডম রাসুর সহযোগী। ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন। তিনি গ্রেফতার থেকে বাঁচতে পরিবহন সংগঠন খুলেছেন বলে দাবি করেন আবুল কালাম। এ সময় ইসমাইলকে খুনি আখ্যা দিয়ে তার ফাঁসি দাবি করেন এনায়েত উল্যাহর অনুসারীরা।

ঐক্য লীগের সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি। এর জবাবে আবুল কালাম বলেন, হিরু ৩৫ বছর ধরে পরিবহন রাজনীতি করছেন। তিনি অস্ত্র মামলার আসামি হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে সাদিকুর রহমান হিরুর দাবি, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তিনিই সবচেয়ে সোচ্চার। তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছেন, তারাই চাঁদাবাজ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্য লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাহারুল ইসলাম সোহেল বলেছেন, খন্দকার এনায়েত কত টাকা চাঁদা নেন তার হিসাব তাদের কাছে রয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের জবাব দিতে না পেরে তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

এনায়েত অনুসারীদের অভিযোগ সম্পর্কে ইসমাইল হোসেন বলেন, খন্দকার এনায়েতের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারে না। তিনি মুখ খোলায় তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইসমাইল হোসেনের দাবি, তার সংগঠন ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধিত সংগঠন। মালিক শ্রমিক ঐক্য লীগের অনুমোদনের জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।

ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গোলটেবিল আলোচনায় চাঁদা ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং তার প্রতিকার হিসেবে সামনে নিয়ে আসেন নতুন ফর্মুলা। রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা আদায়ের পরিবর্তে অফিসে বসেই চাঁদা আদায়ে সমাধান দেখেন তিনি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘অনেককেই নানা রকম চাঁদা দিতে হয়। ড্রাইভার ও হেল্পারদের বেতন দিতে হয়। অর্থাৎ একটি বাস চালিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা উপার্জন করতে গিয়ে চালকদের ওপর নানা চাপ থাকে। সারাদিন কাজ করে বেশিরভাগ স্থানে চাঁদা দেওয়ার পর পকেটে যখন মাত্র তিন থেকে চারশ’ টাকা ঢোকে, তখন সে এসব অনিয়ম করতে বাধ্য হয়। এই নানান জায়গায় চাঁদা দেওয়া বন্ধ না হলে এমন বেপরোয়া পরিস্থিতিও চলতেই থাকবে।