ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে! 

”মন্ত্রীগিরি পেলে মাথা ঠাণ্ডা, না পেলেই বিপ্লব পয়দা হয়”

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

রাশেদ খান মেনন ও আনিসুর রহমান (ডানে)

আনিসুর রহমান

পেয়ে হারানোর বেদনায়
মেনন সাহেবের প্রলাপ!

এই মেনন সাহেবদের আমি এক সময় মনে মনে শ্রদ্ধা করতাম। মনে করতাম মেনন সাহেব এবং আরো কয়েকজন আছেন, যারা লোভী মানুষ না।

আমার মতো অনেকেরই এমন ভুল ধারনা ছিল। আজ বাংলাদেশের কোনো মানুষের এদের সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা পেতে আর বাকি নেই।
মন্ত্রীগিরি পেলেই মাথা ঠাণ্ডা, না পেলে তখন বিপ্লব পয়দা হয়! আগের মেনন আর আজকের মেনন আকাশ পাতাল ফারাক।

ভিকারুন্নেসা স্কুলে ভর্তি করতে টাকা নেওয়া মেননকে বাংলাদেশ চিনতো না। ক্যাসিনো চালানো ক্লাবের সভাপতি মেননকে মানুষ আগে চিনতো না।

আগে মন্ত্রী হতে পারেনি বলে ওনারা সুযোগের অভাবে সৎ ছিলেন, এখন মুখোশ খুলে গেছে।

গ্রেফতারের ভয়ে বিরাট ভাষণ দিয়েছেন আজ। কথা বলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। বলেছেন, ‘নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি।’

মারহাবা মারহাবা –

ভোটের পরের দিন এই ভাষণ তিনি দিলেন না কেন? মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার পরও তিনি লাইন মতোই চলেছেন, কিন্তু এখন হঠাৎ কেন এই ভাষণ?

তিনি বলেন যে, ‘দেশে কোন ভোট হয়নি, তিনি সাক্ষী!’ কিন্তু তিনি এমপিগিরি ছাড়ছেন না! তিনি আসলে বাঁচতে চাচ্ছেন!

ক্যাসিনোর টাকা কীভাবে পেতেন সকল প্রমাণ সরকারের হাতে, মন্ত্রী থাকাকালীন কি কি করেছেন সকল হিসেব সরকারের হাতে, ভিকারুন্নেসা স্কুলের হিসেব সরকারের হাতে।

তিনি যেভাবেই হোক জেনে গেছেন যে, তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তাই তিনি আজ এমন জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন। যাতে মানুষ মনে করে যে, এই ভাষণের জন্য তাকে ধরা হয়েছে!

মেনন সাহেবের বোঝা উচিৎ, আজ উনার শত কোটি টাকা আছে কিন্তু সম্মান, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা, সততার মুখোশ – কিছুই নাই।

এ টাইপের মানুষদের সম্মান থাকে না! তাদের বক্তব্য হাসির খোরাক জোগায়। মেনন সাহেবের বক্তব্য নিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও হাসাহাসি করছে!

এ ধরনের মানুষরা কখন, কেন, কি বক্তব্য দেন মানুষ সবই বোঝে! মেননের এই করুণ পরিণতি দেখে খুবই ভালো লাগছে…

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

”মন্ত্রীগিরি পেলে মাথা ঠাণ্ডা, না পেলেই বিপ্লব পয়দা হয়”

আপডেট সময় : ১১:৪৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

আনিসুর রহমান

পেয়ে হারানোর বেদনায়
মেনন সাহেবের প্রলাপ!

এই মেনন সাহেবদের আমি এক সময় মনে মনে শ্রদ্ধা করতাম। মনে করতাম মেনন সাহেব এবং আরো কয়েকজন আছেন, যারা লোভী মানুষ না।

আমার মতো অনেকেরই এমন ভুল ধারনা ছিল। আজ বাংলাদেশের কোনো মানুষের এদের সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা পেতে আর বাকি নেই।
মন্ত্রীগিরি পেলেই মাথা ঠাণ্ডা, না পেলে তখন বিপ্লব পয়দা হয়! আগের মেনন আর আজকের মেনন আকাশ পাতাল ফারাক।

ভিকারুন্নেসা স্কুলে ভর্তি করতে টাকা নেওয়া মেননকে বাংলাদেশ চিনতো না। ক্যাসিনো চালানো ক্লাবের সভাপতি মেননকে মানুষ আগে চিনতো না।

আগে মন্ত্রী হতে পারেনি বলে ওনারা সুযোগের অভাবে সৎ ছিলেন, এখন মুখোশ খুলে গেছে।

গ্রেফতারের ভয়ে বিরাট ভাষণ দিয়েছেন আজ। কথা বলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। বলেছেন, ‘নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি।’

মারহাবা মারহাবা –

ভোটের পরের দিন এই ভাষণ তিনি দিলেন না কেন? মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার পরও তিনি লাইন মতোই চলেছেন, কিন্তু এখন হঠাৎ কেন এই ভাষণ?

তিনি বলেন যে, ‘দেশে কোন ভোট হয়নি, তিনি সাক্ষী!’ কিন্তু তিনি এমপিগিরি ছাড়ছেন না! তিনি আসলে বাঁচতে চাচ্ছেন!

ক্যাসিনোর টাকা কীভাবে পেতেন সকল প্রমাণ সরকারের হাতে, মন্ত্রী থাকাকালীন কি কি করেছেন সকল হিসেব সরকারের হাতে, ভিকারুন্নেসা স্কুলের হিসেব সরকারের হাতে।

তিনি যেভাবেই হোক জেনে গেছেন যে, তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তাই তিনি আজ এমন জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন। যাতে মানুষ মনে করে যে, এই ভাষণের জন্য তাকে ধরা হয়েছে!

মেনন সাহেবের বোঝা উচিৎ, আজ উনার শত কোটি টাকা আছে কিন্তু সম্মান, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা, সততার মুখোশ – কিছুই নাই।

এ টাইপের মানুষদের সম্মান থাকে না! তাদের বক্তব্য হাসির খোরাক জোগায়। মেনন সাহেবের বক্তব্য নিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও হাসাহাসি করছে!

এ ধরনের মানুষরা কখন, কেন, কি বক্তব্য দেন মানুষ সবই বোঝে! মেননের এই করুণ পরিণতি দেখে খুবই ভালো লাগছে…

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ