যুবলীগের দায়িত্ব পেলে উপাচার্য পদ ছাড়তে রাজি জবি ভিসি
- আপডেট সময় : ১১:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
জবি প্রতিনিধি :– জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে আমি উপাচার্য পদ ছেড়ে যুবলীগের দায়িত্ব নিতে রাজি আছি। এটা এতটাই ভালোবাসার সংগঠন আমি উপাচার্যশিপ ছেড়ে দিতে রাজি আছি। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ফোনালাপে তিনি একথা বলেন।
এর আগে বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশো’তেও তিনি একথা বলেছেন। অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের পর আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। সেই আন্দোলনের সময় আমি দেখেছি লাখ লাখ তরুণ নেতা সংগঠনে আছে। বহু ত্যাগী নেতা আছে যারা এখনো চাকরি পায়নি, শুধু সংগঠনকে ভালোবেসে এখনো রয়ে গেছে। তারা কখনো ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজির সঙ্গে জাড়িত হয়নি।’
সংগঠনের কিছু নেতা তাদের নিজস্ব বলয় তৈরি করতে গিয়ে ক্যাসিনো ব্যবসা এবং টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে জবির ভিসি বলেন, ‘যার কারণে পুরো সংগঠনটা বদনামের মুখে পড়ে গেল। আমি সরকারের শুদ্ধি অভিযান নিয়ে খুব আশাবাদী। আশাকরি আওয়ামী লীগের ঘর থেকে আস্তে আস্তে সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনসহ সব স্তরে এই শুদ্ধি অভিযান চলবে।’
এসময় যুবলীগের এক নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, তিনি ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার পর যুবলীগের কোনো মিটিংয়ে অংশ নেননি।
এদিকে আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস হয় দীর্ঘ ৯ বছর পর। এসময় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদকে নেতৃত্বে আনা হয়। এ কমিটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর অন্তর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলনের পর কেটে গেছে ৭ বছর। এ কমিটিরও মেয়াদ ফুরিয়েছে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন তিনি। এর আগে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে ছিলেন তিনি।