জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার ১৫ দিন পর স্বামী ইলিয়াছ হোসেনকে (৩৫) গলাকেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী তানিয়া বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইলিয়াছকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন স্বাধীনতা সড়ক এলাকার হাফেজ হাওলাদারের মেয়ে তানিয়া বেগমের সঙ্গে সদর উপজেলার টাউন জৈনকাঠির সেহাকাঠি গ্রামের নুরুল ইসলাম জোমাদ্দারের ছেলে ইলিয়াছের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। ইলিয়াস স্থানীয় বুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকায় মোবাইল ফোন সার্ভিসিং করেন।
আহতের নিকটাত্মীয় পৌরসভার কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন জানান, ১৫দিন আগে মোবাইল ফোনে ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে ইলিয়াছ ও তানিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তানিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সন্তানকে থাপ্পর দিলে স্বামী রেগে তানিয়াকে মারধর করেন। বাড়ির লোকজন তাদের বুঝালেও তানিয়া রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে ইলিয়াস তানিয়াকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান।
ইলিয়াসের বরাত দিয়ে তার বড় বোন মাকসুদা বেগম জানান, দুপরের খাবার শেষে ঘুমন্ত অবস্থায় ইলিয়াছকে হত্যার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম, শ্যালক মেহেদি, তানিয়ার বোন রানিসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন গলায় ছুড়ি দিয়ে পোচ দেয়। এ সময় চিৎকার দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাসা থেকে বেরে হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অনিদ্র দাস গুপ্ত জানান, ইলিয়াছকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এদিকে স্ত্রী তানিয়া বেগম ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে ইলিয়াসের বড় বোন মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।