ছদ্মবেশে দুদকের অভিযান : মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের অনিয়ম উদঘাটন
- আপডেট সময় : ০৮:০৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ সংবাদদাতা:
নানা অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট দেশব্যাপী আজ ছয়টি অভিযান চালিয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা গ্রহণ ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) আসা এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ থেকে আজ (১৫ অক্টোবর) এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী টিমের এক সদস্য পরিচয় গোপন করে দর্শনার্থী হিসেবে এক আসামির সাথে দেখা করতে চাইলে ৫০০ টাকা নিয়ে তাকে দেখা করতে দেয়া হয়। অথচ জেলকোড অনুযায়ী অফিস কলে (আসামির সাথে স্বজনের সাক্ষাৎ) অর্থগ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এছাড়াও সরেজমিন অভিযানে দুদক টিমের নিকট বন্দীদের সরবরাহকৃত খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের মর্মে প্রতীয়মান হয়। টিমের নিকট উপস্থিত বেশ কয়েকজন কয়েদি খাবারের মান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সার্বিক বিবেচনায় কারাগার পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য পাওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, উল্লিখিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা যথাসময়ে আসেন না, রোগীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষমাণ থাকলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডাক্তারগণ অনুপস্থিত থাকেন।
তৎপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডলের নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ২ জন ডাক্তারকে অনুমোদিত ছুটি ব্যতিরেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুপস্থিত পায় টিম। কমপ্লেক্সের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন যাচাই করে অনেক ডাক্তার নির্ধারিত সময়ের পরে আসেন এবং সময় শেষ হওয়ার অনেক পূর্বেই প্রস্থান করেন এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবার সরবরাহেও ব্যাপক অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। দুদক টিমের অভিযানের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দাপ্তরিক সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন কর্মস্থলে আগমন ও প্রস্থানের সময় বায়োমেট্রিক মেশিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদানের মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য অফিস আদেশ জারি করেন।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম বিআরটিএ-তে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও এক শিক্ষিকা কর্তৃক শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগে, বরিশালে অনুমোদনহীন ইট-ভাটা তৈরি করে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এবং শিক্ষার্থীদের নিকট ভর্তি ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশাল হতে ৫টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।