ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




সমকামি বিবাহ: ছাত্রী সংস্থা নেত্রীর চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

মালাবদল করে দুই তরুণী, সানজিদা আর পুজা, ঘরও বেঁধেছেন গোপনে। পিরোজপুরের ছাত্রীসংস্থার যুগ্ম আহবায়ক মোছাম্মৎ সানজিদা (২১) ও শিলার (১৬) দুই বছরের সে প্রেম পরিণয়ে গড়িয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মাঝে জানা গেল সানজিদার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইতিমধ্যে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে আসা এই দুই সমকামী তরুনীকে মঙ্গলবার ঢাকার মোহম্মদপুরের একটি বাসা থেকে পিরোজপুর পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করে পিরোজপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে র‌্যাব-২। এর নেপথ্যে প্রতরনার কৌশল রয়েছে কিনা পিরোজপুরে সাংবাদিক ও পুলিশ অনুসন্ধান করছে।

জানা যায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার পিরোজপুর জেলার সাবেক সভানেত্রী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার কয়েক বছর আগে সানজিদা খাতুনকে ছাত্রী সংস্থার সদস্য বানিয়ে তার সাথে সমকামী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা নিজেরা বিবাহ করার পর সানজিদা খাতুন তার নাম রাখে সানজিদা আক্তার। পারিবারিক চাপে তানিয়ার বিয়ে হয়ে গেলে সানজিদা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং ছাত্রী সংস্থার নেতাকর্মীদের মাঝে প্রকৃত প্রেমের সন্ধান করতে থাকে।
তানিয়ার পর সানজিদার সাথে পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান ১ম বর্ষের ছাত্রী সৈয়দা ফৌজিয়া আক্তারের সমকামী প্রেমের সম্পর্ক হয়। সানজিদা একই কলেজের বাংলার ছাত্রী। ছাত্রী সংস্থার এই দুই নেত্রীর সমকামী প্রেম নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছিল। ধারণা করা হয় ফৌজিয়ার সাথেও তার বিয়ে হয় এবং এ কারণে ফৌজিয়া তার নামের শেষে সুলতানার স্থলে আক্তার নাম ব্যবহার করা শুরু করে।

এদিকে অভিযুক্ত সানজিদা আক্তারের নামে ২০ জুলাই শনিবার নারী পাচার ও অপহরণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন অপহৃত শিলার বাবা। গত বছর রমজানে একই অভিযোগে থানা এবং কোর্টে মামলা করেন চাঁদনী নামের এক মেধাবী ছাত্রীর ভাই রেজাউল করিম মাসুদ।
জানা যায় তানিয়া ও ফৌজিয়ার সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পর সানজিদা চাঁদনী নামের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সংসার করার উদ্দেশ্যে তারা ঘর থেকে পালিয়ে গেলে দেড় লাখ টাকায় সমঝোতার নামে গ্রেপ্তারের ফাঁদ পাতে পুলিশ।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সানজিদার বাড়ি মঠবাড়িয়া হলেও গত সাত আট বছর যাবত পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকে। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের উচ্চ পদস্থ নেতাদের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। জামাত নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারী সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন করে।
ছাত্রী সংস্থার মাধ্যমে নারী সংগ্রহ করে পাচার করে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।

এদিকে গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে জানায়, শুধুমাত্র বন্ধুত্বের কারনেই আমরা ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সানজিদা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সমকামীতার আড়ালে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের বিষয় জড়িত।

তবে তারা উভয়েই দৃঢ় কন্ঠে বলে, প্রেম করা পাপ নয়। একটি ছেলে যদি মেয়েকে ভালবাসতে পারে তাহলে একটি মেয়েও ছেলেকে ভালবাসতে পারে এবং বিয়ে করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সমকামি বিবাহ: ছাত্রী সংস্থা নেত্রীর চাঞ্চল্যকর তথ্য

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

মালাবদল করে দুই তরুণী, সানজিদা আর পুজা, ঘরও বেঁধেছেন গোপনে। পিরোজপুরের ছাত্রীসংস্থার যুগ্ম আহবায়ক মোছাম্মৎ সানজিদা (২১) ও শিলার (১৬) দুই বছরের সে প্রেম পরিণয়ে গড়িয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মাঝে জানা গেল সানজিদার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইতিমধ্যে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে আসা এই দুই সমকামী তরুনীকে মঙ্গলবার ঢাকার মোহম্মদপুরের একটি বাসা থেকে পিরোজপুর পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করে পিরোজপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে র‌্যাব-২। এর নেপথ্যে প্রতরনার কৌশল রয়েছে কিনা পিরোজপুরে সাংবাদিক ও পুলিশ অনুসন্ধান করছে।

জানা যায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার পিরোজপুর জেলার সাবেক সভানেত্রী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া আক্তার কয়েক বছর আগে সানজিদা খাতুনকে ছাত্রী সংস্থার সদস্য বানিয়ে তার সাথে সমকামী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা নিজেরা বিবাহ করার পর সানজিদা খাতুন তার নাম রাখে সানজিদা আক্তার। পারিবারিক চাপে তানিয়ার বিয়ে হয়ে গেলে সানজিদা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং ছাত্রী সংস্থার নেতাকর্মীদের মাঝে প্রকৃত প্রেমের সন্ধান করতে থাকে।
তানিয়ার পর সানজিদার সাথে পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান ১ম বর্ষের ছাত্রী সৈয়দা ফৌজিয়া আক্তারের সমকামী প্রেমের সম্পর্ক হয়। সানজিদা একই কলেজের বাংলার ছাত্রী। ছাত্রী সংস্থার এই দুই নেত্রীর সমকামী প্রেম নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছিল। ধারণা করা হয় ফৌজিয়ার সাথেও তার বিয়ে হয় এবং এ কারণে ফৌজিয়া তার নামের শেষে সুলতানার স্থলে আক্তার নাম ব্যবহার করা শুরু করে।

এদিকে অভিযুক্ত সানজিদা আক্তারের নামে ২০ জুলাই শনিবার নারী পাচার ও অপহরণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন অপহৃত শিলার বাবা। গত বছর রমজানে একই অভিযোগে থানা এবং কোর্টে মামলা করেন চাঁদনী নামের এক মেধাবী ছাত্রীর ভাই রেজাউল করিম মাসুদ।
জানা যায় তানিয়া ও ফৌজিয়ার সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পর সানজিদা চাঁদনী নামের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সংসার করার উদ্দেশ্যে তারা ঘর থেকে পালিয়ে গেলে দেড় লাখ টাকায় সমঝোতার নামে গ্রেপ্তারের ফাঁদ পাতে পুলিশ।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সানজিদার বাড়ি মঠবাড়িয়া হলেও গত সাত আট বছর যাবত পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকে। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের উচ্চ পদস্থ নেতাদের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। জামাত নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারী সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন করে।
ছাত্রী সংস্থার মাধ্যমে নারী সংগ্রহ করে পাচার করে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।

এদিকে গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে জানায়, শুধুমাত্র বন্ধুত্বের কারনেই আমরা ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সানজিদা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সমকামীতার আড়ালে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের বিষয় জড়িত।

তবে তারা উভয়েই দৃঢ় কন্ঠে বলে, প্রেম করা পাপ নয়। একটি ছেলে যদি মেয়েকে ভালবাসতে পারে তাহলে একটি মেয়েও ছেলেকে ভালবাসতে পারে এবং বিয়ে করতে পারে।