ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

আরও দু’টি মেট্রোরেল হচ্ছে রাজধানীতে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে যানজট নিরসনসহ গতিশীলতা বাড়াতে আরও দুটি মেট্রোরেল হচ্ছে। মঙ্গলবার ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সব প্রকল্পে আনুমানিক মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫.২৩ কোটি টাকা।

তিনি জানান, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৩০ হাজার ৪৬৬.০২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে, ৫১৫.৮৪ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে এবং ৬৯ হাজার ৪৩.৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে আনুমানিক ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাস র্যা পিড ট্রান্সপোর্ট (এমআরটি) লাইন ১ ও ৫ বাস্তবায়ন করা হবে।

দু’টি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২৫ হাজার ২৩২.৬০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আসবে এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৬৮ হাজার ৫৬৭.৩২ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ঢাকা মাস ট্রানজিট সংস্থা লিমিটেড দু’টি প্রকল্পই বাস্তবায়ন করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক বৈঠকে জানানো হয়েছে যে, দুটি মেট্রো লাইন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়সীমা ও আনুমানিক ব্যয়ের মধ্যে শেষ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫৬১.৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১১.১১ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে আসবে এবং বাকি ৩৯ হাজার ৪৫০.৩২ কোটি টাকা জাইকার কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।

‘এমআরটি লাইন-১’ হবে ৩১.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৬.২১ কিলোমিটার হবে আন্ডারগাউন্ড। আর কুড়িল থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১১.৩৬ কিলোমিটার হবে এলিভেটেট। এ ছাড়াও নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগাউন্ড ট্রানজিশন লাইন থাকবে।

অন্যদিকে, এমআরটি লাইন-৫ উত্তর ও দক্ষিণ দু’টি রুটে বিভক্ত। এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮.৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১.৪৯ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও অনুদান থেকে এবং জাইকার কাছ থেকে প্রকল্পের সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা।

উত্তরের রুটের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার যার মধ্যে ৬.৫০ কিলোমিটার হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত হবে। এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩.৫০ কিলোমিটার আন্ডারগাউন্ড হবে। এই প্রকল্পটি ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এমআরটি লাইন-৫ হেমায়েতপুর থেকে শুরু হয়ে আমিনবাজার, গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-১ এবং নতুনবাজার হয়ে ভাটারা গিয়ে শেষ হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্প রাজধানীর যানজটকে অনেকাংশে সহজ করবে। এতে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আরও দু’টি মেট্রোরেল হচ্ছে রাজধানীতে 

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

রাজধানীতে যানজট নিরসনসহ গতিশীলতা বাড়াতে আরও দুটি মেট্রোরেল হচ্ছে। মঙ্গলবার ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সব প্রকল্পে আনুমানিক মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫.২৩ কোটি টাকা।

তিনি জানান, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৩০ হাজার ৪৬৬.০২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে, ৫১৫.৮৪ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে এবং ৬৯ হাজার ৪৩.৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে আনুমানিক ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাস র্যা পিড ট্রান্সপোর্ট (এমআরটি) লাইন ১ ও ৫ বাস্তবায়ন করা হবে।

দু’টি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২৫ হাজার ২৩২.৬০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আসবে এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৬৮ হাজার ৫৬৭.৩২ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ঢাকা মাস ট্রানজিট সংস্থা লিমিটেড দু’টি প্রকল্পই বাস্তবায়ন করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক বৈঠকে জানানো হয়েছে যে, দুটি মেট্রো লাইন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়সীমা ও আনুমানিক ব্যয়ের মধ্যে শেষ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫৬১.৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১১.১১ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে আসবে এবং বাকি ৩৯ হাজার ৪৫০.৩২ কোটি টাকা জাইকার কাছ থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।

‘এমআরটি লাইন-১’ হবে ৩১.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৬.২১ কিলোমিটার হবে আন্ডারগাউন্ড। আর কুড়িল থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১১.৩৬ কিলোমিটার হবে এলিভেটেট। এ ছাড়াও নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগাউন্ড ট্রানজিশন লাইন থাকবে।

অন্যদিকে, এমআরটি লাইন-৫ উত্তর ও দক্ষিণ দু’টি রুটে বিভক্ত। এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮.৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১.৪৯ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও অনুদান থেকে এবং জাইকার কাছ থেকে প্রকল্পের সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা।

উত্তরের রুটের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার যার মধ্যে ৬.৫০ কিলোমিটার হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত হবে। এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩.৫০ কিলোমিটার আন্ডারগাউন্ড হবে। এই প্রকল্পটি ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এমআরটি লাইন-৫ হেমায়েতপুর থেকে শুরু হয়ে আমিনবাজার, গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-১ এবং নতুনবাজার হয়ে ভাটারা গিয়ে শেষ হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্প রাজধানীর যানজটকে অনেকাংশে সহজ করবে। এতে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।