ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




আবরার হত্যা মামলায় আসামি অনিক কারাগারে পিটুনির শিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বুয়েটেরই আরেক ছাত্র অনিক সরকারকে কারাগারে পিটিয়েছে আসামিরা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে গ্রেফতারের পর রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছতেই ক্ষুব্ধ বন্দীরা হামলে পড়ে অনিকের ওপর। কারারক্ষীদের প্রাণান্তকর চেষ্টায় রক্ষা পান অনিক। কারা সূত্র বলছে, আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রের এমন নির্মম মৃত্যু অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো মেনে নিতে পারেননি কারাবন্দী কয়েদি এবং হাজতিরাও। মদ্যপ অবস্থায় অনিক কয়েক দফায় আবরারকে মারধর করেছিল। গুরুতর অবস্থায় আবরার দুই দফা বমি করলেও অনিকের ভয়ঙ্কর রূপ থেকে রক্ষা পায়নি মৃতপ্রায় আবরার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হত্যাকা ফলাও করে প্রচার হওয়ায় এর খুঁটিনাটি জানতে পারেন কারাবন্দীরাও। ঘটনার পর দিনই অনিককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রথম দফা রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে আদালতে যাওয়ার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হয় সে। পরবর্তীতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেরানীগঞ্জ আদালতে পৌঁছে অনিক সরকারকে বহন করা প্রিজন ভ্যান। আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে সে। কারাগারের সেলে ঢোকার সময়ই তাকে মারধর করেন কারাবন্দীরা।

পরে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, অনিক সরকারের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামে। অনিক ওই গ্রামের বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুরে হলেও ব্যবসায়িক কাজে পুরো পরিবার মোহনপুর উপজেলা সদরের বড়ইকুড়ি গ্রামে বসবাস করে। দুই ভাইয়ের মধ্যে অনিক ছোট। এ ছাড়া তাদের পেট্রল পাম্প এবং সারের ডিলারশিপের ব্যবসা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আবরার হত্যা মামলায় আসামি অনিক কারাগারে পিটুনির শিকার

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বুয়েটেরই আরেক ছাত্র অনিক সরকারকে কারাগারে পিটিয়েছে আসামিরা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে গ্রেফতারের পর রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছতেই ক্ষুব্ধ বন্দীরা হামলে পড়ে অনিকের ওপর। কারারক্ষীদের প্রাণান্তকর চেষ্টায় রক্ষা পান অনিক। কারা সূত্র বলছে, আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রের এমন নির্মম মৃত্যু অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো মেনে নিতে পারেননি কারাবন্দী কয়েদি এবং হাজতিরাও। মদ্যপ অবস্থায় অনিক কয়েক দফায় আবরারকে মারধর করেছিল। গুরুতর অবস্থায় আবরার দুই দফা বমি করলেও অনিকের ভয়ঙ্কর রূপ থেকে রক্ষা পায়নি মৃতপ্রায় আবরার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হত্যাকা ফলাও করে প্রচার হওয়ায় এর খুঁটিনাটি জানতে পারেন কারাবন্দীরাও। ঘটনার পর দিনই অনিককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রথম দফা রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে আদালতে যাওয়ার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হয় সে। পরবর্তীতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেরানীগঞ্জ আদালতে পৌঁছে অনিক সরকারকে বহন করা প্রিজন ভ্যান। আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে সে। কারাগারের সেলে ঢোকার সময়ই তাকে মারধর করেন কারাবন্দীরা।

পরে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, অনিক সরকারের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামে। অনিক ওই গ্রামের বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুরে হলেও ব্যবসায়িক কাজে পুরো পরিবার মোহনপুর উপজেলা সদরের বড়ইকুড়ি গ্রামে বসবাস করে। দুই ভাইয়ের মধ্যে অনিক ছোট। এ ছাড়া তাদের পেট্রল পাম্প এবং সারের ডিলারশিপের ব্যবসা রয়েছে।